ব্রেক্সিট নিয়ে দ্বিতীয় গণভোটে সমর্থন দেবে লেবার পার্টি

ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন প্রশ্নে দ্বিতীয় একটি গণভোটে সমর্থন দিতে প্রস্তুত বৃটেনের বিরোধী দল লেবার পার্টি। দলটি বলছে, ক্ষমতাসীন টোরি দলের ‘ক্ষতিকর ব্রেক্সিট’ এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের নেতা জেরেমি করবিন দলীয় এমপিদের বলেছেন, বুধবার যদি লেবার দলের ব্রেক্সিট প্রস্তাবনা প্রত্যাখ্যাত হয়, তাহলে দলটি দ্বিতীয় গণভোটে সমর্থন দেবে।
ছায়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও লেবার নেতা এমিলি থর্নবেরি বলেন, সংসদীয় কার্যপ্রণালী শেষে বিকল্প যদি হয় চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট কিংবা প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত ব্রেক্সিট, তাহলে জনগণের উচিত তা নিয়ে সিদ্ধান্ত জানানো। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র ওপর ২৯শে মার্চ ব্রেক্সিট কার্যকরের পূর্বনির্ধারিত দিন পেছানোর চাপ বেড়েছে। লেবার দল অবশ্য এখনো স্পষ্ট করে বলেনি যে, তাদের প্রস্তাবিত দ্বিতীয় গণভোট কী নিয়ে হবে। তবে এমপিদের দেয়া দলীয় ব্রিফিং পেপারে বলা হয়েছে, যেকোনো গণভোটে অবশ্যই জনগণের সামনে গ্রহণযোগ্য ‘প্রস্থান বা রয়ে যাওয়া’র মধ্যে একটি বেছে নেয়ার সুযোগ থাকতে হবে। মঙ্গলবার ইইউ’র সঙ্গে চলমান সমঝোতা আলোচনা নিয়ে এমপিদের হালনাগাদ তথ্য জানাবেন তেরেসা মে’।
তিনি এখন পর্যন্ত বলেছেন, পূর্ব নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী মাসেই ইইউ থেকে বৃটেন বেরিয়ে যেতে পারে। ২০১৬ সালের জুনে এক গণভোটে যুক্তরাজ্য ইইউ থেকে প্রস্থানের পক্ষে ভোট দিয়েছিল। তবে প্রধানমন্ত্রী মে’ ইইউর সঙ্গে প্রস্থান বিষয়ক যেই চুক্তি করেছেন, তাতে সংখ্যাগরিষ্ঠ এমপিদের সমর্থন থাকতে হবে। গত মাসে পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব ঐতিহাসিক ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে। এই সপ্তাহেও তার ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে অর্থপূর্ণ কোনো ভোটাভুটি হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন স্বয়ং মে’। তিনি বলেছেন, ১২ই মার্চে ফের নতুন চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে। কিন্তু মাঝের এই সময়টাই ব্রেক্সিট নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হওয়া উচিত, তা নিয়ে মতামত জানানোর সুযোগ পাবেন এমপিরা। সরকার যেই প্রস্তাব উত্থাপন করবে, তার ওপর সংশোধনী প্রস্তাব করার সুযোগ পাবে এমপিরা।
অপরদিকে বিরোধীদলীয় নেতা করবিন তার এমপিদেরকে বলেছেন, মে’ বেপরোয়াভাবে কালক্ষেপণ করছেন যেন এমপিরা হয়তো তার তালগোল পাকানো চুক্তি কিংবা চুক্তিবিহীন ধ্বংসাত্মক ব্রেক্সিটের মধ্যে যেকোনো একটি বেছে নিতে বাধ্য হয়। তিনি আরো বলেছেন, এই সপ্তাহে নিজেদের সংশোধনী প্রস্তাব হাজির করবে লেবার। সেখানে ‘পুঙ্খানুপুঙ্খ কাস্টম ইউনিয়ন’ ও ইইউর অভিন্ন বাজারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কোনো ব্যবস্থা বহাল রাখার পরিকল্পনা থাকবে। ওই সংশোধনীতে বিভিন্ন অধিকার ও মানদণ্ড, ইইউর বিভিন্ন সংস্থায় বৃটেনের ভূমিকা নিশ্চিতকরণ ও একটি নিরাপত্তা চুক্তি যার মাধ্যমে ইউরোপের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও গুরুত্বপূর্ণ অভিন্ন ডাটাবেজে বৃটেনের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত থাকে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button