জার্মানিকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ড
ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে নয়নকাড়া ফুটবল অঘটনের জন্ম দিল ইংল্যান্ড। ইউরোর তিনবারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেছে ইংলিশ শিবির। আজ মঙ্গলবার রাতে ওয়েম্বলিতে শেষ ষোলোর ম্যাচে জার্মানিকে ২-০ গোলে হারায় ইংল্যান্ড। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে হ্যারি কেইন ও স্টারলিংয়ের গোলে উন্মত্ত আনন্দে মাতে ইংল্যান্ড।
ইউরো ফুটবলে তিনবারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানি। সব শেষ দুই আসরে তারা খেলেছিল সেমিফাইনাল। ২০০৮ সালে রানার্স আপ। অথচ এবার শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিতে হলো জোয়াকিম লো বাহিনীকে। শেষ ষোলো থেকে ইউরো ফুটবলে কখনোই বিদায়ের ঘটনা ছিল না জার্মানির। এবার তাই হলো। অন্য দিকে ২০১২ সালের পর ইউরোতে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলো ইংল্যান্ড। এই টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ সাফল্য সেমিফাইনাল, ১৯৯৬ সালে।
প্রথমার্ধে দুই দলই সমানতালে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ করেছে। কিন্তু গোলের দেখা মেলেনি। প্রথমার্ধে দুই দল তিনটি করে গোলপোস্টে শট নিলেও লক্ষ্যে ছিল দু’টি। বল দখলে এগিয়ে ছিল ইংল্যান্ড, শতকরা ৫৩ ভাগ। তিন কর্নার ইংল্যান্ডের, জার্মানির একটি।
দ্বিতীয়ার্ধে ক্রমেই বদলে যেতে থাকে ম্যাচের চিত্র। রক্ষণ জমাট রেখে আক্রমণ চালাতে থাকে ইংল্যান্ড। ঘরের মাঠে ৭৫ মিনিটে ইংলিশদের আনন্দে ভাসান পল রাহিম স্টার্লিং। দারুণ এক গোলে লিড নেয় ইংল্যান্ড। গোল শোধে উন্মত্ত তখন জার্মানি। কিন্তু না। উল্টো ১১ মিনিট পর আরো একটি গোল হজম করে তারা। ইংল্যান্ডের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন অধিনায়ক হ্যারি কেইন। বাকি সময়ে জার্মানি কোনো রূপকথার জন্ম দিতে পারেনি। দারুণ রোমাঞ্চকর জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইংল্যান্ড।
পুরো ম্যাচে বল দখলে এগিয়ে ছিল জার্মানিই, শতকরা ৫৫ ভাগ। পাঁচটি শটের মধ্যে ইংল্যান্ডের ছিল চারটি লক্ষ্যে। সেখানে নয়টি শটের মধ্যে তিনটি ছিল জার্মানির লক্ষ্যে। দুই দলই কর্নার আদায় করেছে সমান তিনটি করে। আগামী তিন জুলাই রোমে সেমিতে যাওয়ার লড়াইয়ে মাঠে নামবে ইংল্যান্ড, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ সুইডেন-ইউক্রেনের মধ্যকার জয়ী দল।