ব্রিটিশ পার্লামেন্টে দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত ২৫ এমপি

ব্রিটেনের পার্লামেন্ট নির্বাচনে অন্তত ২৫ জন দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত প্রার্থী এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, চীন ও থাই বংশোদ্ভূত প্রার্থীরা রয়েছেন।
দৃশ্যত, পার্লামেন্ট সদস্য হিসেবে বিদেশি বংশোদ্ভূতদের নির্বাচিত হওয়ার হার বাড়ছে। এ থেকেই বলা যায়, দেশটিতে অভিবাসী কম্যুনিটির প্রভাব ক্রমেই বেড়ে চলছে।
নির্বাচনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ১১ জন প্রার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে সাতজন লেবার, তিনজন লিবারেল ডেমোক্র্যাটস ও একজন কনজারভেটিভ দলের মনোনয়নে নির্বাচন করেন। মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালানোর অভিযোগে অপর একজন প্রার্থী লেবার দলের মনোনয়ন হারালেও তার প্রার্থিতা বহাল থাকে।
এর মধ্যে তিনজন এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। তারা হলেন—রুশনারা আলী, টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক ও রূপা আশা হক। লন্ডন থেকে নির্বাচিত তিনজনই বিরোধী লেবার দলের মনোনয়নে নির্বাচন করেন।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত ৫৯ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেন। এর মধ্যে ১০ জন নির্বাচিত হয়েছেন। গতবার (২০১০) ভারতীয় বংশোদ্ভূত আটজন এমপি নির্বাচিত হন।
পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ৫০ জনের বেশি প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেন। এর মধ্যে ১০ জন জয় পেয়েছেন।
চীনা বংশোদ্ভূত একজন প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। এবার চীনা বংশোদ্ভূত ১১ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেন। গত নির্বাচনে সাতজন অংশ নিয়ে কেউ নির্বাচিত হতে পারেননি।
শ্রীলঙ্কান বংশোদ্ভূত চারজন প্রার্থী এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তাদের মধ্যে জয় পেয়েছেন একজন।
যুক্তরাজ্যের এবারের সাধারণ নির্বাচনে বিভিন্ন দলের মনোনয়নে এশিয়ান বংশোদ্ভূত প্রায় ১৫০ জন প্রার্থী অংশ নেন।
এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৬ জন কনজারভেটিভ দলের, ৩৫ জন লেবার দলের ও ৩২ জন লিবারেল ডেমোক্র্যাটস দল থেকে মনোনয়ন পান।
নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ দল। এতে দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গড়তে জোটসঙ্গী খুঁজতে হচ্ছে না প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনকে।
এটি ছিল যুক্তরাজ্যে ৫৬তম সাধারণ নির্বাচন। পার্লামেন্টের মোট ৬৫০ আসনের মধ্যে সরকার গঠন করতে প্রয়োজন ৩২৬ আসন। কনজারভেটিভ দল পেয়েছে ৩৩১ আসন। বিরোধী দল লেবার পার্টি পেয়েছে ২৩২টি আসন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button