কাবা শরিফের আঙিনায় স্থাপন হচ্ছে ৬২টি বৃহদাকার ছাতা

সউদী আরবের পবিত্র নগরী মক্কায় হজ ও ওমরাহ পালনে আসা হজযাত্রীদের সুবিধায় পবিত্র কাবা শরিফের আঙিনায় স্থাপন করা হচ্ছে ৬২টি বৃহদাকার ছাতা। নির্মাণাধীন এসব ছাতার প্রতিটির নিচে অবস্থান করতে পারবেন আড়াই হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান। মক্কার বায়তুল্লাহ চত্বর থেকে প্রায় ৩০ মিটার উচ্চতায় স্থাপন করা হচ্ছে ছাতাগুলো। রোদের তীব্রতা থেকে মুসল্লিদের সুরক্ষা দিতেই ছাতাগুলো নির্মিত হচ্ছে।
প্রচন্ড গরমে হজ ও ওমরাহ পালনকারীদের কষ্টের কথা চিন্তা করে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে প্রয়াত বাদশাহ মালিক আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ আল-সাউদই এসব ছাতা নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
পবিত্র হজ ও ওমরাহ পালনকারীদের সুবিধার্থে মদিনার মসজিদে নববির ভেতরের উন্মুক্ত স্থান এবং বাইরের আঙিনায় স্থাপিত ভাঁজ করা ছাতার আদলেই বৃহদাকার এসব ছাতা নির্মাণের কাজ শুরু করেছে হারামাইন কর্তৃপক্ষ। একেকটি ছাতা দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে ৫৩ মিটার।
সউদী আরব সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় জাপানি প্রযুক্তিতে জেনারেল প্রেসিডেন্সি টু হলিমস্ক নামের একটি কোম্পানি ছাতাগুলো নির্মাণ করছে। এ কাজে ২৫ জন অভিজ্ঞ প্রকৌশলীর নেতৃত্বে দক্ষ কারিগর ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা নির্মাণকাজে অংশ নিয়েছেন।
প্রতিটি ছাতার ওজন হবে প্রায় ১৬ টন। হারাম শরিফের ওপরে আটটি এবং হারামের উত্তর পাশে ৫৪টি ছাতা বসানো হবে। সবকটি ছাতা মিলে প্রায় ১৯ হাজার ২০০ বর্গমিটার স্থানজুড়ে ছায়া দেবে। কাবা শরিফের ছাদও এমন মডেল ছাতার ছায়াতলে থাকবে।
ভাঁজ করে রাখা যাবে, এমন ছাতাগুলোতে থাকবে বড় ঘড়ি ও এইচডি স্ক্রিন, যাতে হজ পালনে আগতদের জন্য থাকবে দিকনির্দেশনা। ছাতাগুলোতে থাকবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা। হাজি ও প্রার্থনাকারীদের বিশ্রামের জন্য ছাতার নিচে থাকবে ২২টি বেঞ্চ ও উচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
আল-হারাম মসজিদের উত্তর পাশে স্থাপিত ছাতাগুলোর নিচে একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারবেন চার লাখ মুসল্লি। ছাতাগুলো খোলার সময় মনে হবে যেন বাগানে ফুল ফুটছে। এ ছাতা নির্মিত হলে বায়তুল্লাহ চত্বরসহ কাবা শরিফের হবে দৃষ্টিনন্দন ও অনিন্দ্যসুন্দর স্থাপনা।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button