সাত মাসে চাকরিচ্যুত ২৫ হাজার, ৪০ কারখানা বন্ধ

বন্ধ হচ্ছে একের পর এক তৈরি পোশাক কারখানা

মুহাম্মাদ আখতারুজ্জামান: ভালো নেই দেশের তৈরি পোশাক খাত। দেশে তৈরি পোশাক শিল্প তথা বস্ত্র খাতের উত্থান শুরু হয়েছে সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকসমূহের পজেটিভ ভূমিকার মাধ্যমে। বর্তমানে সে অবস্থা আর নেই। উচ্চ সুদের হার ও ব্যাংকের অসহযোগিতায় বন্ধ হচ্ছে একের পর এক তৈরি পোশাক কারখানা। প্রতিদিনই বন্ধ হচ্ছে কোনো না কোনো কারখানা। এক হিসাবে দেখা যায়, গত মে মাসের ১৮দিনেই ২২টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। বেতন ভাতা পরিশোধ করতে না পারা, শ্রমিক বিক্ষোভ ও শেয়ার্ড বিল্ডিং ব্যবহারের মতো নানা কারণে এসব কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ বলছে, গত সাড়ে ৬ মাসে ৪৬টি তৈরি পোশাক কারখানা (গার্মেন্ট) বন্ধ হয়ে গেছে। এতে চাকরি হারিয়েছেন ২৫ হাজার ৪৫৩ শ্রমিক ও কর্মকর্তা। গার্মেন্ট খাতের এ অবস্থা সার্বিক অর্থনীতিতে চাপ বাড়াবে বলে মন্তব্য করে বিজিএমইএ’র সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, এটা আমাদের গার্মেন্ট খাতে সাংঘাতিক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কারণ এতগুলো মানুষের চাকরি গেলে তারা কোন সেক্টরে চাকরি পাবে না।
গত মাসে রাজধানীর শ্যামলীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে আলিফ অ্যাপারেলস নামে একটি গার্মেন্টের কর্মীরা। শ্রমিকরা জানান, নোটিশ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তাই তারা সড়ক অবরোধ করে। তারা বলেন, গত ১১ আগস্ট তারা ঈদের ছুটিতে যান। ঈদের ছুটি কাটিয়ে গার্মেন্ট খোলার কথা ছিল। ২১ আগস্ট সকালে এসে তারা গার্মেন্টের গেটে তালা দেখতে পান। এছাড়া গেটে পুলিশ অবস্থান নেয়। গার্মেন্ট বন্ধ এমন একটি নোটিশ গেটে টাঙ্গিয়ে দেয়া হয়।

শ্রমিক নেতারা বলেন, শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা না দিয়ে পার পেতে মালিকরা ঈদের ছুটিকে কারখানা বন্ধের উপযুক্ত সময় হিসেবে বেছে নেয়। ফলে ঈদের ছুটির পর পর শ্রমিকরা বাড়ি থেকে এসে দেখে কারখানায় তালা লাগানো। আবার কোনো কোনো কারখানা খুললেও কাজ নেই বলে শ্রমিকদের ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। পরে দেখা যায়, ওই সব কারখানায় অনির্দিষ্টি সময়ের জন্য তালা ঝুলছে। তখন শ্রমিকরা নিরুপায় হয়ে তাদের পাওনা বুঝে নিতে ভিড় করে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের বিজিএমইএ কার্যালয়ে।
জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন জানিয়েছে, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে মজুরি আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ৭ হাজার ৪৫৮ জন পোশাক শ্রমিকের নামে মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া ১০৪টি কারখানা থেকে চাকরিচ্যূত করা হয়েছে ১২ হাজার ৪৩৬ জন শ্রমিককে। গ্রেফতার ৭৫ জন শ্রমিক জামিন পেলেও প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এর বাইরে নিহত একজন শ্রমিকের পরিবার এখন পর্যন্ত উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পাননি। শ্রমিকদের নামে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে সংগঠনের নেতারা বলেন, গত ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত