আমার অভিজ্ঞতায় ব্রিটিশ ক্যারি এ্যাওয়ার্ড

Curryএনাম চৌধুরী :
সাত সমুদ্র-তেরো নদীর ওপারের দেশ গ্রেট ব্রিটেন। বাংলাদেশে লেখালেখি এবং সাংবাদিকতা জীবনের প্রায় এক যুগ কাটিয়ে দেশের পরিবেশে পেশাগত দায়িত্ব পালনটাও খুব ব্যতিক্রমী। তবুও সাংবাদিকদের দিন হয় রাতের বেলা এবং দিন হয়ে যায় নিদ্রার দপ্রিয় সময় এভাবেই এ পেশার অনেকের সময় তাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
২৫ নভেম্বর সোমবার ছিলো ব্রিটেনের ঐতিহাসের অভিচ্ছেদ্য অংশ ‘ক্যারী বিজনেস’ এর সফলতার সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান এবং ক্যারী শিল্পের ‘অস্কার’ খ্যাত ব্রিটিশ ক্যারী এ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান।  অনুষ্ঠানটি এতোটাই জাঁক-ঝমক এবং ঝমকালো হয় সেটা না দেখলে অনুমান করা যায় না। যদি ও ক্যারি শিল্পের ‘অস্কার’ বলা হয় ব্রিটিশ ক্যারি এ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানকে। তবে আমার কাছে এ অনুষ্ঠানের মেজাজ, শৈল্পিক স্পর্শ, নান্দনিক আর্কষন সবই অস্কারের চেয়ে বেশী মনে হয়েছে। বিজ্ঞানের উৎকর্ষতার অনলাইনে প্রবেশ করে অস্কারের মতো নামী-দামী অনুষ্ঠানের ভিডিও দেখলেই বুঝা যাবে ‘ব্রিটিশ ক্যারী এ্যায়ার্ড’ অনুষ্ঠানের শৈল্পিক সুন্দর্য্য এর চেয়ে অনেক অনেক বেশী। আর সে সুন্দর্য্য ফুটিয়ে তুলতে যিনি নিজে শিল্পীর ভূমিকায় কাজ করেছেন তিনি ব্রিটিশ ক্যারী এ্যায়ার্ডের স্বপ্ন দ্রষ্ঠা এনাম আলী। এনাম আলী শুধু ব্রিটেনের ক্যারী শিল্পের একজন সফল কারিগরই না। তিনি রেস্টুরেন্ট ব্যবসা যে শুধুমাত্র ব্যবসাই না, এটা একটা শিল্প হতে পারে এবং এর মাধ্যমে একটা জাতির স্বতন্ত্র পরিচয় ফুঁটিয়ে তোলা যায়, সেটারও একজন পরিচয় বাহক সফল শিল্পী। সারা পৃথিবী যে অলিম্পিক নিয়ে উল্লাসে মাতোয়ারা ছিলো। পৃথিবীর সেরা সব সেলিব্রেটিরা যে অলিম্পিকে অতিথির আসন অলংকৃত করেছেন। প্রেসিডেন্ট ওবামা থেকে শুরু করে পৃথিবীর তাবৎ মন্ত্রী, রাজা, রানীরা যে অনুষ্ঠানের অতিথ্য গ্রহণ করেছেন, সেই দুনিয়া কাঁপানো অলিম্পিকের একমাত্র অফিসিয়াল খাদ্য সরবরাহকারী ছিলেন, ‘বাংলাদেশের সন্তান এনাম আলী।’ আর তিনি সাফল্যের স্বীকৃতি দিতে এশিয়ার সেরা ভোজন কারিগর, সেরা রেস্টুরেন্ট খুঁজে বের করতে শুরু করেন তার স্বপ্ন যাত্রার নতুন এক পথ। যে টুকু জেনেছি, ব্রিটিশ ক্যারী এ্যাওয়ার্ড শুরু করে নিভৃতচারী প্রচার বিভূখ এনাম আলীকে পদে পদে বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। এ বাঁধা সরাসরি না হলেও পর্দার অন্তরালে থেকে অনেক কে অনেক কথা বলতে শুনা গেছে। যারা উৎসাহ দিয়ে বাংলাদেশী এ সফল সন্তানকে এগিয়ে যাওয়ার পথে আলো জ্বালিয়ে দেয়ার কথা ছিলো। সেই তাদের অনেকেই তাকে সামনে বলতে দেখা যায়- ‘আপনার এ কর্ম বিশাল কিছু, যা আমাদের গর্বিত করে।’ কিন্তু সামন থেকে সরে যাওয়ার পর সেই মানুষটি তার একই মুখ দিয়ে বলতে শুনা যায়- আরে এরকম পথে হাঁটলে অনেকেই পারবে এমন কিছু।’
