ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নীতিতে পরিবর্তন আনার তাগিদ

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের প্রতিভা আকর্ষণের লড়াইয়ে হেরে যাচ্ছে ব্রিটেন

বিগত আট বছর ধরে যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভর্তির প্রবণতা কমেছে। এমন বাস্তবতায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছে ব্রিটেনকে আকর্ষণীয় গন্তব্য করতে বেশ কিছু সুপারিশ করেছে দেশটির পার্লামেন্টের সর্ব দলীয় একটি গ্রুপ। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী বিষয়ক সর্ব দলীয় পার্লামেন্টারি গ্রুপ (এপিপিজি) তাদের নতুন প্রতিবেদনে আরও কয়েকটি সুপারিশের পাশাপাশি পড়াশোনা পরবর্তী কাজের ভিসা নীতিতে পরিবর্তন আনার তাগিদ দিয়েছে।

‘যুক্তরাজ্যে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের টেকসই ভবিষ্যত’ শীর্ষক প্রতিবেদনে পার্লামেন্টারি কমিটি বলেছে, ব্রিটেনের সপ্তম বৃহত্তম রফতানি খাতে টেকসই প্রবৃদ্ধি আনতে ও বাংলাদেশের মতো দেশ থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি কমানো ঠেকাতে অতিদ্রুত একটি ‘উচ্চাভিলাষী ও ইতিবাচক’ পরিকল্পনা প্রয়োজন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূল বাজারগুলো থেকে যুক্তরাজ্যে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী কমে যাওয়ায় ভূমিকা রেখেছে পড়াশোনা পরবর্তী কাজের ভিসা বাতিল। শিক্ষার্থীদের ভিসা আবেদন সহজ করতে গিয়ে সম্প্রতি নিম্ন-ঝুঁকির জাতীয়তার তালিকা সম্প্রসারণ নিয়েও মন্তব্য করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
বলা হয়েছে, জাতীয়তার ভিত্তিতে নিম্ন বা উচ্চ ঝুঁকির মতো শেণিবিভাগ এমন ধারণা সৃষ্টি করছে যে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য যুক্তরাজ্যের পরিবেশ ভালো নয়।

পার্লামেন্টারি কমিটির রিপোর্টের সুপারিশে বলা হয়েছে, জাতীয়তার পরিবর্তে ঝুঁকি বিবেচনার শেণিবিভাগ হওয়া উচিত ব্যক্তির পরিপার্শ্বের ভিত্তিতে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী বিষয়ক সর্ব দলীয় পার্লামেন্টারি গ্রুপ ১২টি সুপারিশ করেছে। এতে বলা হয়েছে একসাথে এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন আট বছর ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকা আন্তর্জাতিক শিক্ষা খাতে যুক্তরাজ্যের প্রতিদ্বদ্বিতা ফিরিয়ে আনবে। শিক্ষার্থীদের ডিগ্রি শেষ করার দুই বছরের বেশি সময় পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে কাজের অভিজ্ঞতার সুযোগ দেওয়ার সুপারিশ করেছে ওই কমিটি। বলা হয়েছে, অভিবাসন নীতিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ‘আকর্ষণীয়’ এই কমর্সূচি নেওয়া হলে বহু পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা এই দেশে শিক্ষা নিতে উৎসাহী হবে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রফতানি এবং আর্থিক মূল্য হিসেবে সরকারকে শিক্ষার্থীদের তথ্য সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এজন্য শিক্ষার্থী অভিবাসন পদ্ধতির মাধ্যমে প্রয়োজনে বিশ্বাসযোগ্যতার সাক্ষাৎকার নিতে হবে।
সর্ব দলীয় পার্লামেন্টারি কমিটির কো চেয়ার লর্ড কারান বিলিমোরিয়া বলেন, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রতিশ্রুতি ও প্রতিভা আকর্ষণের লড়াইয়ে হেরে যাচ্ছে ব্রিটেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button