প্রাণভিক্ষা চাননি কামারুজ্জামান, শেষ দেখা করতে কারাগারে পরিবারের সদস্যরা

মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামান রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাননি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। শনিবার দুপুরে তিনি বলেন, তিনি (কামারুজ্জামান) মার্সি পিটিশন করতে চাননি। এদিকে ফাঁসি কার্যকরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী আদেশ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছেছে।
কামারুজ্জামান প্রেসিডেন্টের কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না তা জানতে শনিবার সকালে কারাগারে এসে তার সঙ্গে দেখা করেন ঢাকা জেলার দুই ম্যাজিস্ট্রেট। কারাগার থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের কাছে কিছু বলেননি ম্যাজিস্ট্রেটরা।
এর আগে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছিলেন,  কামারুজ্জামান কোন সিদ্ধান্ত না দিলে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। আজ শনিবার রাতে ফাঁসি কার্যকর করা হবে।
এদিকে কামারুজ্জামানের সঙ্গে শেষ সাক্ষাত করতে কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। শনিবার বিকাল চারটা ৫ মিনিটে দুইটি মাইক্রোবাসে করে তারা কারা ফটকে পৌঁছান। বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত তারা সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন বলে জনিয়েছে কারাকর্তৃপক্ষ।
পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কামারুজ্জামানের স্ত্রী তার স্ত্রী নুরুন নাহার, ছেলে- হাসান ইকবাল ওয়ামীও হাসান ইমাম ওয়াফি, মেয়ে- আছিয়া নূর, ভাগ্নি- রোকসানা এবং কামারুজ্জামানের শালা ও মামাসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য রয়েছেন।
এর আগে শনিবার দুপুর সোয়া তিনটার দিকে মিরপুর ১১ নম্বরের সাংবাদিক কলোনির বাসা থেকে রওনা হন তারা।
কামারুজ্জামানের ছেলে হাসান ইকবাল জানান, দুপুর ১টা ২২ মিনিটে লাভলু নামের একজন ডেপুটি জেলার আমার আম্মাকে (কামারুজ্জামানের স্ত্রী) ফোন দিয়ে কারাগারে যেতে বলেন।
তিনি আরও বলেন, কামারুজ্জামানের আইনজীবী শিশির মোহাম্মদ মনিরও জানান, কারাগারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা এসেছে, বিকাল ৪টা থেকে ৫টার মধ্যেই যেন পরিবারের সদস্যরা কারাগারে পৌঁছান।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button