আরবিতে সিরাতগ্রন্থ লিখলেন লোকমান আল মাহমুদ

উবায়দুল হক খান: আমাদের নবি শ্রেষ্ঠ নবি, সেরা নবি, প্রিয় নবি। আমরা শ্রেষ্ঠ নবির শ্রেষ্ঠ উম্মত। আমরা কিয়ামতের দিন অন্যান্য নবিদের নবুওয়াতের দায়িত্ব আদায়ের ব্যাপারে সাক্ষী হব। কতো মর্যাদা আমাদের, কতো শ্রেষ্ঠ আমরা।

আমাদের নবিকে নিয়ে সব ভাষায়ই রচিত হয়েছে কত শত কিতাব। ছোট বড় অনেক কিতাব। আমরা বাঙালি। আমাদের ভাষা বাংলা। আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলি, বই লিখি। আরবি আমাদের ভাষা নয়, আরবের ভাষা, আমাদের নবির ভাষা, কুরআনের ভাষা, জান্নাতের ভাষা।

ইতোপূর্বে বাঙালী হয়েও আরবি ভাষায় কিতাব লিখেছেন জামিয়া রাহমানিয়ার সিনিয়র মুহাদ্দিস মুফতি হিফজুর রহমান, জামিয়া শারইয়্যাহ মালিবাগের সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা নাসিম আরাফাত ও মাওলানা মীযান হারুন।

তাদের সাথে যুক্ত হয়েছেন তরুণ লেখক লোকমান আল মাহমুদ। তিনি লিখেছেন রাসুলের সিরাত নিয়ে ছোট্ট একটি গ্রন্থ। নাম দিয়েছে- ‘ইযহুমা ফিলগার’ তাঁরা যখন গুহায়।

ছোট্ট এ বইটিকে ছোট ছোট ১০টি শিরোনামে সাজানো হয়েছে। বইটিতে আলোচনা করা হয়েছে- ইসলাম আগমনের পূর্বে মানুষের অবস্থা, রাসুল প্রেরণের উদ্দেশ্য, ইসলামের আহ্বান, রাসুলের উত্তম ব্যবহার, কষ্ট সহ্য, দীনের পথে অটলতা, সাহাবীদের হাবশা ও মদীনায় হিজরত, রাসুল হত্যার ষড়যন্ত্র, হিজরতের নির্দেশ।

আরো আলোচনা করা হয়েছে-রাসুল ও আবু বকরের হিজরত, গুহায় অবস্থান, কুবায় মসজিদ নির্মাণসহ আরো কিছু বিষয়ে।

বইটির শিরোনামগুলোর মধ্যে-ইসলামপূর্ব পৃথিবী, রাসুল প্রেরণ, ইসলামের আহ্বান ও কষ্ট সহ্য, মুসলমানদের মদিনায় হিজরত, রাসুলের হিজরত, মদিনার পথে, তারা যখন গুহায়, ভয় পেয়ো না প্রভু আমাদের সাথেই আছেন, ইসলামে প্রথম মসজিদ, মদিনার কাছাকাছি অতঃপর সংবর্ধনা।

ছোট্ট এ বইটির চমৎকার প্রচ্ছদ করেছেন মাওলানা ইবাদ বিন সিদ্দিক। ভূমিকা লিখেছেন, জামিয়া ইসলামিয়া মাসুমপুর সিলেটের উস্তাদ মাওলানা আবদুল কাদির মাসুম।

প্রকাশনায় সহযোগিতা করেছেন- মাওলানা মিজানুর রহমান মুরতাকী। বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে- লেখকের মা-বাবা, তার ভাই আবদুল্লাহ ও তার উস্তাদ মুফতী শরীফুল ইসলামকে। আমরা লেখকের ইলমি ও আমলি তারাক্কি কামনা করি। শুভকামনা লেখকের জন্য।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button