রেভেনকোর্ট পার্কে পূণ:স্থাপন করা হয়েছে স্পিটাল স্কোয়ার মোজাইক
খুবই জনপ্রিয় একটি ল্যান্ডমার্ক এবং দীর্ঘকাল মেরামতহীন পড়ে থাকা বারার একটি অন্যতম আকর্ষন স্পিটাল স্কোয়ার মোজাইকটি সংস্কার করে আবারও প্রাণ ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ব্রিক লেনের কাছে অবস্থিত বাক্সটন স্ট্রিটে টমাস বাক্সটন এবং সেন্ট এ্যানস স্কুলের শিক্ষার্থীরা ১৯৯৫ সালে ১২ পিসের এই স্পিটাল স্কোয়ার মোজাইকটি তৈরী করেন। গত কয়েক বছরে এই মোজাইকটিকে তার মূল স্থান থেকে খুলে ফেলা হয় এবং ধ্বংস করে ফেলার জন্য স্কিপে রাখা হয়েছিলো, যেখান থেকে এগুলোকে উদ্ধার করা হয়েছে। বহু বছর ধরে মোজাইকটির প্রায় অর্ধেকটি ব্রিক লেনে ফেলে রাখায় এটির অনেক ক্ষতি হয়। অবশেষে কাউন্সিলের সহায়তায় মোজাইকটি আবার মেরামত করে রেভেনকোর্ট পার্কে স্থাপন করা হয়েছে, যা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন নির্বাহী মেয়র জন বিগস।
এসময় মেয়র বিগস বলেন, অত্যন্ত জনপ্রিয় এই মোজাইকটি আমাদের বাসিন্দাদের কাছে অনেক গুরুত্ব বহন করে এবং এটিতে টাওয়ার হ্যামলেটসের অনেক কিছুই ফুটে ওঠেছে। এটা আবার সংস্কার করা হয়েছে এবং আবারও প্রদর্শন করা হচ্ছে। এই মোজাইকটি বানাতে ৬ মাস সময় লাগে এবং দু’টি স্কুলের ১২০ জন শিক্ষার্থী এতে অংশ নিয়েছিলেন।
শিশু শিক্ষার্থীরা ১২ ফুট লম্বা একটি কংক্রিটকে চমৎকার ডিজাইনে স্থানীয় এলাকার নানান দিক ফুটিয়ে তুলে। এই মোজাইকে তারা মসজিদ, চার্চ, সিনাগগ, স্পিনিং হুইল, সেলাই মেশিন ইত্যাদি দৃশ্য দিয়ে ভরিয়ে তুলে পুরো ১২ ফুটের এই মোজাইক শিল্পে। স্পিটালফিহ্বস মার্কেটের পেছনে পুরনো স্পিটালফিহ্বস হসপিটালের সাইটে গড়ে তোলা গার্ডেনের ল্যান্ডস্কেপ হিসেবে স্থাপন করা হয়েছিলো এই মোজাইকটি। এটি সেসময় অনেক মিডিয়া কভারেজ পেয়েছিলো এবং বিবিসির ব্লু পিটার শোতে এটি দেখানো হয়েছিলো।
এই সাইটটিতে উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে ব্রিক লেনের পুরনো রেলওয়ে আর্চের নীচে সরিয়ে নেয়া হয়েছিলো এই মোজাইকটি, যেখানে দীর্ঘকাল অবহেলায় অযত্নে পড়ে থাকায় অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো এটি।
সংস্কৃতি বিষয়ক কেবিনেট মেম্বার, কাউন্সিলর আব্দুল মুকিত বলেন, স্বেচ্চছাসেবীদের কাজের অসাধারণ একটি উদাহরণ হচ্ছে এই মোজাইকের পুণ:সংস্কার এবং কাউন্সিল সবাইকে নিয়ে এগিয়ে আসে এই ল্যান্ডমার্কটিকে তার আগের জৌলুসে ফিরিয়ে আনতে। মোজাইকটিকে এখন তার নতুন স্থান র্যাভেনক্রোফট পার্কে স্থানান্তর করা হয়েছে।