সিরিয়ায় যাওয়া ঠেকাতে শরীরে সংকেত যন্ত্র

Tagসিরিয়ায় যাওয়ার চেষ্টার সময় আটক করা হয়েছিল এমন দুটি পরিবারের সদস্যদের নজরদারির আওতায় রাখতে পায়ে ট্যাগিং বা সংকেত প্রদানকারী বৈদ্যুতিক যন্ত্র লাগিয়ে রাখার আদেশ দিয়েছে যুক্তরাজ্যের একটি আদালত। তবে এই সিদ্ধান্ত সেখানে বিতর্কের তৈরি করেছে।
আদালতের আদেশ অনুযায়ী, ওই পরিবার দুটির বয়স্ক সদস্যদের গোড়ালিতে ব্রেসলেট আকারের যন্ত্রটি লাগিয়ে রাখতে হবে। ওই যন্ত্র থেকে তাদের অবস্থান বুঝতে পারা যাবে এবং সার্বক্ষণিকভাবে তাদের নজরদারি করা যাবে।
আদালত বলছে, পরিবারের শিশুদের ঝুঁকিমুক্ত করতেই এই সিদ্ধান্ত।
এ বছরের প্রথমদিকে ম্যানচেস্টার আর তুরস্কের দুটি বিমানবন্দর থেকে সিরিয়া যাওয়ার সময় ওই পরিবার দুটির সদস্যদের আটক করা হয়।
পরিবারের শিশুদের সাময়িকভাবে বিকল্প আশ্রয়ে রাখা হয়েছে। তবে পরিবারের জ্যেষ্ঠদের শরীরে যন্ত্র লাগানোর পর তারা শিশুদের আবার সঙ্গে রাখতে পারবেন।
পরিবারের শিশুদের সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের এলাকা নিয়ে যাওয়া রোধ করতে এই আদেশ বলে পারিবারিক আদালত জানিয়েছে। ২০১১ সালের সন্ত্রাস দমন অ্যাক্টের আওতায় ওই আদেশ দেয়া হলো।
এ ধরনের যন্ত্র নির্দিষ্ট সময় পর পর জিপিএস ব্যবহার করে সংকেত পাঠাতে থাকে। ফলে কর্তৃপক্ষ যেকোনো স্থান থেকেই ওই ব্যক্তির গতিবিধি ও অবস্থান নজরদারি করতে পারে।
এক দশকের বেশি সময় ধরে অপরাধী নজরদারী করতে এ ধরনের ট্যাগিং পদ্ধতি ব্যবহার করছে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাষ্ট্রে ৯০-এর দশক থেকে এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
তবে সাধারণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা আগে শোনা যায়নি। তবে আদালতের এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাজ্যের সরকারের ভেতরেই বিতর্ক তৈরি করেছে। এই সিদ্ধান্তকে ব্যতিক্রমী বলে বর্ণনা করেছে যুক্তরাজ্যের বিচার মন্ত্রণালয়।
এ ধরনের পদক্ষেপকে ‘অমানবিক ও অপমানজনক’ আখ্যা দিয়ে বরাবরই সমালোচনা করছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button