খালিদ মিশাল হত্যায় মোসাদের ব্যর্থ মিশন

Khaledমীযানুল করীম
১৯৯৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়। একে একে ছ’জন বিদেশী যাত্রীবাহী বিমানে করে এসে নামল জর্ডানের রাজধানী আম্মানে। সেখানকার রানী আলিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মকর্তারা দেখলেন পাসপোর্ট মোতাবেক তারা কানাডার নাগরিক।
আসলে এসব পাসপোর্ট ভুয়া। তারা ভিন্ন ভিন্ন স্থান থেকে অভিন্ন মিশনে এসেছিল। এই গ্রুপের সবাই ইসরাইলে কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট। ফিলিস্তিন প্রতিরোধ সংগ্রামের একজন নেতাকে বিষপ্রয়োগে হত্যাই এদের আগমনের উদ্দেশ্য। সেই নেতার নাম খালিদ মিশাল। তখন তার বয়স মাত্র ৪১ বছর।
তিনি ইসলামপন্থী সংগঠন হামাসের অন্যতম শীর্ষ নেতা। তবে হত্যার সে ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছিল। ইহুদিবাদীরা এর কয়েক বছর পর আবারো তাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার চক্রান্তে ব্যর্থ হয়। তিনি হামাসের রাজনৈতিক বিভাগের প্রধান।
১৯৯৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ইসরাইলি গুপ্তচররা খালিদ মিশালকে হত্যার চেষ্টা চালায়। তবে ওরা ব্যর্থ হয়েছিল সেই সিক্রেট মিশনে। আল্লাহর রহমতে মিশাল বেঁচে যান। সেদিন তিনি শিশুসন্তানদের স্কুলে নামিয়ে নিজের কাজে যাচ্ছিলেন। এক সময় লক্ষ করলেন, আরেকটি গাড়ি তার গাড়িটিকে অনুসরণ করছে। এটি ছিল ইহুদিবাদী গোয়েন্দাদের, যারা নিজেদের পরিচয় লুকিয়ে জর্ডানে অনুপ্রবেশ করেছিল। তারা মিশালের কানে ¯স্পে করে বিষ প্রয়োগে হত্যার চেষ্টা করার সাথে সাথে মিশালের একজন দেহরক্ষী ঘাতক দু’জনকে ধাওয়া করেন। এই রক্ষীর নাম মুহাম্মাদ আবু সাঈফ। সৌভাগ্যক্রমে, তখন পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন ফিলিস্তিন মুক্তিবাহিনীর একজন অফিসার। তার সাহায্যে আবু সাঈফ মোসাদের এজেন্ট দু’জনকে পাকড়াও করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
খালিদ মিশালকে হত্যার এই চাঞ্চল্যকর প্রয়াসের ওপর এবার তৈরি হয়েছে একটি চলচ্চিত্র, Kill Him Silently  (তাকে নিঃশব্দে হত্যা করো)। এর নির্মাতা ইয়াসের আবু হিলালাহ। কাতারভিত্তিক বিখ্যাত টিভি চ্যানেল আলজাজিরা কয়েক দিন আগে এটি প্রচার করেছে।
’৯৭ সালের সেই ঘটনার পটভূমি সম্পর্কে মিশাল বলেছেন, ‘ইসরাইলের হুমকি শুরু হয়েছিল সে বছর গ্রীষ্মকালে। ইসরাইল চেষ্টা করেও ফিলিস্তিনিদের অপারেশন থামাতে পারছিল না। তাই তারা বিশেষ করে প্রবাসে অবস্থানরত হামাস নেতাদের বিরুদ্ধে হুমকির মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছিল। ওই সব হুমকি প্রমাণ করে, তখন ইসরাইলিরা কিসের পরিকল্পনা করছিল। তবে একই সময়ে আমরা মোটামুটিভাবে নিশ্চিন্ত ছিলাম। কারণ ইসরাইল এর আগে কখনো জর্ডানে কোনো ধরনের অপারেশন চালায়নি।’
হামাস জেরুসালেম এবং ইসরাইলের তদানীন্তন রাজধানী তেলআবিবে সিরিজ আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়েছিল। এসব হামলায় ২০ জন ইসরাইলি নিহত এবং শত শত আহত হয়েছিল। এই প্রেক্ষাপটে উদ্যোগ নেয়া হয় হামাস নেতা খালিদ মিশালকে হত্যার।
