থাইল্যান্ডের গহিন জঙ্গলে রোহিঙ্গাদের গণকবর !

Thailandমালয়েশিয়া-থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছে ৩২টি কবর পাওয়ার দাবি করেছে থাই কর্তৃপক্ষ। এগুলোতে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশীদের মৃতদেহ থাকার আশঙ্কা প্রকাশা করেছে তারা। মালয়েশিয়ার সাথে থাইল্যান্ডের সীমান্তের খুব কাছে প্রত্যন্ত একটি জঙ্গলের গভীরে এসব কবর পাওয়া গেছে।
এলাকাটি থাইল্যান্ডের সঙ্খালা রাজ্যের সাদাও জেলায় অবস্থিত। সেখানে একটি পরিত্যাক্ত ক্যাম্পেরও সন্ধান পেয়েছে দেশটির উদ্ধার কর্মীরা।
এ ক্যাম্পটি নৌকাতে চড়ে থাইল্যান্ড সিমান্ত হয়ে মালয়েশিয়ায় যাওয়া অবৈধ অভিবাসীদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এসব ক্যাম্পে লোকজনকে কখনো সখনো মাসের পর মাসও আটকে রাখা হয়।
এসময় পাচারকারীরা এসব লোকজনের পেছনে ফেলে আসা আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকেও অর্থ দাবী করে থাকে। তারা দেশের ভেতরে এমনকি সমুদ্রেও তৎপর।
প্রত্যেক বছর হাজার হাজার মানুষ থাইল্যান্ডের ভেতর দিয়ে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমায়। এজন্যে পাচারকারীরা এই রুট ব্যবহার করে থাকে।
এনবিসি নিউজের খবরে বলা হয়েছে, উদ্ধারকারীরা ওই এলাকায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৩২টি কবর খুঁজে পেয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৪ জনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। সাথিত থমসুয়ান নামে এক উদ্ধারকর্মী এ সব তথ্য দিয়েছেন।
তিনি জানান, একজনকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি বাংলাদেশী বলে ধারনা করা হচ্ছে। তবে তার ঠিক পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি কোন পক্ষই।
দেশটির পুলিশ প্রধান জেনারেল সমিউট পম্পানমুঙ বলেন, জঙ্গলে যে ক্যাম্পটির সন্ধান পাওয়া গেছে সেটি একটি ভাসমান কয়েদখানা। এখানে বাসের বৈসির খুপড়িতে কয়েদিদের রাখা হতো।
খবরে বলা হয় এই এলাকায় মানবপাচারকারীরা খুবই সক্রিয়া। কবর থেকে মৃতদেহ খুঁড়ে বের করার প্রক্রিয়া চলছে।
ব্যাংকক থেকে বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, কয়েকটি মৃতদেহ উপরে তোলা হয়েছে। এমনকি একটি মৃতদেহ পড়েছিলো মাটির ওপরে।
যেসব দেহ উদ্ধার করা হয়েছে তাদের মধ্যে একজন এখনও জীবন্ত বলে বলা হচ্ছে।
এরা কিভাবে এখানে এসেছে বা তাদের কিভাবে মৃত্যু হয়েছে সেসব এখনও খুব একটা পরিষ্কার নয়। কিন্তু দেহাবশেষ দেখে থাই পুলিশ অনুমান করছে যে, তাদের অনেকেই হয়তো ক্ষুধা আর রোগশোকে মারা গেছেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button