দেশব্যাপী প্রতি ৫০ জনে একজন আক্রান্ত

লন্ডনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রতি ৩০ জনে ১জন

ব্রিটেনে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখেরও বেশী

এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ব্রিটেনে বর্তমানে ১০ লাখেরও বেশী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী রয়েছেন। ইংল্যান্ডের চীফ মেডিকেল অফিসার এই বলে সতর্কবানী উচ্চারণ করেছেন যে, কভিড-১৯ মোকাবেলায় গৃহীত পদক্ষেপসমূহ আগামী শীতকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, অত্যন্ত সংক্রামক শ্রেণীর ভাইরাস দেশব্যাপী প্রতি ৫০ জনে একজনকে আক্রান্ত করেছে। লন্ডনে আক্রান্তের এই হার প্রতি ৩০ জনে ১জন। এ অবস্থায় সরকারকে দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষনা করতে হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের মাত্র ১৩ লাখ লোককে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যে সব ভ্রমণকারী যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করবেন তাদেরকে নতুন নিছু টেস্ট করাতে হবে, যাতে দেশটিতে ভাইরাসের প্রবেশ প্রতিরোধ করা যায়। আগামী মধ্য ফেব্রুয়ারীর মধ্যে ১কোটি ৩০ লাখ লোককে ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে এবং এভাবে যথাশীঘ্র সম্ভব লকডাউন শিথিলেরও প্রত্যাশা করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, ৮০ বছরের বেশী বয়সীদের মধ্যে এক চতুর্থাংশ লোককে ইতোমধ্যে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। তবে তিনি সতর্ক বাণী উচ্চারণ করে বলেন, আমাদের সামনে হয়তো দীর্ঘ সপ্তাহ সমূহ এবং আমাদেরকে অবশ্যই এসব বিধি নিষেধ মেনে চলতে হবে।
ব্রিটেনের চীফ মেডিকেল অফিসার প্রফেসর ক্রিস হুইটি সতর্ক করে বলেন, আগামী শীতকালে কিছু বিধি নিষেধ পুনরায় আরোপ করা হতে পারে, যদি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ আবারো বৃদ্ধি পায়। মি: বরিস জনসন এ বিষয়েও ইংগিত প্রদান করেন যে, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা বর্তমানে তাদের বাসস্থান ব্যবহার না করায় এগুলোর জন্য পরিশোধিত ফী’র বিষয়ে আবার চিন্তাভাবনা করছে তার সরকার। তিনি আরো বলেন, জনগনের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ নিরসনে আগামী সোমবার থেকে ভ্যাকসিন গ্রহণকারীর হালানাগাদ সংখ্যা জানাবেন তার মন্ত্রীরা।
এদিকে নতুন লকডাউন সত্বেও হোম অফিস অবৈধদের বহিষ্কারের ফ্লাইট পরিচালনা অব্যাহত রেখেছে। ডেভিডসন প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন যে, চাকুরীহীন তরুণ লোকজন পর্যাপ্ত সহায়তা পেতে ব্যর্থ হচ্ছে। লেবার পার্টির প্রধান স্যার কেইর ¯স্টার্মার যুক্তরাজ্যকে বিশ্বে সম্পূর্ণভাবে ভ্যাকসিন প্রদানকারী প্রথম দেশে পরিণত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স (ওএনএস) এর পরিসংখ্যান অনুসারে, ইংল্যান্ডের প্রাইভেট গৃহাস্থালীসমূহে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ১১ লাখ। এটা ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারীর মধ্যবর্তী সময়ে ছিলো জনসংখ্যার ২ শতাংশ অর্থাৎ প্রতি অর্ধশতের মধ্যে একজন। ১৭ থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিলো ৮০০৯০০ অর্থাৎ প্রতি ৭০ জনে একজন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button