ব্রিটিশ রাজপরিবারের ‘বিতর্কিত সম্পত্তি’ থেকে ১ বিলিয়ন পাউন্ড আয়

এক অনুসন্ধানে জানা গেছে, কিং চার্লস এবং প্রয়াত রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ তার ডিউকডোম বা ডিউকল্যান্ড থেকে ১ বিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশী অর্থ লাভ করেছেন। রানীর শাসনামলে ডিউকডোমের আয় ১৬ গুন বৃদ্ধি পায়। এই অর্থ দেশের জনগনের পাওয়া উচিত বলে দীর্ঘদিনের বিতর্ক রয়েছে। এই অর্থ এসেছে ল্যাংকাস্টার ও কর্নওয়ালের ডিউকডোম দু’টি থেকে।
বানিজ্যকভাবে পরিচালিত এই ডিউকডোম দু’টিতে রয়েছে বিপুল পরিমান ফার্মল্যান্ড বা খামার ভূমি, অনেকগুলো হোটেল, মধ্যযুগীয় দুর্গ, অফিস, দোকান এবং লন্ডনের কিছু শীর্ষস্থানীয় বিলাসবহুল রিয়েল এস্টেট। এছাড়া তাদের রয়েছে প্রচুর বিনিয়োগ ক্ষেত্র, যেগুলোকে কোন কর্পোরেশন কর কিংবা ক্যাপিটাল গেইন্স ট্যাক্স প্রদান করতে হয় না। পার্লামেন্টারি ও স্টেট আর্কাইভে থাকা ডিউকডোমের হিসাব-নিকাশ থেকে জানা গেছে কীভাবে রানী ও তার প্রথম সন্তান, যিনি তার পদাধিকার বলে ডিউক অব কর্নওয়াল, সত্তর বছরের শাসনামলে কতো বিপুলভাবে এগুলোর রাজস্ব বা আয় থেকে লাভবান হয়েছেন।
গত বছর তাদের ডিউকডোম থেকে আয় হয়েছে মোট ৪১.৮ মিলিয়ন পাউন্ড। মূল্যস্ফীতির জন্য সংগতি বিধানের পর দেখা গেছে তাদের অর্জিত হয়েছে ১.২ বিলিয়ন পাউন্ড। ল্যাংকাস্টারের ডিউকডোমে রয়েছে ১৮ হাজার ৪৮১ হেক্টর গ্রামীন ভূমি, প্রাথমিকভাবে উত্তর ইংল্যান্ডে এবং মিডল্যান্ডসে। এর আয় স্বয়ংক্রিভাবে চলে যায় সিংহাসনে আসীন ব্যক্তির অনুকূলে। সম্পত্তিটির নিজস্ব মূল্য ৬৫২ মিলিয়ন পাউন্ড।
কর্নওয়াল ডিউকডোমে রয়েছে ৫২ হাজার ৪৫০ হেক্টর ভূমি, যার অধিকাংশ দক্ষিন-পশ্চিম ইংল্যান্ডে অবস্থিত। এর মূল্য ২ বিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশী। এর লাভ শুধুমাত্র রাজতন্ত্রের পুরুষ সদস্যই পেয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে ২০১৩ সালে ইংল্যান্ডে পাশকৃত লিঙ্গ সমতার আইন রাজকীয় উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে কার্যকর নয়। গত বছর যখন চার্লস (৭৪) রাজা হন, তখন কর্নওয়াল ডিউকডোম আপনাআপনি তার পুত্র প্রিন্স উইলিয়াম (৪০)- এর অনুকূলে হস্তান্তরিত হয়। এভাবে তিনি একজন বিলিয়নারে এবং ইংল্যান্ডের অন্যতম বৃহৎ ভূমির মালিকে পরিনত হন। তিনি কমপক্ষে বার্ষিক ২০ মিলিয়ন পাউন্ড পাবেন এটা থেকে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button