মুসলিম ভোট ব্যাংক নিয়ে হিসেব-নিকাশ

বিশ্বের চোখ এখন যুক্তরাজ্যের দিকে। চলছে নানা-হিসেব নিকেষ। ভোটের হিসেবে এবার অন্যতম ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছে মুসলমানদের ভোট।  নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে মুসলিম ভোটাররা। বিশেষ করে বার্মিংহাম শহরে মুসলিম ভোটারদের ভোট ব্যাংক হিসেবে দেখা হচ্ছে। শহরের এক-চতুর্থাংশ বাসিন্দা মুসলমান।
বার্মিংহাম শহরের প্রধান মসজিদের ইমাম আবদুল রশিদ এএফপিকে বলেন,‘নির্বাচনে রাজনীতিবিদেরা মুসলমানদের তাদের ভোটব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করছেন। তিনি বলেন, রাজনীতিকেরা তাদের জনপ্রিয়তার জন্য সস্তা ও সহজ পথ খুঁজছেন। এই মুহূর্তে জনপ্রিয়তা অর্জনের জন্য অভিবাসন ও ইসলামোফোবিয়াকে কাজে লাগাচ্ছেন তারা।
বার্মিংহাম যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। বাসিন্দা ১২ লাখ। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক সংখ্যালঘু।
গত জানুয়ারিতে ফ্রান্সে শার্লি এবদোর কার্যালয়ে ইসলামপন্থীদের হামলার পর মার্কিন নেটওয়ার্ক ফঙ নিউজের একজন বিশ্লেষক বার্মিংহামকে অমুসলিমদের জন্য ‘নো গো জোন’ বা নিষিদ্ধ এলাকা হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। যদিও তাঁর এ মন্তব্য অনেককে আহত করায় পরে ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন তিনি।
বিশ্লেষকেরা মনে করেন, বর্তমানে বার্মিংহাম শহরের বাস করা বিভিন্ন সমপ্রদায়ের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান রয়েছে। তবে ২০১১ সালে লন্ডনে মিশ্র-বর্ণের বংশোদ্ভূত এক নাগরিককে হত্যা করার পর দেশজুড়ে দাঙ্গার উদ্ভব হয়েছিল।
বার্মিংহামের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপ্রধান মাশুক আলী বলেন, বার্মিংহামের মানুষ মনে করেন, তারা একসঙ্গে বসবাস করতে পারেন, একে অপরকে সহ্য করতে পারেন। যেকোনো ধরনের বিরোধ ও সহিংসতা এড়াতে শহরের বিভিন্ন সমপ্রদায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন মাশুক আলী।
তিনি বলেন, বার্মিংহামকে যদিও লন্ডনের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ শহর হিসেবে মনে করা হয়, সত্যিকার অর্থে আমরা নিরাপদ। সব সমপ্রদায়ই সমস্যা সমাধানের একটি অংশ। এখানকার সিটি কাউন্সিল, মুসলিম সমপ্রদায় ও পুলিশের মধ্যে সুসম্পর্ক রয়েছে।’
২০১১ সালের আদমশুমারির তথ্য অনুযায়ী, ওয়াশউড হিথ, বর্ডেসলি ও স্পার্কব্রুক এই তিনটি এলাকা মুসলিম অধ্যুষিত। এ সব এলাকার মোট জনগণের ৭০ শতাংশের বেশি মুসলমান।
অধ্যাপক ও গবেষক ম্যাথু ফ্রান্সিসের মতে, যুক্তরাজ্যে এশিয়ান বংশোদ্ভূত ভোটারদের মধ্যে ৫৫ থেকে ৬০ শতাংশ লোক সাধারণত লেবার পার্টিকে ভোট দেবে। মুসলিম ভোটারদের মধ্যে ১০ শতাংশ কনজারভেটিভ পার্টিকে ভোট দেবে। হিন্দু নাগরিকদের মধ্যে ১৫ শতাংশ ও শিখদের মধ্যে ২০ শতাংশ ভোট দেবে কনজারভেটিভকে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button