সবাই যার যার ঘরে থাকুন: প্রধানমন্ত্রী

শ্রমিকদের বেতন দিতে ৫ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সবাইকে যার যার ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তিনি এ পরামর্শ দেন।
প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে যে কোনো কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সরকার প্রস্তুত রয়েছে জানিয়ে সংকট মোকাবেলায় তার সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি এই সংকটময় সময়ে সবাইকে ধৈর্য্য ধরে সাহসিকতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে সব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সেগুলো অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলুন। মাত্র ১৪ দিন আলাদা থাকুন। আপনার পরিবার, পাড়া-প্রতিবেশী, এলাকাবাসী এবং সর্বোপরি দেশের মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য এ সব নির্দেশনা মেনে চলা প্রয়োজন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে মুসলিমদের মসজিদে না গিয়ে ঘরেই নামাজ পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে সবাইকে যতটা সম্ভব ঘরে থাকার অনুরোধও করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, বাঙালি বীরের জাতি। নানা দুর্যোগে-সংকটে বাঙালি জাতি সম্মিলিতভাবে সেগুলো মোকাবেলা করেছে। ১৯৭১ সালে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমরা শত্রুর মোকাবেলা করে বিজয়ী হয়েছি। করোনাভাইরাস মোকাবেলাও একটা যুদ্ধ। এ যুদ্ধে আপনার দায়িত্ব ঘরে থাকা। আমরা সবার প্রচেষ্টায় এ যুদ্ধে জয়ী হব, ইনশাআল্লাহ। আবারও বলছি: স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। সবাই যার যার ঘরে থাকুন, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, নিরাপদ থাকুন। মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।
এদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে রফতনিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের বেতন দিতে ৫ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য আমি পাঁচ হাজার কোটি টাকার একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করছি। এ তহবিলের অর্থ দ্বারা কেবল শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যাবে। ‘শিল্প উৎপাদন ও রফতানি বাণিজ্যে আঘাত আসতে পারে। এই আঘাত মোকাবিলায় আমরা কিছু আপদকালীন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রফতানি আয় আদায়ের সময়সীমা দুই মাস থেকে বাড়িয়ে ৬ মাস করা হয়েছে। একইভাবে আমদানি ব্যয় মেটানোর সময়সীমা ৪ মাস থেকে বাড়িয়ে ৬ মাস করা হয়েছে। মোবাইলে ব্যাংকিং-এ আর্থিক লেনদেনের সীমা বাড়ানো হয়েছে।’ বিদ্যুৎ, পানি এবং গ্যাস বিল পরিশোধের সময়সীমা সারচার্জ বা জরিমানা ছাড়া জুন মাস পর্যন্ত বাড়ানো এবং এনজিওগুলোর ঋণের কিস্তি পরিশোধ সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button