ব্রিটেনে সৌদি শিক্ষার্থীর অভিবাসন যন্ত্রণা

UK BAব্রিটিশ এয়ারপোর্টে অভিবাসন প্রশ্নে রীতিমতো সমস্যায় পড়তে হয় কয়েকজন সৌদী শিক্ষার্থীকে। ঘটনাটি ঘটে পেছনের দু’সপ্তাহে। অভিবাসন কর্তৃপক্ষ ছাত্রদের জানায়, তাদের স্টুডেন্ট ভিসা এবং তাদের পোষ্য অথবা তাদের ওপর নির্ভরশীলদের ভিসা প্রত্যাহার করা হয়েছে তারা ছুটিতে চলে যাওয়ার কারণে। যদিও কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে তারা ছুটিতে যায়। বিশেষভাবে দু’জন শিক্ষার্থীকে এই সমস্যায় পড়তে হয়। বিদেশে তারা গিয়েছিল কয়েকটি বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে যোগ দিতে। ইউকে’তে তারা ফিরে এলে বিমানবন্দরে তিন ঘণ্টা তাদের আটকে রাখা হয়। সঙ্গে তাদের সুপার ভাইজারও ছিলেন। এয়ারপোর্টে তাদের দেহ তল্লাশি করা হয়। অবশেষে ইউকে’তে প্রবেশের সাময়িক অনুমতি তাদের দেয়া হয়। তা সত্ত্বেও এয়ারপোর্টে উপস্থিত স্বরাষ্ট্র দফতরের লোকেরা তাদের পাসপোর্ট ও ভিসা প্রত্যাহার করে রাখে। ভিসায় সার্বক্ষণিক ছাত্র হিসেবে তারা নিবন্ধিত ছিল। কিন্তু বৃটিশ কর্তৃপক্ষ দাবি করে যেহেতু তারা ছুটি ভোগের কারণে অনুপস্থিত থেকেছে তাই নিয়মিত ছাত্র তারা গণ্য হতে পারে না এবং ঐ কারণে তাদের ভিসা আটকানো হয়। বৃটিশ অভিবাসন আইনে সার্বক্ষণিক বিদ্যার্থীদের দু’মাসের ছুটিতে যাওয়ার অধিকার মঞ্জুর রয়েছে। তাদের সুপারভাইজারদেরও এ সম্বন্ধে অবহিত রাখা হয়েছে। তা সত্ত্বেও তাদের নিয়মিত ছাত্র গণ্য করতে কর্তৃপক্ষ নারাজ কেন- তাদের বোধগম্য নয়।
যাইহোক ইউকে’তে প্রবেশের সাময়িক অনুমতি ছাত্রদের দেয়া হয় এবং বলে দেয়া হয় নির্দেশিত তারিখের মধ্যে তাদের দেশত্যাগ করতে হবে। তাদেরকে আরো বলা হয় বিশ্ববিদ্যালয় সম্বন্ধেও নিজেদের অবস্থান তারা যেন ইতোমধ্যে নতুন করে অবহিত হয়। বিদ্যার্থীরা তাদের অবস্থান বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন করে চেক করিয়ে নেয়। অবস্থাদৃষ্টে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত আন্তর্জাতিক চাকুরেরাও হতবাক হয়ে যান- কারণ তারাও ইউকে’তে নিবন্ধিত ছিলেন ফুলটাইম শিক্ষার্থী হিসেবে। যাইহোক লম্বা দেন-দরবার শেষে সমস্যার নিষ্পত্তি হয়। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় নিজেদের দেশের নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে কোনো কর্তৃপক্ষ বিদেশী নির্দোষ শিক্ষার্থীদের এভাবে হয়রানিতে ফেলার অধিকার প্রয়োগ করে কোন যুক্তিতে বা কোন ঔচিত্য বোধে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button