‘তত্ত্বাবধায়কের দাবি আমার নয়, হাসিনার’

Kaledaকাজী সুমন ও জাভেদ ইকবাল, রংপুর থেকে: ‘হটাও আওয়ামী লীগ বাঁচাও দেশ’ স্লোগানকে সামনে রেখে দেশের সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। রংপুর জিলা স্কুল মাঠে লাখো মানুষের সমাবেশে তিনি বলেন, সরকার দেখছে আমরা যেখানে যাচ্ছি সেখানেই জনতার ঢল নামছে। সারা দেশে সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের যে স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ দেখছি তাতে নিশ্চিত আগামীতে ১৮ দলীয় জোট ক্ষমতায় আসবে। এখন জনগণের এক আওয়াজ- ‘হটাও আওয়ামী লীগ বাঁচাও দেশ।’ এ জন্য সরকার নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে ভয় পাচ্ছে। আওয়ামী লীগকে হটাতে সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
বিরোধী নেতা বলেন, তত্ত্বাবধায়কের দাবি আমার নয়, হাসিনার। ৯৫-৯৬ সালে তিনিই তত্ত্বাবধায়কের দাবি তুলেছিলেন। তখন তারা জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করেছিলেন। এখন তাদের স্বাধীনতা বিরোধী বলে অত্যাচার নির্যাতন করছে। ওই দাবিতে তারা ১৭৩ দিন হরতাল করেছে। ভাঙচুর হত্যা জ্বালাও পোড়াও চালিয়েছে। এবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে তত্ত্বাবধায়ক তুলে দিয়েছে। তারা বলে, আদালতের রায়ে তারা তত্ত্বাবধায়ক বাতিল করেছে। আমি বলছি, আদালতের রায়ে নয়, আওয়ামী লীগ নিজেদের স্বার্থে তত্ত্বাবধায়ক বাতিল করেছে। কারণ তারা জানে, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তাদের ভরাডুবি হবে, পরাজয় হবে। এজন্য নির্দলীয় সরকারকে তারা ভয় পায়।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশে করে খালেদা জিয়া বলেন, ২০০৭ সালে আপনি নিরপেক্ষ ব্যক্তি বিচারপতি কে এম হাসানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে মেনে নেননি। আর আপনি হাসিনা দলীয় প্রধান। আপনাকে কেন আমরা মানবো? আপনাকে মানার প্রশ্নই ওঠে না। আপনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। আপনাকে বিদায় নিতে হবে। তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, আপনারা মেয়াদ পূর্ণ করুন, আমাদের কোন আপত্তি নেই। তবে নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় নিরপক্ষে সরকারের অধীনেই। উন্নয়নের এত কথা বলছেন। যদি সাহস থাকে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। যদি সত্যিই উন্নয়ন করে থাকেন, জনগণের ওপর নির্যাতন না করেন, তাহলে এত ভয় কেন? সংসদের অধিবেশন চলছে। আগামী ২৪শে অক্টোবর অধিবেশন শেষ হবে। এর মধ্যে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক বিল সংসদ আনুন। পাস করুন। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ও কাঠামো কি হবে সেটা নিয়ে আলোচনায় বসতে পারি। তার আগে কোন আলোচনা নয়। রংপুরবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আমার দাবি একটাই, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন। জনতার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা কি নামবেন রাজপথে? প্রবল বৃষ্টির মাঝে লাখো মানুষের গগনবিদারী আওয়াজ ‘হ্যাঁ’। তাহলে রাজপথেই দেখা হবে। রংপুরবাসীকে শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে অংশ না নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা দলীয় নির্বাচনে অংশ নেবেন না। দেশের ৯০ ভাগ মানুষের পক্ষের নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে এ সরকারকে বাধ্য করতে হবে। আমি আজ ভোট চাইতে আসিনি। পাতানো ভোট রুখতে হবে। সে আহ্বান জানাতেই এখানে এসেছি।
