হালাল গোস্তের পিৎসা খেয়ে খুশি ব্রিটিশ উপপ্রধানমন্ত্রী

Nickব্রিটেনের উপপ্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগ বৃহস্পতিবার বলেছেন, তিনি হালাল গোস্তের পিৎসা খেয়ে খুশি। ব্রিটেনের অনেক ফুডশপেই ঘোষণা ছাড়াই হালাল গোস্তের তৈরি খাবার সরবরাহ করা হয় বলে খবর প্রকাশিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে তিনি এ মন্তব্য করেছেন।
নিক ক্লেগ এলবিসি ৯৭.৩ রেডিও ফোন-ইন প্রোগ্রামে বলেন, হালার গোস্তের পিৎসা খাওয়ার ব্যাপারে তার বিন্দুমাত্র সমস্যা নেই। তবে বিক্রেতাদের লেবেল লাগানো উচিত। সেক্ষেত্রে ক্রেতারা কোন খাবার হালাল এবং কোনটি তা নয় তা জেনে-বুঝে সংগ্রহ করতে পারবেন।
তিনি বলেন, তিনি পিৎসা এক্সপ্রেসের ‘গ্রেট ফ্যান।’ উল্লেখ্য এই সুপার চেইন শপটি সম্প্রতি ঘোষণা করেছে, তারা তাদের খাবারে হালাল গোস্ত ব্যবহার করে।
ব্রিটেনসহ বিভিন্ন দেশে এখন ব্যাপকভাবে হালাল গোস্ত ব্যবহার করা হচ্ছে। কোটি কোটি লোক না বুঝেই হালাল গোস্তের খাবার খাচ্ছেন।  সুপারমার্কেট ও রেস্তোরাগুলো অর্থ বাঁচাতে ক্রেতাদের হালাল গোস্ত সরবরাহ করছে। হালাল গোস্ত মুসলিম এবং অ-মুসলিম সবাই খায়, এ কারণেই তারা এটা করছে বলে জানিয়েছে। কেএফসি, জিবিকে, ডোমিনোস, টেসকো, সেইনবুরি, মরিসন্স, ওয়েটরস, এম অ্যান্ড এস-এর মতো খ্যাতিমান প্রতিষ্ঠানগুলোও একাজ করছে বলে ডেইলি মেইল জানিয়েছে। সাবওয়ে প্রায় ২০০ খাবার দোকান থেকে শূকরের তৈরি খাবার প্রত্যাহার করেছে।
পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে সাধারণত বৈদ্যুতিক শক দিয়ে প্রাণীদের মেরে তারপর গোস্ত তৈরি করে। কিন্তু মুসলিম রীতি অনুযায়ী, হালাল হওয়ার জন্য গরু, ভেড়া, মুরগি ইত্যাদিকে সজ্ঞানে জবাই করতে হবে।
মুসলিম থিঙ্ক ট্যাংক কিল্লিয়াম ফাউন্ডেশনের মজিদ নওয়াজ মনে করেন, হালাল গোস্ত পরিবেশন করার বিষয়টি গোপন করা ঠিক নয়।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button