Curry2এমন দু’মুখো ভন্ডামী দেখলে ভেতরে রাগ হলেও মাঝে মাঝে হাসি পায়। মনের অজান্তে এমন ডাবল স্ট্যার্ডার্ড মানুষগুলোর জন্য সত্যিই করুণা হয়। শুরু করেছিলাম ২৫ নভেম্বর এর অনুষ্ঠান নিয়ে। এ অনুষ্ঠানটিতে আমি এবারই প্রথম অংশ গ্রহণ করি। আর এটা নিঃসন্দেহে আমার জীবনের সেরা অনুষ্ঠানগুলোর সবচেয়ে সেরাটি। ব্রিটিশ ক্যারী এ্যাওয়ার্ডের সপ্তম এবং অষ্টম আসরের আমন্ত্রন পেয়েও যাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি। তবে এবারের নবম আসরে যাওয়ার সুযোগটাই আমার দীর্ঘ এক যুগেরও বেশী সময়ের সাংবাদিকতা এবং লেখালেখি জীবনের সেরা অনুষ্ঠানের সাথে পরিচয় হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। আর এ জন্য সকল প্রশংসার দাবীদার ব্রিটিশ ক্যারী এ্যায়ার্ডের ফাউন্ডার এনাম আলী ভাই। যে মানুষটি ব্রিটিশ রাজপরিবারের সাথে চলাফেরা করেন, যার সাথে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিট ক্যামেরুনের বন্ধুত্বসূলভ সম্পর্ক। যাকে ডেভিট ক্যামেরুন তার আত্মার আত্মীয় বলে পরিচয় দেন, সেই এনাম আলী ভাই অনুষ্ঠানের আগের রাত ১টা ৩৫ মিনিটে আমার মতো সাধারণ একজন সাংবাদিকের কাছে জানতে চাইলেন ‘এনাম কাল অনুষ্ঠানে আসছো তো ?
এনাম ভাইয়ের এমন দাওয়াত আমার কাছে ছিলো বিস্ময়ের, তখন তিনি আমাকে বলেননি, তাঁর অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন আসবেন। এনাম ভাই খুব জোর দেয়েই বলেছিলেন, কাল দেখা হবে এবং অনুষ্ঠানে অবশ্যই ভিন্নতা থাকবে।
দু সপ্তাহ পূর্বে পায়ে হালকা আঘাত পেয়ে অনেকটা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাটছিলাম। অনুষ্ঠানে যাবো কি না সেটা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ছিলাম। কিন্তু এনাম ভাইয়ের ফোন আমাকে যেন পুরোপুরি সুস্থ্য করে ফেললো। তবে এ ক্ষেত্রে আমার একজন বড় ভাই এ্যাকাউন্টেট মাহবুব মোর্শেদ ভাই উৎসাহের মাত্রাটা আরো বাড়িয়ে দিলেন। পর দিন মাহবুব মোর্শেদ ভাইর গাড়ীতে করেই রওয়ানা দিলাম ব্রিটিশ ক্যারী এ্যাওয়ার্ডের সেই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে। মজার মানুষ মাহবুব ভাই একজন প্রশিক্ষিত ফটোগ্রাফার বললেও কম হবে। যিনি ফটোগ্রাফীর জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছুটে বেড়ান সুযোগ পেলেই। মাহবুব ভাই সুন্দর কোন দৃশ্য থাকলে রাতের আঁধারেও তার গাড়ী থামিয়ে ক্যামেরার ব্যাগ খুলে ক্লিক করেন সুন্দরের দিকে। সেই মাহবুব ভাই তার শখের ক্যামেরাটি ব্রিটিশ ক্যারী এ্যাওয়ার্ডে’ আমার হাতে তুলে দিয়ে বললেন ‘ইচ্ছে মতো ছবি উঠাতে থাকেন।’ আমি নিজের কমদামী ক্যামেরাটি ব্যবহার করতে চাইলেও মাহবুব ভাইর দামী ক্যামেরার সামনে আমার ক্যামেরাটি মনে হলো লজ্জা পাবে, তাই সেটাকে তার গাড়ীতেই রেখে দিলাম।
অনুষ্ঠানে প্রবেশের পথে পরিচিত অনেকের ছবি উঠালাম সেই সাথে মাহবুব ভাইয়ের পাকা হাতের ক্লিকে নিজের ছবিটাও তুলতে ভূল করলাম না।
অনুষ্ঠানে একে একে সবাই প্রবেশ করতে থাকলেও আমাদের গ্র“পটিও এক সময় নিজের আসনে গিয়ে বসলো। বাংলায় একটি প্রবাদ আছে ‘ঢেকি স্বর্গে গেলেও ধান ভাঙ্গে’। আর সাংবাদিকরা যেখানেই যায় সেখানেই রিপোর্ট খুঁজে। তবে ঐ দিন আমি রিপোর্টের পরিবর্তে ক্যামেরার ক্লিককে অংশ করে নিয়ে ছিলাম।
বিবিসি, সিএনএন, চ্যানেল ফোর, বক্সটিভি, আইটিভি, আল জাজিরা সহ পৃথিবীর সব নামী দামী চ্যানেলের ভীড়ে আমার দেশের বাংলা চ্যানেলগুলোর ক্যামেরাপার্সন বন্ধুদের দেখলাম সবাই অনুষ্ঠানটি ধারণ করছেন গভীর মনযোগ দিয়ে।
Curry3আমি আমার ক্যামেরা হাতে নিয়ে মঞ্চের পাশে গিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে পজিশন গ্রহণ করলাম। অনুষ্ঠানের কলাকুশলীদের অনেকের ছবি উঠালাম। যথারীতি অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হলো। ঝঁমকালো অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করলেন ব্রিটিশ ক্যারী এ্যাওয়ার্ডের ফাউন্ডার এনাম আলী। উদ্বোধনী বক্তব্যে আবেগময়ী ভাষায় তিনি তার স্বপ্নের কথা, এগিয়ে যাওয়ার কথা, ব্রিটেনের ক্যারী শিল্পের বিপ্লবের কথা এবং শিল্পে হাজার হাজার বাংলাদেশীর শ্রম, মেধা এবং হাড়ভাঙ্গা খাঁটুনীর কথা বললেন অকপটে। কমিউনিটির মানুষের কল্যাণে উৎস্বর্গ করা তার এ অনুষ্ঠানটি ক্যারী শিল্পের বিপ্লবে যাত্রা নীরবে নিভৃতে কাজ করেন তাদের প্রতি সম্মান জানানোর প্রয়াস উল্লেখ করে এনাম আলী বললেন, এর মাধ্যমে তাদের এগিয়ে যাওয়ার পথে অনুপ্রেরণা হিসেবে অভিহিত করলেন। আগামী দিনের পথ চলায় এনাম আলী তাঁর কমিউনিটির সকলের উদার সহযোগিতা কামনা করলেন।
অবাক হলাম ! যে এনাম আলীকে ব্রিটেনের রাজপরিবার স্বীকৃতি প্রদান করেছে। ব্রিটিশ সরকারের মন্ত্রীরা যার কাছে ছুঁটে যায়, সেই এনাম আলী সরল ভাষায়, মন খুলে সকলের সযোগিতা চাইলেন।
