চার সিটির নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহণ

Cityরাজশাহী, সিলেট, খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলররা রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে শপথ গ্রহণ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহীর মেয়র এম মোসাদ্দেক হোসেন, সিলেটের মেয়র আরিফুল হক, বরিশালের মেয়র এম আহসান হাবীব কামাল ও খুলনার মেয়র এম মনিরুজ্জামানকে শপথ বাক্য পাঠ করান।
তারা গত ১৫ জুন অনুষ্ঠিত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নির্বাচিত হন।
এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম কাউন্সিলরদের শপথ বাক্য পাঠ করান। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন এলজিআরডি সচিব আবু আলম এম শহীদ খান।
কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়–য়া, এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা প্রফেসর এম মোদাচ্ছের আলী ও ইকবাল সোবহান চৌধুরী এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, এলজিআরডি মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে এক সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই চার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হচ্ছে এদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রমাণ করেছি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব এবং এই নির্বাচনে ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়ে আপনাদের মেয়র নির্বাচিত করেছে।’
শেখ হাসিনা মেয়রদের জনগণের প্রতি নিবেদিত হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, পার্টির প্রতি আপনাদের আনুগত্য থাকবেই, তবে জনগণকে সেবা দেয়ার জন্য আপনারা যে শপথ আজ নিলেন এর চেতনা অবশ্যই সমুন্নত রাখতে হবে।
‘ বিগত চার বছরে চার সিটি কর্পোরেশনে নজিরবিহীন উন্নয়ন হয়েছে’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আগামীদিনেও জনগণ যাতে নাগরিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয়, সেজন্য বিরোধী দল থেকে নির্বাচিত মেয়রদের প্রতি উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
নির্বাচিত মেয়রগণ দলীয় দৃষ্টিভঙ্গির ঊর্ধ্বে উঠে জনগণের কল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত করবে এ আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি দায়িত্ব পালনে কোনো রকম অবহেলা না করার জন্যও তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী নবনির্বাচিত মেয়রদের সাফল্য কামনা করে দেশ গঠনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার ব্যাপারেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পবিত্র কোরআন, গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটক পাঠের মধ্য দিয়ে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী মেয়র, কাউন্সিলর ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ছবি তোলেন।
পরে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের নিহত নির্বাহী প্রকৌশলী ও ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অব বাংলাদেশ (আইডিইবি)’র সদস্য এম তৌহিদুল ইসলামের পরিবারের সদস্যগণ এবং আইডিইবি’র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাত করেন।
প্রধানমন্ত্রী তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রীর হাতে ২০ লাখ টাকার সেভিংস সার্টিফিকেট তুলে দেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
প্রকৌশলী তহিদুল ইসলাম চলতি বছরের ২৮ ফেব্র“য়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জে সোনা মসজিদ এলাকায় এক সাম্প্রদায়িক উন্মাদনায় নিহত হন।
শুদ্ধানন্দ মহাথেরোর নেতৃত্বে বৌদ্ধ প্রচার সংঘের ৮-সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলও আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাত করেন।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে আটকেপড়া পাকিস্তানী নাগরিকদের নেতা মরহুম মোহাম্মদ এ এম নাসিম খানের ছেলে হারুন-উর-রশিদের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা দেন।
তিনি গত এপ্রিলে সাভারে মর্মান্তিক রানা প্লাজা ধসে নিহত এজাজ উদ্দিন চৌধুরী কায়কোবাদের পরিবারকেও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। কায়কোবাদের স্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ১২ লাখ টাকার সেভিংস সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার কায়কোবাদের সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ যোগাবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button