নতুন আশ্রয় পদ্ধতিতে ব্যয় হবে ২.৭ বিলিয়ন পাউন্ড

একটি নতুন বিশ্লেষণ অনুসারে, সরকারের নতুন আশ্রয় পরিকল্পনায় বার্ষিক আড়াই বিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশী ব্যয় হবে। যা বর্তমান পদ্ধতিতে ব্যয়ের প্রায় দ্বিগুন। ‘টুগেদার উইথ রিফিউজিজ’- এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ন্যাশনালিটি এন্ড বোর্ডারস্ বিল- এর অধীনে যুক্তরাজ্যের আশ্রয়ের ৫ টি প্রধান নতুন কম্পোন্যান্টের জন্য অতিরিক্ত ব্যয়ের প্রয়োজন হবে বার্ষিক ২.৭ বিলিয়ন পাউন্ড।
হাউস অব লর্ডস- এর উপস্থাপিত এই বিতর্কিত বিলে যুক্তরাজ্যের আশ্রয় নীতিমালায় তাৎপর্যপূর্ন পরিবর্তনের সূচনা করবে। এতে শরনার্থী সুরক্ষা প্রার্থী ওইসব লোকজনকে আটকানো কিংবা বিচারের কাঠগড়ায় নিয়ে আসার ব্যবস্থাও অন্তর্ভূক্ত, যারা হোম অফিসের পূর্ব ব্যবস্থাপনাকৃত রুট বা পন্থায় যুক্তরাজ্যে আসবে না।
ডিসেম্বরে হাইকোর্টের রুলিং সত্বেও মন্ত্রীবর্গ এখনো পরিবর্তনসমূহের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। ইউএন রিফিউজি এজেন্সী (ইউএনএইচসিআর) উপর্যুপরি বলেছে ইউএন রিফিউজি কনভেনশন নিয়ে তারা বিপত্তির মধ্যে আছে। নতুন পরিকল্পনার অধীনে সরকার লোকজনকে সুপরিসর আবাসন কেন্দ্রসমূহে কিংবা বিদেশের প্রক্রিয়াকরন কেন্দ্রগুলোতে স্থান দেবে, যখন পরীক্ষা করে দেখা হবে তারা ব্রিটেনে আসার পথে যেসব ইইউ দেশসমূহ দিয়ে এসেছে, সেগুলোতে তাদের পাঠনো যায় কি-না। যদি এটা করা না যায়, শরনার্থী হিসেবে স্বীকৃত লোকজনকে যুক্তরাজ্যে অস্থায়ী ধরনের মর্যাদা মঞ্জুর করা হবে এবং আড়াই বছর পর পর তাদেরকে একটি অতিরিক্ত মূল্যায়ন বা পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে যাতে তাদের নির্বার্সিত করা যায় কি-না তা যাচাই করে দেখা হবে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, নতুন বড়ো আকৃতির আবাসন কেন্দ্রসমূহ স্থাপন ও পরিচালনায় বার্ষিক ৭১৭.৬ মিলিয়ন পাউন্ড আবশ্যক হবে। আর অফশোর অর্থ্যাৎ বিদেশে প্রক্রিয়াকরন কেন্দ্রসমূহ স্থাপন ও পরিচালনায় ব্যয় হবে বার্ষিক ১.৪৪ বিলিয়ন পাউন্ড। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, অনিয়মিত রুটসমূহ দিয়ে আগত লোকজনকে কারারুদ্ধ করনে বার্ষিক আরো ৪৩২ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় হবে এবং ১১৭.৪ মিলিয়ন পাউন্ডের প্রয়োজন হবে শরনার্থী সুরক্ষাপ্রার্থী লোকজনকে নির্বাসিত করণে। এছাড়া বার্ষিক ১.৫ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় হবে অস্থায়ী সুরক্ষা স্ট্যাটাস প্রদত্ত লোকজনের জন্য অতিরিক্ত আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকরন ব্যয় মেটাতে।
আশ্রয় পদ্ধতির সর্বশেষ বার্ষিক ব্যয়ের প্রায় দ্বিগুন হচ্ছে বর্ণিত ২.৭ বিলিয়ন পাউন্ড, যা ছিলো ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে ১.৪ বিলিয়ন পাউন্ড।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button