ইসরাইল হয়ে উঠেছিল সাঙ্ঘাতিক রকম ক্ষিপ্ত। কট্টরপন্থী প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তার নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর জরুরি বৈঠক ডাকলেন। এতে হাজির ছিল মোসাদ প্রতিনিধিও। নেতানিয়াহু দাবি জানালেন, হামাসের বিরুদ্ধে মারাত্মক হামলা চালাতে হবে। এর উদ্দেশ্য ছিল সুস্পষ্ট। তা হলো, প্রতিশোধ।
এ দিকে জর্ডান-ইসরাইল সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে। এই অবস্থায় আম্মান গিয়ে মিশালকে ‘হিট’ করার জন্য মোসাদের গোপন অপারেশনের ব্যাপারে নেতানিয়াহু গ্রিন সিগন্যাল দিলেন।
সিদ্ধান্ত হলো, খালিদ মিশালকে গুলি বা বোমা কিংবা ছোরা দিয়েও হত্যা করা হবে না। এ জন্য এমন এক বিষ প্রয়োগ করা হবে, যার অ্যাকশনের গতি মন্থর হলেও পরিণতি মারাত্মক। বিষক্রিয়া ধীরে ধীরে মেশালের মস্তিষ্ক ও শ্বাসতন্ত্র অচল করে দিয়ে তাকে ঠেলে দেবে মৃত্যুর দিকে। পরিকল্পনা করা হয়েছিল, মিশালের একেবারে কাছে গিয়ে তার কানে বিষ দ্রুত স্পে করা হবে। ফলে কোনো অস্ত্র ব্যবহারের প্রমাণ থাকবে না। অথচ বিষের প্রভাবে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই মিশাল মৃত্যুবরণ করবেন। এভাবে ইহুদিবাদের এক দুর্ধর্ষ দুশমন দুনিয়া থেকে চিরবিদায় নেবেন।
ইসরাইলের এই ব্যর্থ মিশন এ জাতীয় ঘটনার ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও স্মরণীয় দৃষ্টান্তগুলোর অন্যতম। আর এটি হামাসের উত্থানের ইতিহাসে তাৎপর্যপূর্ণ মুহূর্তও।
আলোচ্য চলচ্চিত্রটির দু’টি অংশ। এতে মিশালের বক্তব্য তো আছেই, ড্যানি ইয়াতোমের সাক্ষাৎকারও রয়েছে। তিনি তখনকার মোসাদ প্রধান। তিনিই ছিলেন মিশাল-বধ মিশনের নাটের গুরু। ঘটনাক্রমে তিনিই মিশালকে বাঁচাতে ওষুধ নিয়ে জর্ডান ছুটে গিয়েছিলেন। আসলে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন।
এই চলচ্চিত্রের দ্বিতীয় অংশে দেখানো হয়েছে ব্যর্থ মিশনের পরের ঘটনাগুলো। জর্ডান, ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক সংগ্রাম শুরু হয়ে যায়। তখন পর্দার নেপথ্যে যে আলোচনা চলছিল, তা দেখানো হয়েছে এই চলচ্চিত্রে।
১৯৯৭ সালে জর্ডানের বাদশাহ ছিলেন বর্তমান বাদশাহ আবদুল্লাহর পিতা এবং দীর্ঘকাল ক্ষমতাসীন, বাদশাহ হোসেন। তার দফতরের ব্যবস্থাপক ছিলেন মেজর জেনারেল (অব:) আলী শুকরি। মিশালের ওপর সেই হামলার পর যে চরম সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছিল, এর নিরসনে শুকরি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।
তিনি জানিয়েছেন, ‘মিশালকে হত্যার প্রয়াস সম্পর্কে জর্ডানের বাদশাহ হোসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল কিনটনকে ফোনে বিস্তারিত খুলে বলেন। কিনটন শুনে অবাক হয়ে গেলেন। বিশেষ করে জর্ডানে এমন হামলা হতে পারে, তা তিনি বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। হোসেনের সাথে কথা বলার শেষ দিকে কিনটন ক্রুদ্ধ কণ্ঠে বলে ওঠেন, That man is impossible. এখানে ‘ইমপসিবল’ শব্দটির অর্থ ‘অসম্ভব’ নয়, বরং ‘অসহনীয়’। এটা বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বোঝাতে চাইলেন, উগ্রপন্থী ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর এসব কাজ আর সহ্য করা যায় না। তিনি সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছেন।’
