মধ্যপ্রাচ্যে একমাত্র পরমানু শক্তিধর দেশ হিসেবে থাকতে চায় ইসরাইল
সাম্প্রতিক সময়ে ইসরাইল কর্তৃক ইরানের হামলা কিংবা অন্তত: দেশটির পারমানবিক স্থাপনাসমূহ ধ্বংসের ব্যাপারে ব্যাপক প্রচারণা সকলের মনোযাগ আকর্ষন করেছে।
অবশ্য এদিক দিয়ে ইসরাইলের প্রচেষ্টা নতুন কিছু নয়। তবে এধরনের প্রচারনা চলাকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ইরানে হামলার সম্ভাবনা সম্পর্কে উষ্ণ বার্তা এবং ইরানে হামলার জোরালো সমর্থক ব্যক্তিদের তার মন্ত্রী পরিষদে স্থান দেয়ার বিষয়টি ইসরাইলকে অধিকতর উৎসাহিত করেছে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু মধ্যপ্রাচ্যকে পুনর্বিন্যাস করার নীতি গ্রহন করেছেন। তাই ইসরাইল এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলো যাতে অধিক পরিমানে প্রযুক্তিগত অস্ত্র পেতে না পারে সেজন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে।
সর্বোপরি ইরান যাতে পামানু শক্তির অধিকারী হতে না পারে এজন্য সম্ভব সবকিছু করতে প্রস্তুত সে। ইসরাইল মধ্যপ্রাচ্যে একক পরমানু শক্তিধর দেশ হিসেবে থাকতে চায়।
বলা বাহুল্য, ইসরাইলের পরমানু অস্ত্র থাকার বিষয়টি ১৯৮৬ সালে প্রকাশ পায়। ডায়মোনা পরমানু কেন্দ্রের জনৈক সাবেক কর্মী মর্ডেচাই ভানুনুর স্বীকারোক্তি থেকে থেকে এটা জানা যায়। পরবর্তী বছরগুলোতে উপগ্রহ থেকে তোলা ছবিগুলো থেকেও ইসরাইলের পরমানু অস্ত্র থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।
এভাবে মধ্যপ্রাচ্যে একমাত্র পরমানু বোমার অধিকারী দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পায় ইসরাইল।
১৯৮১ সালে ইসরাইল ইরাকের অসিরাক পরমানু স্থাপনায় এবং ২০০৭ সালে আল-খাইবার পরমানু স্থাপনায় হামলা চালায়। এতেও বুঝা যায়, দেশটি এ অঞ্চলে অন্য কোন দেশ পরমানু শক্তির অধিকারী হোক, এটা চায় না। অপরদিকে, সে নিজে পরমানু বিস্তার রোধ চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে রাজী হয়নি। তার নিজের পরমানু শক্তির সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কোন প্রতিবন্ধকতা বা বাধা মানতে রাজী নয় সে। শুধু তা-ই নয়, ইসরাইল চায় না এ অঞ্চলে অন্য কোন দেশ বিমান শক্তিতে তার চেয়ে বেশী শক্তিশালী হোক। এজন্য তুরস্ককে ন্যাটো সদস্য হতে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে দেশটি।