প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক জনপ্রিয়তা হ্রাসের শীর্ষে

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এখন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও লেবার নেতা জেরেমি করবিন উভয়ের চেয়ে বেশী অজনপ্রিয়। বরিস জনসন ও জেরেমি করবিন অজনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা অবস্থায় তাদের যে অবস্থা হয়েছিলো তার চেয়েও বেশী খারাপ ঋষি সুনাকের অবস্থা। সম্প্রতি পরিচালিত ইপসোস ইউকে এর জরীপে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
জরীপ অনুসারে, মি: সুনাকের নেট অ্যাপ্রোভেল রেইটং হচ্ছে, মাইনাস ৪৮, যা পদত্যাগের পর মি: জনসন কিংবা মি: করবিনের চেয়েও কম। মি: জনসনের অ্যাপ্রোভেল রেইটিং ছিলো মাইনাস ৪৫, অপরদিকে মি: করবিনের ছিলো মাইনাস ৪৪, ১০ নং থেকে বেরিয়ে আসার পর জনসনের রেইটিং এমন ছিলো। অপরদিকে ২০১৯ সালের নির্বাচনে পরাজয়ের পর একই রকম অবস্থা হয়েছিলো লেবার নেতা করবিনের।
এই রক্ষনশীল নেতা ব্রিটেনের স্বল্পকালীন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের চেয়েও একটু বেশী জনপ্রিয় থাকায় মনে কিছুটা স্বস্তি পেতে পারেন। ২০২২ সালের শরৎকালে লিজ ট্রাস ১০ নং থেকে বিদায় নিলে তার অ্যাপ্রোভাল রেইটিং দাঁড়ায় মাইনাস ৫১।
ইপসোস ইউকে পোলস্টার কেইরাল পেডলী এই বলে সতর্কবানী উচ্চারন করেন যে, রেইটিংয়ের উত্থান-পতন হতে পারে। তাই ঋষি সুনাক যে ভোটের বাজারে একদম নি:স্ব হয়ে পড়েছেন, এমনটি বলা যাবে না। তবে এটা রক্ষনমীলদের এজন্য উদ্বিগ্ন করতে পারে যে, ‘প্রধানমন্ত্রী ভোট জরীপে এতো নিম্নে, যখন আমরা একটি সাধারন নির্বাচনের দিকে যাচ্ছি। জনসনের জনৈক নেতৃস্থানীয় সমর্থক দাবি করেন যে, কমপক্ষে ২৯ রক্ষনশীল এমপি সুনাকের বিরুদ্ধে তাদের আস্থাহীনতা জানিয়ে চিঠি দাখিল করেছেন।
রক্ষনশীল দলের জনৈক পিছন সারির নেতা আন্দ্রিয়া জেনকিন্স, যিনি ঋষি সুনাকের নিয়মিত সমালোচক, বলেন যে, তার দু’ডজনেরও বেশী কলিগ তাকে বলেছেন যে, তারাও এধরনের অনাস্থা চিঠি দাখিল করেছেন। সুনাকের জনৈক মিত্র বলেন, চিঠি নিয়ে সর্বদা কথা বলা বোকামী। শুধুমাত্র স্যার গ্রাহাম (১৯২২ সালের কমিটির সভাপতি ব্রাডি) জানেন তাদের সংখ্যা কতো। রক্ষনশীল দলের এই সিনিয়র নেতা বলেন, সাধারন নির্বাচনের আগে বর্তমান নেতাকে অপসারন পাগলামীর নামান্তর। এদিকে ডানপন্থী রক্ষনশীল নেতারা বলেন যে, তাদের নেতাকে আবার অপসারনের চেষ্টার মধ্যে দলের হারানোর আর অবশিষ্ট কিছু নেই।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button