কেন্দ্র দখল, ব্যালট ছিনতাই হামলা ও প্রাণহানীর মধ্য দিয়ে চতুর্থ দফার ভোট গ্রহণ শেষ

Electionকেন্দ্র দখল, হত্যা, সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ, ও ভোট বর্জনের মধ্য দিয়ে চতুর্থ দফা উপজেলা নির্বাচনের ভোট গ্রহণের পর চলছে গণনা। এর আগে সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৪টায়।
ভোট চলাকালীন ক্ষমতাসীনদের কেন্দ্র দখল, জাল ভোট, সহিংসতায়, অগ্নিসংযোগ, হামলায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে  ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শামসুদ্দীন প্রধান নিহত হয়েছেন।
বিচ্ছিন্নভাবে দেশের প্রায় অর্ধশতাধিক স্থানে সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে। প্রার্থীরা মোবাইলে ও ফ্যাক্সের মাধ্যমে ইসিতে অভিযোগ করলেও ইসি কোন কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারেনি।
৪৩টি জেলার অর্ধেকেরও বেশি জেলায় নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদের নিজের উপজেলা চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্র দখল, বোমা হামলা, ব্যালট বাক্স ছিনতাই, অগ্নিসংযোগ ও পোলিং এজেন্টদের মারধরসহ নানা অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে।
আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্র দখল ও নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে সাতটি জেলার আটটি উপজেলার বিএনপি সমর্থিত, জাতীয় পার্টি (জাপা) সমর্থিত ও স্বতন্ত্র ২৫ জন প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন।
ছয়টি জেলার ছয়টি উপজেলার ১৫টি কেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।
বগুড়ার গাবতলী উপজেলার পাচকাতুলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ও বাগমারার তিনটি কেন্দ্রে হামলা, কেন্দ্র দখল, ককটেল বিস্ফোরণ ও ভাঙচুরের খবর পাওয়া গেছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button