‘নোয়াখালীর বন্ধু’ এবং ডেভিট ক্যামেরুন: এনাম আলীর অনুষ্ঠান উদ্বোধন ঘোষনার পরই ঘোষনা করা হলো এবার মঞ্চে আসছেন ‘ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যারুন।’ বিস্ময়ের বিষয় হলো, আমরা যারা মঞ্চের সামনে দাঁড়িয়ে ক্যামেরায় অনুষ্ঠান ধারণ করছিলাম তাদের ঠিক পেছনে একটি টেবিলে বসা ছিলেন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন। একটি বারও আমরা কেউ যেন বুঝতে পারিনি। ঘোষনার সাথে সাথে খুব সাধারণভাবে মঞ্চে গিয়ে উঠলেন প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরুন। যাকে বিশ্বের দ্বিতীয় বড় ক্ষমতাধর রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে অভিহিত করা হয়, সেই প্রধানমন্ত্রী আমাদের মাত্র একহাত কাছ দিয়ে হেটে হেটে গিয়ে মঞ্চে উঠলেন। সবাইকে হাত উঁচিয়ে যখন অভিবাদন জানাচ্ছিলেন, তখন আমার পাশে থাকা আমার এক সাংবাদিক বন্ধু যাকে আমি সব সময় ক্ষেপানোর জন্য বলি ‘বেটা নোয়াখালী’। হাসি খুশি সেই বন্ধুটির বাড়ী বৃহত্তর নোয়াখালীতে। সে আমাকে মঞ্চের দিকে ইশারা করে বললো- ‘ঐ একি আসল ডেভিড ক্যামেরুন ?’ আর যায় কই, আমি তাকে সাথে সাথে জবাব দিলাম না-  এ হলো নোয়াখালীর ক্যামেরুন।’ সে এবার তার স্বভাব সূলভ হাসিটি দিয়ে বললো ‘দূর বেটা এ হলো তোমরা সিলেটের এনাম আলীর ফ্রেন্ড কামেরুন।’ এভাবে হাসি খুশির মাঝেই আমরা দুই বন্ধুর ক্যামরা চলছিল অবিরাম।
ক্যামেরুন যা বললেন, ব্রিটিশ কোন প্রধানমন্ত্রী কমিউনিটির এরকম ইভেন্টে অংশ নেয়ার সময় সুযোগ কোনটাই নেই। যার মাথায় সারা পৃথিবীর চিন্তা। যার প্রতিটি মিনিটের হিসেব কথা থাকে তাদের জীবনের ডাইরীতে। সেই প্রধানমন্ত্রী এসেছেন ‘ব্রিটিশ ক্যারী এ্যায়ার্ডে। সপ্তম ব্রিটিশ ক্যারী এ্যাওয়ার্ডের দাওয়াত পেলে একজন সহকর্মীর সাথে আলাপ করতে গিয়ে আমি বলেছিলাম, এনাম আলী ভাই তাঁর এই এ্যাওয়ার্ডটির নাম যদি দিতেন ‘বাংলাদেশী ক্যারী এ্যাওয়ার্ড’ তবে দেশের নাম অনেক উপরে পৌঁছে যেতো !! কিন্তু এখন বুঝি, আমি সেই বোকাই রইলাম। আমি কোন বাংলাদেশের কথা বলেছিলাম। বাংলাদেশ সেই রাষ্ট্র, যে রাষ্ট্রে মানুষের জীবনের মূল্য নির্ধারিত হয় রাজনৈতিক সমঝোতার বিনিময়ে।
ডেভিড ক্যামেরুন তার বক্তব্যের শুরুতে ব্রিটিশ ক্যারী ও এ্যাওয়ার্ডে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বললেন, এনাম আলী ব্রিটেনের ক্যারী ইন্ডাষ্ট্রির জন্য যে ভূমিকা রাখছেন সেটার জন্য বৃটিশ সরকার তার প্রতি শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। ক্যামেরুন এনাম আলীকে আর আত্মার আপজনক উল্লেখ করে এনাম আলীর সকল মহতী কাজে তার সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন।