গার্মেন্ট শ্রমিকদের মজুরি আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের নামে দায়ের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং চাকুরিচ্যুত শ্রমিকদের চাকরিতে পুনর্বহাল জন্য সংশ্লিষ্ট মালিক, সরকার, প্রশাসন এবং বিজিএমইএর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বিজিএমইএ জানায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪৬টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে এবং ২৫ হাজার ৪৫৩ শ্রমিক ও কর্মকর্তা চাকরি হারিয়েছেন। নির্ভরযোগ্য সূত্রে পাওয়া তথ্যমতে বন্ধ হয়ে যাওয়া তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর মধ্যে রয়েছে, লুমেন ড্রেস লিমিটেড (মালিবাগ- বেতন সমস্যা), লুফা ফ্যাশন লিমিটেড (মালিবাগ- বেতন সমস্যা), সুমন ফ্যাশন গার্মেন্টস লি. (বাড্ডা-শ্রমিক বিক্ষোভ), এপোচ গার্মেন্টস লিমিটেড (শান্তিনগর শেয়ার্ড বিল্ডিং), মোভিভো অ্যাপারেলস লিমিটেড (আশুলিয়া শ্রমিক বিক্ষোভ), জেনস ফ্যাশন লিমিটেড (রামপুরা শেয়ার্ড বিল্ডিং), স্টার গার্মেন্টস প্রাইভেট লি. (মধ্য বাড্ডা বেতন সমস্যা ও শ্রমিক বিক্ষোভ), জারা ডেনিম লি. (টঙ্গি, শ্রমিক বিক্ষোভ), তিতাস গার্মেন্টস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড (বনানী, শেয়ার্ড বিল্ডিং), ওসান ট্রাউজার লি. (গাজীপুর, বেতন সমস্যা ও শ্রমিক বিক্ষোভ), ফোর এস পার্ক স্টাইল লি. (আশুলিয়া, বেতন সমস্যা ও শ্রমিক বিক্ষোভ), ওয়াসিফ নিটওয়্যার লি. (গাজীপুর, বেতন সমস্যা ও শ্রমিক বিক্ষোভ), ঝুমা ফ্যাশন লি. (জিরানী, বেতন সমস্যা ও শ্রমিক বিক্ষোভ), ফলটেক্স কম্পোজিট লি. (টঙ্গি, বেতন সমস্যা), মার্ক মুড লি. (টঙ্গি, বেতন সমস্যা), স্পেস গার্মেন্টস ইন্ড্রাস্ট্রি লি. (বোর্ড বাজার, বেতন সমস্যা), এভার ফ্যাশন লি. (উত্তর বাড্ডা, কারখানা বন্ধ) এবং এহসান সোয়েটার লি. (টঙ্গি, বেতন সমস্যা ও শ্রমিক বিক্ষোভ)। এছাড়া, ইন্ট্রামেক্স অ্যাপারেল লি. (গাজীপুর, বেতন সমস্যা ও শ্রমিক বিক্ষোভ), ইন্ট্রামেক্স নিটওয়্যার লি. (গাজীপুর, বেতন সমস্যা ও শ্রমিক বিক্ষোভ), ইন্ট্রামেক্স সোয়েটার লি. (বেতন সমস্যা ও শ্রমিক বিক্ষোভ) ও ইন্ট্রামেক্স ক্লথিং (বেতন সমস্যা ও শ্রমিক বিক্ষোভ) এর কারখানায় বেতন-ভাতা নিয়ে সমস্যা চলছে।
এ বিষয়ে ড. রুবানা হক বলেন, সারাক্ষণ আমাদের বলা হচ্ছে আমরা ভালো করছি। আমরা আসলে কোথায় ভালো করছি? ব্যবসার বৈশ্বিক যে আবহাওয়া তাতে আমি মনে করি না আগামী নভেম্বর বা ডিসেম্বরের আগে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব। এতগুলো মাস আমরা সামলাবো কীভাবে? একের পর এক ক্ষুদ্র ও মাঝারি কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এমন মন্তব্য করে রুবানা হক বলেন, সবাই বলছে আমেরিকার জন্য ব্যবসা বাড়বে। ব্যবসা বাড়বে ঠিক আছে। কিছুলোক হয় তো রফতানি করবেন বেশি। কিন্তু ক্ষুদ্র ও মাঝারি যে কারখানা আছে, সেগুলো কিন্তু একটার পর একটা বন্ধ হচ্ছে। এটা কিন্তু আমরা সামলাতে পারছি না। গার্মেন্ট খাতের এই চিত্র সার্বিক অর্থনীতিতে চাপ বাড়াবে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, আগস্টে ব্যবসা কম হয়েছে। সেপ্টেম্বরেও ব্যবসা কম। এবারও আমরা নেগেটিভ যাব। তার মানে আমাদের কোথাও মিসম্যাস আছে।
