সৌদি যুবরাজ কী কী দিলেন পাকিস্তানকে?

সৌদি আরব ও পাকিস্তানের মধ্যে বেশ কিছু বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার। সোমবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান তাদের বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এসব চুক্তিতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সফরে চুক্তিগুলো স্বাক্ষরিত হলো দেশ দু’টির মধ্যে।

বৈদেশিক পাওনা পরিশোধে সংকট নিরসনে পাকিস্তানকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে হবে, আর সে কারণেই দেশটি আন্তর্জাতিক সহায়তা চাইছিল। যেসব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে তার মধ্যে আছে বন্দর নগরী গোয়াদরে একটি ওয়েল রিফাইনারি স্থান করা হবে আট বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে। এর বাইরেও জ্বালানি, পেট্রোকেমিকেল ও খনিজ খাত নিয়ে দু’পক্ষ বেশ কিছু সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।

যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, ‘প্রথম ধাপের জন্য এটা বেশ বড় এবং নিঃসন্দেহে এটা প্রতি মাসে ও প্রতি বছর বাড়বে। এটা দু’দেশের জন্যই উপকারী হবে।’

নানা সমস্যায় জর্জরিত দক্ষিণ এশিয়ার দেশ পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ মাত্র আট বিলিয়ন ডলার। এ কারণে বৈদেশিক দেনা পরিশোধে দেশটিকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নগদ অর্থের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এজন্য একদিকে বন্ধু দেশগুলোর কাছে সহায়তা চাইছেন, আবার দেশের অভ্যন্তরে ভর্তুকির পরিমাণ কমিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। এটি আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলে তাদের কঠিন শর্তগুলোর মধ্যে ভর্তুকি কমিয়ে আনার বিষয়টিকে রেখেছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button