ডেভিড ক্যামেরুন, ক্যারী শিল্পের উন্নয়নে তার সরকারের সহযোগিতা প্রদানের প্রতিশ্র“তি দিয়ে বলেন, এ শিল্পকে যাতে ভবিষ্যতের জন্য আরো সমৃদ্ধ করা যায় সে ব্যাপারে তিনি এনাম আলীর সাথে কাজ করবেন। ক্যামেরুনের চমৎকার বক্তব্যের সাথে সাথে প্রায় দুই হাজার অতিথিপূর্ণ হলে মূহুর্মূহ করতালীর শব্দে মনোমুগ্ধকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গে ঃ বাংলায় একটা প্রবাদ আছে- ‘বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে।’
ব্রিটিশ ক্যারী এ্যাওয়ার্ডে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর চমৎকার এবং সময়োপযোগী বক্তব্যে শুনে মনে হলো- এবার বলতে হবে- ‘বন্যেরা বনে সুন্দর, রাজনীতিবীদ বড় মঞ্চে।’
পৃথিবীর ক্ষমতাধর একজন শাসক ডেভিড ক্যামেরুন। রাজনীতি করে যিনি সফলতার শীর্ষ ছুঁয়েছেন। পৃথিবীর প্রতিটি রাষ্ট্রে চিন্তা যে তার মাথায় দুলছে সেটাই বুঝালেন ক্ষমতাধর এ প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে পরিস্কার ভাষায় জানান দিলেন, তার উদ্বেগ, উৎকণ্ঠার কথা। সকল দলের অংশ গ্রহণে একটি অবাদ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে এমন প্রত্যাশা করে কামেরুন বলেন, সহযোগিতার একটি উল্ল্যেখযোগ্য অংশ আমরা বাংলাদেশকে দিয়ে থাকি। আমরা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা চাই। আর এটা না হলে বাংলাদেশকে নিয়ে আমাদের পরবর্তী করণীয় কি সেটা ভাবতে হবে, এমনই ইঙ্গিত দিলেন।
এনাম ভাইয়ের মনখোলা আমন্ত্রণের কারনে জীবনের স্মরণীয় একটি ইভেন্টে অংশগ্রহণের সুযোগ হলো। আমার দেশের একজন প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান মঞ্চের তিনশো গজের ভেতরে প্রবেশের অধিকার হয় না। নিরাপত্তার চাঁদরে তারা ঢেকে দেন প্রধানমন্ত্রী যে শহরে আসবেন সেই শহর। সুবিধার চেয়ে অসুবিধা দিয়েই তারা ক্ষমতার দাপটে রাজনীতি করার মতো মজাদার পেশায় নিজেদের নামের সামনে পেছনে লাগান খেতাব বিশেষ কিংবা মহাপদবী। কিন্তু মানুষের ভালবাসা তাদের ভাগ্যে জুটছে কি না একবারও খুঁজ নেন না। তবে তারা তাদের বক্তৃতায়, বিবৃত্তিতে বলে বেড়ান জনগণের কল্যাণে তারা সব করছেন।
লাটবিয়ার প্রধানমন্ত্রী তার পুরো মন্ত্রী পরিষদ নিয়ে পদত্যাগ করেছেন। কারন তার দেশের একটি সুপার মার্কেটের ছাদ ধ্বসে ৫০জন মানুষ মারা গেছে। সে দেশের জনগণ কিন্তু প্রতিবাদ করেনি, রাস্তায়ও নেমে আসেনি। কিন্তু জনগণকে নিরাপত্তা দিতে পারেননি এমন ব্যর্থতা নিজ থেকে মাথায় নিয়ে পদত্যাগ !! কিন্তু দুর্ভাগা জাতি আমরা, আমাদের ভবন ধ্বসে পড়ে ১২’শ মানুষ মরার ঘটনা ক্ষমতাসীনদের কাছে স্বাভাবিক !!
লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট
সম্পাদক (নির্বাহী ) দি সান রাইজ টুডে ডট কম।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button