সেবা খাতে ইমিগ্রেশন নীতি শিথিল করছে যুক্তরাজ্য

সেবা খাতে কর্মী ঘাটতি পূরণে ইমিগ্রেশন নীতি সাময়িকভাবে শিথিল করছে যুক্তরাজ্য। এর ফলে এই খাতে কাজে আগ্রহী বিদেশিরা আরও সহজে ভিসা পাবেন। সম্প্রতি ব্রিটিশ সরকার এ ঘোষণা দিয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। জানা গেছে, সামাজিক সেবা কর্মী, সেবা সহযোগী ও গৃহকর্মীরা ১২ মাসের জন্য যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য ও সেবা ভিসার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। এই উদ্যোগ কর্মী ঘাটতি পূরণে সাহায্য করবে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য ও সামাজিক সেবা দপ্তর জানিয়েছে, সাময়িক ব্যবস্থাটি নতুন বছরের শুরু থেকেই কার্যকর হতে পারে। এর আগে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছিলেন, ব্রেক্সিটের পর যুক্তরাজ্যের সেবা খাতে কর্মী ভাড়া ও ধরে রাখার ক্ষেত্রে গুরুতর সমস্যা ক্রমেই বাড়ছে। যুক্তরাজ্যের ঘাটতিতে থাকা পেশার তালিকায় সেবা খাতকে যোগ করা হতে পারে। এই তালিকা অভিবাসী কর্মীদের ভিসা পেতে সাহায্য করে।
বিবিসির রাজনৈতিক সংবাদদাতা হেলেন ক্যাটের মতে, ব্রিটিশ সরকারের এই উদ্যোগ হয়তো সাময়িকভাবে সমস্যার সমাধান হবে, তবে এই সংকটের দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের জন্য মন্ত্রীদের ওপর চাপও তৈরি করবে। যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইউউ) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকে জোটভুক্ত প্রতিবেশী দেশগুলোর সামাজিক সেবাকর্মীরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আর কাজের যোগ্য বলে বিবেচিত হচ্ছেন না। এর বদলে তাদের ভিসার জন্য আবেদন করতে হচ্ছে।
চলতি মাসে যুক্তরাজ্যের অভিবাসন উপদেষ্টা কমিটি সুপারিশ করেছে, সেবাকর্মীদের যেন ঘাটতিতে থাকা পেশার তালিকায় যোগ করা হয়। এই তালিকায় যোগ করতে হলে সেবাকর্মীদের বার্ষিক ২০ হাজার ৪৮০ পাউন্ড বেতন দিতে হবে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২৩ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। এছাড়া, তখন বিদেশি সেবাকর্মীরা স্বামী/স্ত্রী, সন্তানসহ তাদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদেরও যুক্তরাজ্যে নিয়ে যেতে পারবেন। এই ভিসার মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর। তবে এরপর তা আবারও নবায়ন করার সুযোগ থাকবে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button