ট্রাইব্যুনালে সাজাপ্রাপ্তরা প্রার্থী হতে পারবে না

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল আইনে সাজাপ্রাপ্তরা আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। আর এ জন্য নির্বাচনী আইন বা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করা হচ্ছে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, আর জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের ব্যাপারে আদালতের রায়ের কপি পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না। শেরেবাংলা নগরের নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ে গতকাল সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। তিনি জানান, ট্রাইব্যুনালে সাজাপ্রাপ্ত বা দোষী প্রমাণিতরা যাতে কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন সে জন্য আমরা এ ধরনের আইন নিয়ে আলোচনা করেছি। কিছু সংশধোনী আনা হচ্ছে। সিইসি জানান, সংশোধনীটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর এটি সংশোধিত আইন আকারে সংসদে পাস হবে। আন্তর্জাতিক আদালত জামায়াতকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলায় এই দলের নিবন্ধন থাকবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে রায়ের কপি না পাওয়া গেলে কিছু বলা যাবে না। তিনি বলেন, যেহেতু আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামায়াতকেও যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত করেছেন, তাই এই দলটির নিবন্ধন বাতিল হবে কি না সে বিষয়ে একটা সিদ্ধান্তে আসতে হবে। তবে আদালতের রায় হাতে পাওয়ার পরই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে বলে সিইসি জানান। বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) নামে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের ব্যাপারে বিভিন্ন দলের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও তাদের নিবন্ধন দেয়া হবে কি না জানতে চাইলে সিইসি বলেন, আমরা এখনো মাঠপর্যায়ে যাচাইয়ের কাজ করছি। এরপর তাদের শর্ত পূরণ হলে আমরা পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি দেবো। তখন কেউ আপত্তি করলে আমরা বিবেচনা করব। ধানের শীষের আদলে গমের শীষ প্রতীক বরাদ্দ চাওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে প্রধান শর্তগুলো যাচাই-বাছাই করে চূূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হোক। তারপর প্রতীকের ব্যাপারটা দেখা যাবে। তিনি বলেন, কমিশন এ ব্যাপারে যাচাই-বাছাই করে দলটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনী আছে কি নাÑ এমন প্রশ্নের জবাবে রকিবউদ্দিন আহমদ জানান, এটি প্রস্তাবে ছিল না। অর্থাৎ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়টি আরপিওতে উল্লেখ থাকছে না।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button