গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রত্যাশা ক্ষীণ
যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এখন স্বীকার করেছেন যে, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বে ইসরাইল ও হামাস মুক্তিযুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে পারবে, এমন প্রত্যাশা তারা করছেন না। যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ওয়াল স্ট্রীট জার্নালে গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এটা প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাইডেন প্রশাসন একটি চুক্তিতে পৌঁছার জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে যা গাজায় যুদ্ধ বন্ধ এবং লেবাননে ইসরাইল ও হিজবুল্লার মধ্যকার সংঘাত বিস্তার রোধের একমাত্র উপযুক্ত সমাধান।
জনৈক মার্কিন কর্মকর্তা জার্নালটিকে বলেন, কোন চুক্তি আসন্ন নয়। আমি নিশ্চিত নই এটা কখন হবে। প্রতিবেদন অনুসারে কর্মকর্তারা তাদের হতাশার পেছনের দুটো বড় কারণ উল্লেখ করেন। এর একটি হচ্ছে হামাসের হাতে জিম্মিদের মুক্তিদানের বিনিময়ে ইসরাইল কতজন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে যাকে একজন মার্কিনীসহ ৬ জন জিম্মির মৃত্যুর পূর্বে একটি বড় বিষয় হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
এছাড়া লেবাননে বিস্ফোরকপূর্ণ পেজার ও ওয়াকি টকি বিস্ফোরণের ঘটনার সাথে ইসরাইলের বিমান হামলার পর দু’দিন ধরে হিজবুল্লার হামলার ফলে সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা হামাসের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রচেষ্টাকে আরো জটিল করে তুলেছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয় যে, এছাড়া আর একটি সমস্যা হচ্ছে, হামাস দাবি জানায় এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল তা মেনে নেয়ার পর তারা তা মানতে অস্বীকার করে।
মার্কিন নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি গত বুধবার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা ও যুদ্ধবিরতির জন্য আগের মতই এখনো প্রস্তুত হয়ে আছে। আমরা লেবাননে যুদ্ধের আরেকটি সীমান্ত খোলা প্রতিরোধে জোরালো কূটনৈতিক প্রয়াস এখনো অব্যাহত রেখেছি। কিন্তু আমরা এক সপ্তাহ আগে যে অবস্থায় ছিলাম তার চেয়ে কাছাকাছি হতে পারিনি এই চুক্তির ক্ষেত্রে।
সাম্প্রতিক সময়ে ইসরাইল হিজবুল্লাহর মধ্যে উত্তেজনা তীব্রতর হয়েছে। সম্প্রতি লেবানন জুড়ে ইসরাইলি চক্রান্তে তারবিহীন আইসিওএম ডিভাইস বিস্ফোরণে ২৫ জন নিহত ও সাড়ে চারশ’ জন আহত হওয়ার পর এই উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ঘটনায় ভয়াবহ পরিণতির হুমকি দিয়েছে হিজবুল্লাহ।