খালেদা জিয়া বলেন, সরকার ভয় দেখায় হরতাল অবরোধ দিলে জেলে ভরে দেবে। হরতাল-অবরোধ করলে নাকি পাঁচ বছরের জেল দেয়ার আইন পাশ করবেন। যেহেতু আমিই দলের প্রধান সে হিসেবে আমিই তাদের টার্গেট। কিন্তু সভা-সমাবেশ-মিছিল-মিটিং-হরতাল-অবরোধ আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। হরতাল-ধর্মঘট করলে জেলের যে আইন করে যাবেন, সে আইন আপনাদের ওপর প্রয়োগ হবে। আপনাদের জেলে যেতে হবে। সরকারকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, আন্দোলন করলে জেল-জুলুমের ভয় দেখান। অনেক অতীতে জেল খেটেছি। জুলুমের শিকার হয়েছি। বহু অত্যাচার সহ্য করেছি। তাই আমি জেলের ভয় পাই না। আমরা ২৫শে অক্টোবর পর্যন্ত দেখবো। সংসদে কালো আইন পাস করলে আমরা এ ইস্যুতে রাজপথে নামতে বাধ্য হবো। সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, অন্যের জন্য গর্ত করলে নিজেকেও ওই গর্তে পড়তে হবে। নির্বাচন কমিশনকে কোমর সোজা করে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বিরোধী নেতা বলেন, একদলীয় নির্বাচন আপনারা করতে পারেন না। নির্বাচন কমিশন মেরুদণ্ডহীন, তারপরও তাদের বলবো কোমর সোজা করে দাঁড়ান। শুধু সরকারের কথায় চলবেন, বিরোধী দলের কথা শুনবেন না, এটা হতে পারে না। জনগণের কথা না শুনলে আপনাদেরও বিদায় নিতে হবে। ভোলা, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপনির্বাচনসহ বিভিন্ন নির্বাচনে ভোট কারচুপির কথা উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ ভোট চুরি ডাকাতি করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। তারা দেশকে ধ্বংস করে দিতে চায়। কিন্তু তা হতে দেয়া হবে না।
কেন দলীয় সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে না- তারও ব্যাখ্যা দেন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, ডিসি, টিএনও, এসপি, ওসি, শিক্ষকদের বলে দেয়া হয়েছে, কিভাবে নির্বাচনে কাজ করতে হবে। আওয়ামী দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে। শিক্ষকদেরকেও আওয়ামী লীগ সরকার নিজেদের পক্ষে কাজ করাতে চায়। শিক্ষক, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, চিকিৎসক, প্রকৌশলীসহ সকল পেশাজীবীর উদ্দেশ্যে ১৮ দলীয় জোট নেত্রী বলেন, আপনারা সরকারের কথায় চলবেন না। একদলীয় নির্বাচনের কোন কাজে অংশ নেবেন না। অন্যায় ভোটে অংশ নেবেন না। তিনি সরকারি চাকরিজীবী ও পেশাজীবীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা নির্ভয়ে কাজ করুন। আওয়ামী লীগ আর তিন মাস ক্ষমতায় আছে। তারা চাকরি খেতে পারবে না। তিনি বলেন, নির্ভয়ে থাকুন। আমরা জনগণকে নিয়ে আপনাদের পাশে থাকবো।
পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, দেশ সবার। ব্যক্তি বা দলের হয়ে আপনারা কাজ করবেন না। এ সরকারের মেয়াদ আর মাত্র তিন মাস। তাদের বিদায় নিতেই হবে। নিতেই হবে। নিতেই হবে। তারপর নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। সে নির্বাচনে জনগণ ১৮ দলীয় জোটকে ক্ষমতায় আনবে।
খালেদা জিয়া বলেন, ৫ই মে মতিঝিলে হেফাজতে ইসলামের ওপর নির্বিচারে এক লাখ ৫০ হাজার রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে। আবার বলা হচ্ছে ওই সব নাকি গরুর রক্ত। তারা ক্ষমতায় এসে বিডিআরে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। হরতাল ডাকলে গুলি করে মানুষ মারা হচ্ছে। ব্যর্থ সরকার ক্ষমতায় তাকলে আরও অনেককে জীবন দিতে হবে। হরতাল আহবানকারীদের বাসায় ঢুকে গুলি করা উচিত- সরকারের মন্ত্রী আবদুল লতিফ ছিদ্দিকীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, অবিলম্বে এ মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করুন। তিনি গুলি করে হত্যা করতে  উস্কে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আপনারা বহু রাজনৈতিক নেতাকে অন্যায়ভাবে জেলে রেখেছেন। আমি সব রাজবন্দির মুক্তি চাই। জামায়াত ইসলামী নেতাদের ওপর নির্যাতন করছেন। শিবির সভাপতি দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীকে নির্যাতন করা হচ্ছে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের বন্ধু ছিল জামায়াত ইসলামী। কারণ সেদিন তারা আওয়ামী লীগের জোটে ছিল। আজ তাদের জোটে নেই বলে জামায়াত যুদ্ধাপরাধী। তাদের শত্রু। খালেদা জিয়া বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে অনেক রাজনীতিককে আটক রাখা হয়েছে। আমাদের সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলীকে গুম করেছে কে? এই আওয়ামী লীগ সরকার। চৌধুরী আলমকে গুম করেছে। হরতালের দিনে তারা বিশ্বজিৎকে হত্যা করেছে। সীমান্তে ফেলানী হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, সরকার বোবা। তারা এর কোন প্রতিবাদ করতে পারে না। এ আওয়ামী লীগের বিরুেদ্েধ সোচ্চার হতে হবে, জেগে উঠতে হবে। রংপুর জেগেছে তারা পারবে ইনশাআল্লাহ।
‘বিএনপির আমলে সন্ত্রাস বাড়ে’ প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া বলেন, এটা বারবার প্রমাণিত হয়েছে- আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই দ্রব্যমূল্য বাড়ে। সন্ত্রাস ও জঙ্গি হামলা বেড়ে যায়। লুটপাট হয়। বোমা ফোটে। রমনা বটমূল, পল্টনে সিপিবির সমাবেশ, যশোরে উদীচীর অনুষ্ঠানে বোমার বিস্ফোরণ ঘটেছিল। এমনকি গোপালগঞ্জেও বোমা উদ্ধার হয়েছিল। শায়খ আবদুর রহমানের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, শায়খ রহমান আওয়ামী লীগের এমপি মির্জা আজমের দুলাভাই। জঙ্গি শায়খ রহমানকে আমরা ধরেছি। শাস্তি দিয়েছি। তিনি বলেন, বিচার বিভাগকে আওয়ামী লীগ ধ্বংস করে দিয়েছে। আমরা আদালতে গিয়ে বিচার পাই না। এটর্নি জেনারেলের ইশারায় মামলার রায় হয়। বিরোধী মত দমনে আদালত সরকারের হাতিয়ার হয়ে কাজ করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
সরকারের দুর্নীতি ও লুটপাটের ফিরিস্তি তুলে ধরে খালেদা জিয়া বলেন, শেয়ার বাজার লুট করেছেন। ডেসটিনি, হল-মার্ক, অনেক ব্যাংকের টাকা লুট করেছেন। এ লুটপাটকারীদের ধরা হয় না। সরকার প্রধানও এসব অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত। যে অন্যায় করেছেন, আল্লাহ এ দুনিয়াতেই এর বিচার দেখাবে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সন্ত্রাস ও দুর্নীতি বন্ধ করার অঙ্গীকারের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, দেশ, জনগণ, মানুষ ও গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হবে। আমরা সন্ত্রাস বন্ধ করবো। দুর্নীতি রোধ করবো। আমরা ক্ষমতায় গেলে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবো। একটি ভাল সরকার দেবো। সেখানে কোন দুর্নীতি থাকবে না। অনিয়ম থাকবে না। কেউ দুর্নীতি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবো। সে দুর্নীতিবাজ আমার দলের হোক, বাইরের হোক। দুর্নীতি করলে কেউ রেহাই পাবে না। তিনি বলেন, ১৮ দল ক্ষমতায় গেলে জনগণকে পেট ভরে খাবার দেবো। কৃষিতে ভর্তুকি দিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধি করবো। নতুন নতুন কলকারখানা নির্মাণ করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবো। বেকারত্ব কমাবো। