টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের ব্রেক্সিট কমিশনের কাজ শুরু

টাওয়ার হ্যামলেটসে ব্রেক্সিটের প্রতিক্রিয়া এবং করনীয় নির্ধারনের জন্য ব্রেক্সিট কমিশন নামে একটি বিশেষ কমিশন গঠন করা হয়েছে।

এই কমিশন নির্বাহী মেয়র জন বিগসের কাছে ব্রেক্সিটের প্রতিক্রিয়া এবং প্রস্তুতি সম্পর্কে বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করবে। ৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার মালবারী প্লেসে অনুষ্টিত এক সংবাদ সম্মেলনে মেয়র বিগস কমিশনের সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এসময় কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ব্রেক্সিট বিষয়ক কেবিনেট মেম্বার কাউন্সিলার আমিনা আলীর নেতৃত্বে গঠিত এই কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা হলেন, লন্ডন স্কুল অব ইকোনোমিকসের প্রফেসর টনি ট্রাভের্স, ক্যানেরী ওয়ার্ফ গ্রুপের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর হাউয়ার্ড ডবার এবং ফেবিয়ান ওমেন্স নেটওয়ার্কের ইভানা বারটোলেটি, ফেডারেশন অব স্মল বিজনেসের লন্ডন পলিসি চেয়ার স্যু টারপিলোস্কি ওবিই, বার্থস হেলথের ডাইরেক্টর মাইকেল পান্টলিন, কাউন্সিলার মোহাম্মদ পাপ্পু, ইয়ং মেয়র অব টাওয়ার হ্যামলেটস ফাহিমুল ইসলাম এবং ডেপুটি ইয়ং মেয়র অব টাওয়ার হ্যামলেটস সাদিয়া আহমদ।

এই কমিশনের সদস্যরা বিভিন্ন ধরনের প্রমাণ যাচাই বাছাইসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে কথাবার্তা বলবেন এবং এর ভিত্তিতে কাউন্সিলের করনীয় সম্পর্কে একটি রিপোর্ট পেশ করবেন। রিপোর্টে তারা ৩ টি এরিয়াকে হাইলাইট করবেন। এগুলো হচ্ছে – ইকোনমি, পাবলিক সার্ভিস এবং সিভিল সোসাইটি। আগামী ৩ অক্টোবর কমিশন তাদের প্রথম সেশনে পাবলিক সার্ভিসে ব্রেক্সিটের প্রতিক্রিয়া পরীক্ষা করবেন। এসময় তারা এখাতে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য তথা তাদের চিন্তা ভাবনা শুনবেন। টাওয়ার হ্যামলেটসের বাসিন্দা অথবা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা কমিশনারদের সাথে সরাসরি কথা বলা ছাড়াও ব্রেক্সিট বিষয়ে তাদের চিন্তা ভাবনা কমিশনের ওয়েভসাইটের মাধ্যমে জানাতে পারবেন।

টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র জন বিগস সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা এখনো জানি না ফাইনাল ইইউ এক্সিট ডিলটা কেমন হবে, তবে আমরা জানি যে খারাপ ভালো যাই হোক না কেন এটা এদেশের অর্থনীতিতে একধরনের প্রভাব ফেলবে। সঙ্গত কারনে টাওয়ার হ্যামলেটসেও এর বাইরে থাকবে না। বিশেষ করে এই বারার বৈচিত্র্য ও আমাদের ক্রম বর্ধমান অর্থনীতি এবং সর্বোপরী রাজধানী লন্ডনের কেন্দ্রস্থলে এর অবস্থানের কারনে ব্রেক্সিটের প্রতিক্রিয়া এখানে অবশ্যই অনুভূত হবে।

মেয়র জানান, টাওয়ার হ্যামলেটেসে প্রায় ৫০ হাজার ইইউ নাগরিক বসবাসের পাশাপাশি স্থানীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রেখে চলেছেন। ব্রেক্সিটের কারনে তাদের অবস্থান নিয়েও আমাদের ভাবতে হবে।

মেয়র বলেন, এই কমিশন গঠনের উদ্দেশ্যই হচ্ছে ব্রেক্সিটের যে প্রতিক্রিয়াই হোক না কেন আমরা চাই আমাদের ব্যবসা বাণিজ্য, পাবলিক সার্ভিস, কমিউনিটি অর্গানাইজেশন তথা বাসিন্দাদের যথাযথ প্রস্তুতি। পাশাপাশি কোন সুযোগ আসলে তারা যাতে তা গ্রহণ করতে পারেন এই ধারনাও দেয়া হবে।

মেয়র বলেন, আমি আশাবাদি কাউন্সিলার আমিনা আলীর নেতৃত্বে এই বিশেষজ্ঞ কমিশন সকল গুজব এবং কুয়াশাকে দূর করে আমাদেরকে এবিষয়ে একটি পরিষ্কার চিত্র উপহার দিতে পারবেন। আমি তাদের রিপোর্টটি দেখার অপেক্ষায় আছি।

কমিশনের চেয়ারম্যান কাউন্সিলার আমিনা আলী বলেন, ব্রেক্সিট নিয়ে আমরা আমাদের ব্যবসায়ী এবং বাসিন্দাদের কথা শুনার পাশাপাশি তাদেরকে প্রয়োজনীয় সাপোর্ট দিতে চাই। যে ধরনের ব্রেক্সিটই হোক না কেন যথাযথ প্রস্তুতি রাখার জন্যই এই কমিশন কাজ করবে।

প্রফেসার টনি ট্রাভের্স বলেন, ব্রেক্সিটের পর কী হবে জানি না। তাই টাওয়ার হ্যামলেটসের প্রেক্ষাপটে আমরা এর থ্রেট অথবা অপুরচুনিটি দুটোই যাচাই বাচাই করবো।

ক্যানেরী ওয়ার্ফ গ্রুপের স্ট্র্যাটেজিক ডাইরেক্টর হাউয়ার্ড ডবার বলেন, টাওয়ার হ্যামলেটস একটি আর্ন্তজাতিক বারা। তাই ব্রেক্সিট পরবর্তী চিত্র জানাটা আমাদের জন্য জরুরী। আশা করি আমরা এই কাজটি করতে পারবো।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button