হটাৎ কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনাকে উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ও অর্থনীতিবিদ ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। তিনি বলেন, কারখানা বন্ধের এই ঘটনা উদ্বেগজনক। যদি বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানাগুলো কমপ্লায়েন্স হয়ে থাকে, তাহলে বায়ারদের উচিৎ পর্যাপ্ত অর্ডার দেয়া। নতুন মজুরি ও বোনাস সব মিলিয়ে তারা চাপের মধ্যে থাকতে পারে। ব্রান্ড বায়ারদের বিষয়টি বিবেচনা করা উচিৎ। একই সঙ্গে ব্যাংকগুলোরও তাদের পুরোনো গ্রাহক অর্থাৎ কারখানা মালিকের প্রতি সদয় হওয়া উচিৎ।

জানা গেছে, দেশে তৈরি পোশাক শিল্প তথা বস্ত্র খাতের উত্থান শুরু হয়েছে সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকসমূহের পজেটিভ ভূমিকার মাধ্যমে। বিশেষ করে সরকারের নীতিগত, আইনগত সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টির মাধ্যমে আমাদের তৈরি পোশাক শিল্পের বিকাশ শুরু হয়। বাস্তবে ১৯৭৫-৭৬ সালে তৈরি পোশাক শিল্পের যাত্রা শুরু হয়, ১৯৮১-১৯৮৪ সাল পর্যন্ত সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় তৈরি পোশাক শিল্প দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে শুরু করে। ব্যাংক টু ব্যাংক এলসি, বন্ডেজ ওয়্যার হাউজ পদ্ধতি চালুর মাধ্যমে তৈরি পাশাক শিল্প বাস্তবে রূপ লাভ করতে থাক। আজ দেশের রফাতানির ৭৮ শতাংশ আসছে তৈরি পাশাক শিল্প খাত থেকে। অথচ ১৯৭৬ সালে তৈরি পোশাক শিল্পের জাতীয় আয়ের মাত্র ০.০০১ শতাংশ রপ্তানিতে ভূমিকা ছিল। তৈরি পোশাক শিল্পের বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে স্পিনিং খাত, উইভিং খাত, ডাইং ফিনিশ্ড খাত অর্থনীতিতে স্থান দখল করে। বর্তমানে ওভেন ফ্যাবরিক্স ৭০ শতাংশ, নিট ফ্যাবরিক্স শতভাগ রফতানি চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। বিগত ৭ বছর ধরে অবশ্য গ্যাস ও বিদ্যুতের অভাবে ভারী শিল্পের বিকাশ প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছে।
শুধু ব্যাংকের অসহযোগিতা, দুর্নীতি ও উচ্চ সুদের কারণে দেশের বিপুল সংখ্যক পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ’র এক পরিসংখ্যানে এমন ভয়াবহ চিত্র বেরিয়ে আসছে। ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে গ্যাস ও বিদ্যুতের তীব্র সংকট। আর এসব ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করতে না পেরে কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। রুগ্ন হয়ে পড়ছে আরও শত শত কারখানা। এর বাইরে আন্তর্জাতিক দুই ক্রেতা জোট অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের শর্ত পূরণ করতে গিয়ে বহুসংখ্যক কারখানার দরজায় তালা পড়েছে। এতে চাকরি হারিয়েছেন কয়েক লাখ শ্রমিক। বিশেষজ্ঞরাও এ পরিসংখ্যানের সাথে একমত পোষন করেছেন।
এই যখন অবস্থা তখন মোটেই ভালো নেই পোশাক ও বস্ত্র খাতের উদ্যোক্তারাও। সঙ্গত কারণে গত ছয় বছরে এ সেক্টরে নতুন কোনো বিনিয়োগও হয়নি। উপরন্তু আটকা পড়েছে অনেকের কোটি কোটি টাকার বিনিয়োগ। প্রতিটি বন্ধ কারখানায় পড়ে রয়েছে বিপুল পরিমাণ মূল্যবান মেশিনারিজ। এ অবস্থায় অনেক কারখানা মালিক লোকসান দিয়ে বিক্রি করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন। ওদিকে ঋণ দিয়ে বিপাকে পড়েছে ব্যাংকও। শুধু তাই নয়, এই খাতে ঋণ বিতরণ করে অধিকাংশ ব্যাংক পড়েছে ঝুঁকিতে। ঋণ আদায়ের তেমন কোনো পথ খোলা নেই তাদের সামনে। কেননা, মর্টগেজ দেয়া কারখানা বিক্রি করলেও ঋণের ৫ ভাগ অর্থও উদ্ধার হচ্ছে না। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে খেলাপি ঋণের চাপে এক সময় ভুক্তভোগী ব্যাংকগুলো দেউলিয়া হয়ে পড়তে পারে।