সেই নেতানিয়াহু বছরের পর বছর ইহুদি রাষ্ট্রটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। এবারে কয়েক দিন আগে আবার নির্বাচনে জয়ী হয়ে কোয়ালিশন সরকার গঠন করছেন। তার আমলে হামাস নেতৃত্বাধীন গাজায় ভয়াবহ সামরিক আগ্রাসন ও গণহত্যা ঘটেছে। বেপরোয়াভাবে পশ্চিমতীরে ইহুদি বসতির ব্যাপক সম্প্রসারণ ঘটানো হচ্ছে।  পরমাণু ইস্যুতে ইরানে সর্বাত্মক হামলার জন্য তার স্পর্ধা-আস্ফালন চলছে বহু দিন ধরে।
যা হোক, ’৯৭ সালের সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহের সেই দিনটিতে বাদশাহ হোসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট কিনটনের কাছে কয়েকটি দাবি জানালেন। বাদশাহ বললেন, মিশালকে যে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে, এর প্রতিকারের ওষুধ পাঠাতে হবে এবং বিষটির ধরন সম্পর্কে জানাতে হবে। হোসেন স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘হামাস নেতা মিশাল যদি মারা যান, তাহলে জর্ডান ও ইসরাইলের মধ্যে যে শান্তিচুক্তি রয়েছে, সেটারও মৃত্যু ঘটবে।’ অর্থাৎ জর্ডান সে চুক্তি আর বহাল রাখবে না।
নেতানিয়াহু গ্রিন সিগন্যাল দিয়ে আম্মানে ঘাতক পাঠালে কী হবে, ওদের মিশাল হত্যা মিশন ইসরাইলের জন্য রেড সিগন্যাল হিসেবে প্রমাণিত হয়। জর্ডানি বাদশাহ হোসেন ঘোর ‘পাশ্চাত্যপন্থী’ হিসেবে সমালোচিত হতেন। এমনকি ১৯৭০ সালে জর্ডানে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সাথে সম্পর্কের অবনতি হলে এর সেনাবাহিনীর প্রচণ্ড হামলায় বহু ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছিল। তখন ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থা (পিএলও) তল্পিতল্পা গুটিয়ে জর্ডান ছাড়তে বাধ্য হয়। যে বাদশাহর আমলে এত কিছু ঘটেছিল, সেই বাদশাহ হোসেন ফিলিস্তিনি নেতা মিশালের প্রাণনাশের ষড়যন্ত্রে বিষম বিক্ষুদ্ধ হয়েছিলেন। তিনি নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশ দিলেন আম্মানে ইসরাইলি দূতাবাস ঘেরাও করতে। কারণ মোসাদের কিলিং মিশনের খুনিরা সেখানে লুকিয়ে আছে বলে মনে করা হয়েছিল।
এ দিকে খালিদ মিশাল তখন আম্মানের হোসেন মেডিক্যাল সিটি হসপিটালে মৃত্যুর সাথে লড়ছেন। ডাক্তাররা বুঝতে পারছিলেন না, কী ধরনের বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে তাকে হত্যার লক্ষ্যে। শেষ পর্যন্ত বিশেষজ্ঞরা এই উপসংহারে উপনীত হন যে, বিপুল পরিমাণ বিষ ব্যবহার করেছে ইহুদি ঘাতকচক্র এবং তা মরফিন ও আফিমজাতীয়। এটা চেতনা নাশ করে দেয় এবং মন্থর গতিতে প্রাণহানির কারণ ঘটায়। শ্বাসতন্ত্র বিকল হয়ে আক্রান্ত ব্যক্তি ঢলে পড়ে মৃত্যুর কোলে।
বাদশাহ হোসেনের মতো ‘মিত্রে’র আকস্মিক ক্রুদ্ধ মনোভাব ও কঠোর পদক্ষেপের সাথে মার্কিন প্রেসিডেন্টের তীব্র অসন্তোষ যোগ হয়ে ইসরাইলকে ফেলে দেয় নিদারুণ বেকায়দায়। মিশাল মারা গেলে ইসরাইলের লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হতে পারে ভেবে তড়িঘড়ি করে খোদ মোসাদপ্রধান আম্মানে ছুটে যান। তার নাম ড্যানি ইয়াতোম। তিনি বাদশাহ হোসেনের সাথে সাক্ষাৎ করেন। ক্ষুব্ধ হোসেন তাকে ধমক দিয়ে দু’কথা শুনিয়ে দিয়েছিলেন। স্মরণীয় ও অভাবনীয় একটি ঘটনা হলো, মোসাদ প্রধান ইয়াতোম মিশালকে হত্যাচক্রান্তের হোতা, আবার তিনিই তাকে বাঁচানোর ওষুধ নিয়ে আম্মানে ছুটে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। একেই বলে, ‘ঠেলার নাম বাবাজি’।
