রিজার্ভে রেকর্ড, সার্কে বাংলাদেশ দ্বিতীয়

Bangladesh Bank Logoদেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বা রিজার্ভ আবারও নতুন রেকর্ডে বা উচ্চতায় অবস্থান নিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে সংরক্ষিত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ মঙ্গলবার ১৭০০ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এ নিয়ে চলতি বছরে কয়েক দফায় শত কোটি ডলার করে রিজার্ভ বেড়েছে।
বর্তমানের রিজার্ভ দিয়ে দেশের সাড়ে পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। সার্কভুক্ত দেশগুলোর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের হিসাবে বাংলাদেশের অবস্থান এখন দ্বিতীয়। প্রথম অবস্থানে রয়েছে ভারত। ভারতের রিজার্ভ ২৮ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। তার পরই বাংলাদেশ। আর তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের রিজার্ভ হচ্ছে ১২০০ কোটি ডলারের মত।
মূলত, আমদানি ব্যয় কমে যাওয়ার পাশাপাশি রপ্তানি আয় ও প্রবাসী-আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে। তবে বিদেশ থেকে দেশের বেসরকারি খাত পৌনে ২০০ কোটি ডলারের বেশি ঋণ করে আনায় দেশের রিজার্ভে এই চাপ আপাতত পড়েনি। পরিশোধের সময় কিছুটা চাপ আসবে।
মুদ্রাবাজারে ডলারের তেমন চাহিদা নেই। টাকা দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে। মূল্যমান খোয়াচ্ছে মার্কিন ডলার। টাকা শক্তিশালী হলে প্রবাসী-আয় (রেমিট্যান্স) ও রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মধ্য মেয়াদে এই দুই পক্ষই নিরুত্সাহিত হয়। যে কারণে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে ডলারের মূল্যমান ধরে রাখার একটা চ্যালেঞ্জ নিয়ে থাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাজারভিত্তিক ব্যবস্থা হলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটা প্রচ্ছন্ন তত্পরতা থাকে ডলারের মূল্য ধরে রাখার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) কাজী ছাইদুর রহমান রিজার্ভ বাড়ার কারণ উল্লেখ করেন। তিনি প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, রপ্তানিতে একটা বড় উল্লম্ফন আছে। রেমিট্যান্সেও ভালো। অন্যদিকে অপ্রয়োজনীয় আমদানি কমেছে। খাদ্যপণ্য আমদানিও নেই। এখন যা আমদানি হচ্ছে তা প্রকৃত চাহিদা। এতে রিজার্ভ বাড়ছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button