লন্ডনে মৃত দেহের দ্রুত ছাড়পত্র রিভিউর আশ্বাস

প্রায় ৮শ বছর আগের আইনে এখনো চলছে ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলসের করোনার সার্ভিস বা মৃত দেহের দ্রুত ছাড়পত্র। রিভিউর মাধ্যমে এ আইনের পরিবর্তনের পাশাপাশি ইনার নর্থ লন্ডন কনসোর্টিয়ামে ২৪ ঘন্টা করোনার সিস্টেম বা সার্ভিসের দাবী তুলা হয়েছিলো। দীর্ঘদিন ক্যাম্পেইনের পর অবশেষে মার্চের প্রথম সপ্তাহে ইস্যুটি পার্লামেন্টে উত্থাপন করেন লেবার এমপি ফ্র্যাঙ্ক ডবসন। এর প্রেক্ষিতে আগামী ৩১ মার্চের পর যতোদ্রুত সম্ভব লন্ডনে আউট অব আওয়ার করোনার সার্ভিস চালুর ঘোষণা দিয়েছেন জাস্টিস মিনিষ্টার সাইমন হিউজ।
করোনার সার্ভিস সিস্টেমে বর্তমানে সপ্তাহে ৫দিন সোম থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সার্ভিস প্রদান করা হয়। আর রোটা সিস্টেমে ইমার্জেন্সি কলের ভিত্তিতে প্রদান করা হয় আউট অব সার্বিস। তবে এই সার্ভিস অনেকটা নির্ভর করে করোনার অফিসের ইচ্ছা এবং জনবলের উপর। ৮শ বছরের পুরনো করোনার সার্ভিস রিভিউর দাবীতে ২০১৩ সালের জুনে ক্যাম্পেইন শুরু করেছিলেন কেমডেন কাউন্সিলের লিড মেম্বার কাউন্সিলর আব্দুল হাই। সেই সঙ্গে ২৪ ঘন্টা করোনারী সার্ভিস চালুর দাবীও ছিলো। গত ২ মার্চ ইস্যুটি পার্লামেন্টে তুলেন হলবর্ন এন্ড সেন্ট প্যানক্রাসের এমপি ফ্র্যাঙ্ক ডবসন। বর্ষৗয়ান লেবার এমপি ফ্র্যাঙ্ক ডবসনের প্রশ্নের উত্তর দেন জাস্টিস মিনিষ্টার সাইমন হিউজ। ইস্যুটি নিয়ে সরকার এবং ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলসের করোনার সার্বিসের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনার পর আগামী ৩১ মার্চের পরে যতোদ্রুত সম্ভব যে লন্ডনে আউট আওরস বা ২৪ ঘন্টা করোনার সার্ভিস চালুর পরিকল্পনার আশ্বাস দেন লিবডেমের ডেপুটি লিডার ও জাস্টিস মিনিষ্টার সাইমন হিউস। ক্যাম্পেইনের দায়িত্বে থাকা কাউন্সিলর আব্দুল হাই ২৪ ঘন্টা করোনার সার্ভিস চালুর আশ্বাস দেয়ায় জাস্টিস মিনিস্টারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তবে ক্যাম্পেইন অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
কেমডেন, টাওয়ার হ্যামলেটস, হেকনি ও ইজলিংটন, এই ৪ বারার করোনার সার্ভিস প্রদান করে ইনার নর্থ লন্ডন কনসোর্টিয়াম। তবে এর প্রধান হলো কেমডেন। অন্যদিকে এর ৪ বারার মধ্যে মুসলিম জনগোষ্ঠি বেশি টাওয়ার হ্যামলেটসে। আউট অব করোনার সার্ভিসের ভোগান্তিও বেশি এখানে। করোনার সার্ভিস বা পোস্টমর্টেমের বিকল্প হিসাবে এমআরআই স্ক্যান সিস্টেম চালুর বিষয়টি নিয়েও ভাবছেন ক্যাম্পেইনাররা। আর এক্ষেত্রে এমআরআই স্ক্যান সিস্টেমের জন্য প্রাথমিকভাবে একেকটি বারাকে করোনার সার্বিস খরচের চেয়ে ২৫ থেকে ৩০ হাজার পাউন্ড বেশি খরচ করতে হবে বলেও জানান কাউন্সিলর আব্দুল হাই। উল্লেখ্য ম্যানচেস্টারের সেলফোর্ড ও বোল্টন কাউন্সিলে ইতোমধ্যেই জুইশ কমিউনিটির উদ্যোগে চালু হয়ে গেছে এমআরআই সিস্টেম।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button