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, মেধাবীদের চাকরি নিশ্চিত করা হবে। কোটা পদ্ধতিকে ঢেলে সাজানো হবে। ১০ থেকে ১৫ ভাগ কোটা রেখে মেধাবীদের মূল্যায়ন করা হবে। এতে প্রশাসনও মেধানির্ভর হবে। ক্ষমতা এলে উন্নয়নের রাজনীতির অঙ্গীকারের কথা জানিয়ে বেগম জিয়া বলেন, আমরা একটি সুন্দর বাংলাদেশ গঠন করতে চাই। যেখানে হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান প্রত্যেকেই নিজেদের সুন্দরভাবে নিজেদের ধর্ম পালন করতে পারবেন, জীবনযাপন করতে পারবেন। তিনি বলেন, শিক্ষার উন্নয়ন আমরাই করেছি। বিএনপি আমলে মেয়েদের দশম শ্রেণী পর্যন্ত ফ্রি করে দেয়া হয়েছিল। চাকরির ব্যবস্থা করেছি। মেয়েদের অগ্রগতির যা কিছু তা আমরাই করেছি। উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে ১৮ দলীয় জোটের প্রার্থীকে বিজয়ী করার আহ্বান জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসলে দুর্নীতি, লুটপাট, খুন, হত্যা, দলীয়করণ করবে। দ্রব্যমূল্য বাড়বে। দেশে দুর্ভিক্ষ অবস্থার সৃষ্টি হবে। আওয়ামী লীগ মানেই দুর্ভিক্ষ। এ সময় তিনি রংপুরের বাসন্তীর কথা উল্লেখ করেন। বৃষ্টিকে আল্লাহর রহমত হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেন এ রহমত জানেন? রংপুর আজ জেনেছে। তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে। ক্ষমতায় এলে রংপুরে গ্যাস সংযোগ, রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজসহ নানা উন্নয়নের অঙ্গীকার করেন। রংপুরবাসীর উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, আমরা রংপুরে একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার সে প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছে। আগামীতে ক্ষমতায় এলে সে বিশ্ববিদ্যালয় করার অঙ্গীকারের কথা জানান তিনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সীমান্তবর্তী এই এলাকার কিশোরী ফেলানীকে হত্যা করেছে বিএসএফ। কিন্তু সরকার তার বিচার আদায় করতে পারেনি। সরকার মিথ্যাচার করছে এমন অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলছেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশে আবার জঙ্গিদের তৎপরতা শুরু হবে। কিন্তু দেশের মানুষ জেনে গেছে দেশকে দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদমুক্ত রাখতে হলে খালেদা জিয়ার কোন বিকল্প নেই। তিনি বলেন, সরকার চুরি করে এবং ১৮ দলকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করতে চায়। তবে সে নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। দলীয় সরকারের অধীনে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মো. মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, শামসুল ইসলাম এমপি। বলেন, বেআইনি সভা সমাবেশ শুরু করেছেন। নৌকায় ভোট  দিলে জনগণ গণতন্ত্রের জানাজা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, হানাহানি এবং তথাকথিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের নামে বিচার করা হচ্ছে। জনগণ এর জবাব দিবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশের মানুষ নির্বাচন হতে দেবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। জেলা বিএনপির সভাপতি মোজাফফর আহমেদের সভাপতিত্বে এছাড়াও খেলাফত মজলিশের আমীর মাওলানা মো. ইসহাক, এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ, বিজেপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ নেজামী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি, এনডিপির গোলাম মোর্তজাসহ স্থানীয় বিএনপি ও ১৮ দলের নেতৃবৃন্দ। সমাবেশ শেষে খালেদা জিয়া কিছু সময় রংপুর সার্কিট হাউজে বিশ্রাম শেষে তিনি কেরামত উল্লাহর মাজার জিয়ারত করেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button