অর্থনীতিবিদদের সতর্কবানী

সরকারের কর ও ব্যয় কর্তন হিতে বিপরীত হতে পারে

যুক্তরাজ্যের শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতিবিদগন এই বলে সতর্কবানী উচ্চারন করেছেন যে, চ্যান্সেলর জেরেমি হান্টের চলতি সপ্তাহের নির্বাচনপূর্ব কর কর্তন ও ব্যয়ের দরুন দেশকে যথেষ্ট মূল্য দিতে হবে। তারা এটাকে জুয়া খেলার সাথে তুলনা করেন।
অন্যান্য অর্থনীতিবিদদের সমর্থন নিয়ে দু’জন সাবেক উপদেষ্টা বলেন যে, পরবর্তী সরকারের সম্ভাবনাকে বিনাশ করার লক্ষ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহনের পরিবর্তে চ্যান্সেলরের উচিত বিনিয়োগ ও বিকাশকে উজ্জীবনের মাধ্যমে দীর্ঘ মেয়াদী জাতীয় স্বার্থের দিকে আলোকপাত করা।
ট্রেজারি বিভাগের সাবেক অর্থনৈতিক প্রধান দিমিত্রি জেংগেলিস এবং চ্যান্সেলরের উপদেষ্টা পরিষদের জনৈক প্রাক্তন সদস্য আন্না ভ্যালেরো বলেন, দেশকে একটি স্বল্প মেয়াদী বৃত্ত ভেঙ্গে বেরিয়ে আসতে হবে। তারা আরো বলেন: ব্রিটিশ অর্থনীতির শেষ প্রয়োজনটি হচ্ছে, একটি নির্বাচনপূর্ব গ্রাহক ব্যয় উচ্ছ্বাসকে কর কর্তনের দ্বারা উদ্দীপিত করা। গত এক দশকেরও বেশী সময় ধরে অর্থনৈতিক স্বল্পমেয়াদী প্রবনতা এবং স্বল্প ও বায়বীয় বিনিয়োগ যুক্তরাজ্যকে সামষ্টিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও স্থবির জীবনযাত্রার মানের মধ্যে আটকে রেখেছে। ফলে দেশটি বড়ো অর্থনীতিগুলোর মধ্যে উৎপাদনের ক্ষেত্রে দুর্বলতম দেশগুলোর একটিতে পরিনত হয়েছে। তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বাজেটকে ব্যবহারের বিরুদ্ধে এবং ব্যয়কর্তন ও কর কর্তনের দ্বারা রক্ষনশীল এমপিদের চাহিদার সন্তুষ্টি বিধানের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, পরবর্তী সরকারের ভবিষ্যত সম্ভাবনা বিনাশের পরিবর্তে চ্যান্সেররের উচিত যুক্তরাজ্যে উদ্ভাবন ও প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি করে উৎপাদনকে উজ্জ্বীবিতকরন এবং বিকাশের নতুন বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ও টেকসই ধরন সামনে নিয়ে আসা।
গত শনিবার ১০ নম্বর ও ট্রেজারির মধ্যে কর ও ব্যয় সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে উত্তেজনার লক্ষণ দেখা দেয়। প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেন, কর কমানোর জন্য তিনি কঠিন চাপের মধ্যে আছেন।
জনৈক সাবেক রক্ষনশীল অর্থমন্ত্রী ডেভিড গাউকে বলেন, জেরেমি হান্টের সুনাম বিপন্ন। সম্ভবত এটা তার শেষ বড়ো কাজ এবং শেষ বাজেট।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button