বর্তমান সরকারের সময়ে ৩০,৭৫,৩৪৮ জন কর্মীর বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর চলতি বছরের মে পর্যন্ত মোট ৩০ লাখ ৭৫ হাজার ৩৪৮ জন কর্মী বিদেশে কর্মসংস্থান লাভ করেছে। বর্তমানে বিদেশে কর্মী প্রেরণকারী দেশের সংখ্যা ১৬০টি।
তিনি আজ সংসদে সরকারি দলের সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বৈদেশিক কর্মসংস্থান খাতের আয় বছর বছর বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৪ সালে প্রায় ১৪.৯৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। এই অর্থ শুধুমাত্র জিডিপি সমৃদ্ধ করেছে তাই নয়, এটা দেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন তথা পল্লী উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সুরক্ষায়ও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, সরকারের সফল শ্রম কূটনৈতিক তৎপরতার ফলে বিদ্যমান শ্রম বাজার ধরে রাখার পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে নতুন নতুন শ্রম বাজার হিসেবে ইতোমধ্যে মরিশাস, পোল্যান্ড, সুইডেন, বেলারুশ, পাপুয়া নিউগিনি, সিসিলি, আলজেরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, এ্যাঙ্গোলা, কঙ্গো, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, রুমানিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, রাশিয়া, সুদান, হংকং, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ডসহ প্রভৃতি দেশে কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে কর্মী প্রেরণ করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়া সরকারের সাথে বাংলাদেশ সরকারের জি টু জি পদ্ধতিতে জনশক্তি প্রেরণের বিষয়ে স্বাক্ষরিত এমওইউ-এর ভিত্তিতে জি টু জি প্রক্রিয়ায় জনপ্রতি মাত্র ২৮ হাজার ২শ’ টাকা ব্যয়ে মালয়েশিয়ায় গমন করছে।
তিনি বলেন, বিএমইটির মাধ্যমে স্বল্প খরচে হংকং-এ নারী কর্মী প্রেরণ শুরু হয়েছে। আশা করা যায়, প্রায় ১ লাখের মত নারী কর্মী প্রেরণ করা সম্ভব হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী বলেন, বিএমইটির আওতাধীন বিভিন্ন জেলায় ৫১টি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে ৪৮টি কর্মসংস্থান উপযোগী ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। এ সকল প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে জবপ্লেসমেন্ট সেল তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে প্রশিক্ষণ প্রদানের সক্ষমতা বছরে প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যুব ও যুব মহিলাগণ দেশে ও বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছে। এছাড়া আরো ১৭টি নতুন কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ২টি আইএমটি স্থাপনের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে, যা ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সমাপ্ত হবে। নতুন নির্মাণাধীন এ সকল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপিত হলে প্রশিক্ষণের সক্ষমতা ১ লাখ ৫০ হাজার দাঁড়াবে।
তিনি বলেন, এছাড়াও বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশী কর্মীদের কল্যাণ সুনিশ্চিত করা এবং নতুন নতুন শ্রম বাজার সম্প্রসারণের জন্য বিদ্যমান ১৬টি শ্রম উইং-এর জনবল বৃদ্ধিসহ নতুন করে আরো ৮১টি পদ সম্বলিত ১২টি শ্রম উইং চালু করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button