দেশের যতগুলো পোশাক কারখানা বন্ধ হয়েছে তার মধ্যে ৭০ ভাগই বন্ধ হয়েছে ব্যাংকগুলোর অসহযোগিতার কারণে। ব্যাংকের উচ্চ সুদই কারখানা বন্ধ হওয়ার অন্যতম কারণ। এদিকে একের পর এক কারখানা বন্ধ হওয়ায় এ খাতে বাড়ছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, বড় বড় ঋণ কেলেংকারির ঘটনা। বিশেষ করে হলমার্ক, বিসমিল্লাহ, মাদার টেক্সটাইল, মাদারীপুর স্পিনিং, বেনটেক্স, ফেয়ার গ্রুপ, রানকা সোহেল কম্পোজিট টেক্সটাইলসহ ভুঁইফোড় শত শত প্রতিষ্ঠানকে জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ দিয়ে বিপাকে পড়েছে ৩০টিরও বেশি ব্যাংক। এতে করে আশঙ্কা করা হচ্ছে, এসব খেলাপি ঋণের বড় অংশ আর ফেরত পাবে না ওইসব ব্যাংক। ব্যাংক এসব টাকা আদায় করতে না পারায় পুঁজিতে টান পড়েছে। এক পর্যায়ে যখন এ ধরনের খেলাপি ঋণের বোঝা বাড়তে থাকবে তখন ওই ব্যাংকের টিকে থাকাই কঠিন হয়ে পড়বে। ব্যাংক বিশ্লেষকদের অনেকে এখন এমন আশঙ্কাই করছেন।
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ব্যাংক ব্যবস্থার যে পরিমাণ অর্থ শিল্পায়নে বিনিয়োগ হয় তার ৯০ শতাংশ হয় পোশাক ও বস্ত্র শিল্পকে ঘিরে। আমদানি-রফতানির ৮০ ভাগ পোশাক শিল্পকেন্দ্রিক হওয়ায় ব্যাংকগুলোর সিংহভাগ অর্থায়ন হয় এ খাতে। বিশেষ করে ব্যাংকগুলোর দৈনন্দিন কার্যক্রমের বড় অংশ জুড়ে রয়েছে পোশাক খাতের ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি, আমদানি-রফতানিতে ঋণপত্র খোলা, আইবিপি, পিএডি, এফডিবিপি, এলটিআর, ক্লিয়ারিং হাউস ইত্যাদি। বলতে গেলে পোশাক শিল্পের সঙ্গে ব্যাংকগুলোর সম্পর্ক হৃৎপিণ্ডের মতো। কিন্তু পোশাক শিল্পে একাধিক বিপর্যয়কর ঘটনায় ব্যাংকিং সেক্টরেও চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে।
গার্মেন্ট খাতের ব্যাপক সম্ভাবনা আছে এমন মন্তব্য করে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, গার্মেন্টের প্রচুর সম্ভাবনা আছে। আগামী ১০ বছর আমরা খুব ভালো করতে পারি। তবে আমাদের ওই জায়গায় যেতে হবে। কেন ভিয়েতনাম ভালো করছে? আমরা করছি না। ভিয়েতনামের ব্যবসা প্রায় ১২ শতাংশ বেড়ে গেছে। আমাদের কেন বাড়ছে না বা কেন আমরা ভালো করছি না।
ব্যবসা ভালো করার জন্য গবেষণার ওপর জোর দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আসলে মার্কেট স্টাডি ঠিকমতো করছি না। মার্কেট স্টাডি যদি না করি তাহলে আমাদের পরবর্তীতে কি হবে এবং আমরা কোথায় যাব। এটা একটা বিরাট ব্যাপার আমাদের জন্য। সবমিলিয়ে আমাদের অনেক রিসার্সের (গবেষণার) দরকার আছে।
তিনি বলেন, সমস্যার সমাধানের জন্য আমরা বায়ারদের (ক্রেতা) ব্যবসা বাড়াতে বলবো। একই সঙ্গে পণ্যের দাম বাড়াতে বলবো। আমরা এত কমপ্লায়েন্স করলাম এখন তো তাদের ব্যবসা বাড়াতে হবে। শুধু পণ্যের দাম বাড়ালে হবে না, দাম বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসাও বাড়াতে হবে। আমি চায় না আমাদের আর একটি কারখানাও বন্ধ হোক।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button