২৫ তারিখে মোসাদের হামলার পর থেকে খালিদ মিশাল ছিলেন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। পাল্টা ওষুধ যথাসময়ে প্রয়োগ করায় দু’দিন পর ২৭ সেপ্টেম্বর তিনি ‘কমা’ অবস্থা থেকে ফিরতে থাকেন। এভাবেই ক্রমশ সুস্থ হয়ে এক সময়ে স্বাভাবিক জীবনধারায় প্রত্যাবর্তন করেন। বাদশাহ হোসেনের দৃঢ়তা না থাকলে মিশাল তো মৃত্যুবরণ করতেনই, এর সাথে অনেক কিছুই ঘটে যেত আরব-ইসরাইল সম্পর্কের ক্ষেত্রে।
মিশালের সুস্থ হওয়ার মতো আরেকটি বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, তার ওপর হামলাকে কেন্দ্র করে জর্ডান ও ইসরাইলের মধ্যে এত যে বৈঠক ও আলোচনা হলো, মিডিয়া বা সাংবাদিকেরা তার কিছুই জানতে পারেনি। বাদশাহ হোসেন ইসরাইলকে বলেছিলেন, ‘তোমরা বিষ দিয়েছ, বিষয়ক্ষয়ও করতে হবে তোমাদেরকেই’। মিডিয়া এটাও টের পায়নি।
‘মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়া’ ইসরাইল হামাস নেতাকে বিষ দিয়ে মারতে গিয়ে চড়া মাশুল দিয়েছিল। তার গোয়েন্দা ও গুপ্তঘাতক বাহিনী মোসাদ বিশ্বে মার্কিন সিআইএ এবং (সাবেক) সোভিয়েত কেজিবির মতোই ভয়ঙ্কর, দুর্ধর্ষ ও নৃশংস হিসেবে কুখ্যাত। মিশালের সে ঘটনায় মোসাদ সম্পর্কিত মিথ খেয়েছিল একটা বড় ধাক্কা।
সেই ব্যর্থ অভিযানের পর ইসরাইলি সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীগুলো শিকার হয়েছিল সে দেশের মিডিয়ার তীব্র সমালোচনার। কারণ মিশালকে শেষ করতে গিয়ে ইসরাইলের নিজের দম্ভই শেষ হয়ে যাচ্ছিল। কৃত্রিম, বর্ণবাদী ও সাম্প্রদায়িক দেশটির অবমাননা ঘটেছিল দু’ভাবে। ১. আটক না করেই হামাস নেতা হত্যার মিশন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। অথচ এটা ছিল স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর খায়েশ। ২. তদুপরি, সে সময়ে বন্দী বিনিময় চুক্তির আওতায় হামাসের খোদ প্রতিষ্ঠাতাকেই ইসরাইল মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল।
১৯৯৭ সালে আম্মানে ইসরাইলি ঘাতকদের মিশন ব্যর্থ হওয়ায় খালিদ মিশাল প্রাণে রক্ষা পান। এরপর এক সময়ে তিনি চলে যান সিরিয়ায়। সেখানেও কয়েক বছর আগে মোসাদ তাকে হত্যার মিশনে ব্যর্থ হয়েছে। মিশাল সম্প্রতি কাতার থেকে স্বদেশের মাটিতে পা রেখে বলেছেন, আজ আমার পুনর্জন্ম হলো তৃতীয়বারের মতো। জর্ডানে যখন মোসাদ আমাকে হত্যায় ব্যর্থ হয়, তখন প্রথম পুনর্জন্ম ঘটেছিল। এরপর সিরিয়ায় যখন ওরা আবার ব্যর্থ হলো, তখন আমার পুনর্জন্ম হয়েছিল দ্বিতীয়বারের মতো।’
এখানে সবিশেষ উল্লেখ্য বিষয় হলো ’৯৭ সালে হামাস নেতা মিশাল হত্যার প্রয়াসে ইসরাইল যেমন নিন্দা কুড়িয়েছিল, তেমনি এরপর হামাসের ক্রমশ ঘটেছে উত্থান। কয়েক বছর পর মাত্র এক মাসের ব্যবধানে হামাসের দু’জন শীর্ষ নেতা অশীতিপর শেখ আহমাদ ইয়াসিন ও আবদুল আজিজ রানতিসি ইসরাইলি হামলায় শহীদ হন। তবুও হামাসের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা থাকে অব্যাহত।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button