মার্কিন হামলায় ইরানের এলিট কুদস ফোর্সের প্রধান নিহত

বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ডস বাহিনীর এলিট কুদস ফোর্সের কমান্ডার মেজর জেনারেল কাসেম সোলেমানিসহ সাতজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) ইরাকের বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) পেন্টাগনের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।

বিবিসির খবরে বলা হয়, খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ওই হামলা চালানো হয়েছে বলে পেন্টাগন নিশ্চিত করেছে। ইরানের বিপ্লবী গার্ডস জেনারেল কাসেমের মৃত্যুর কথা স্বীকার করে বলেছে মার্কিন হেলিকপ্টার থেকে হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর ভয়ঙ্কর প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছেন ইরানের বিপ্লবী গার্ডস বাহিনীর সাবেক কমান্ডার মোহসেন রেজাই। শুক্রবার ভোরে ওই হামলায় নিহতদের মধ্যে ইরাকি মিলিশিয়া কমান্ডার আবু মাহদি আল-মুহান্দিসও রয়েছেন বলে জানায় ইরাকের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়, বাগদাদ বিমানবন্দরের কার্গো টার্মিনালের কাছে দুটো গাড়িতে মার্কিন হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া তিনটি রকেট আঘাত হানে। এর মধ্যে একটি গাড়িতে ছিলেন জেনারেল সোলেমানি ও মিলিশিয়া নেতা আল-মুহান্দিস। আর তাদের নিরাপত্তার জন্য ইরাকের প্যারা মিলিটারি ফোর্সের সদস্যরা ছিলেন দ্বিতীয় গাড়িতে। ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া বাহিনীর ঘাঁটিতে মার্কিন হামলায় ২৫ জন নিহত হওয়ার পার বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে হামলা-ভাংচুরের দুই দিনের মাথায় এ ঘটনা মধ্যপ্রাচ্য ঘিরে উত্তেজনাকে নতুন মাত্রা দেবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

বিবিসি লিখেছে, ইরানের সশস্ত্র বাহিনীতে জেনারেল কাসেম সোলেমানি ছিলেন একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে দেওয়া হত জাতীয় বীরের সম্মান। তার কুদস ফোর্স কাজ করে মূলত বিপ্লবী গার্ডস বাহিনীর ‘ফরেইন উইং’ হিসেবে। এই বাহিনী জবাবদিহি করে সরাসরি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির কাছে।

পেন্টাগনের বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে মার্কিন বাহিনী বিদেশে তাদের সদস্যদের সুরক্ষার স্বার্থে ‘প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা হিসেবে’ কাসেম সোলেমানিকে হত্যা করেছে।

“ইরানের ভবিষ্যত হামলা পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেওয়াই ছিল এই আক্রমণের উদ্দেশ্য। বিশ্বের যেখানেই আমাদের নাগরিক ও সম্পদ রয়েছে, তা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব রকম ব্যবস্থাই যুক্তরাষ্ট্র নেবে।”

জেনারেল কাসেম সোলেমানি বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে হামলা-ভাংচুরের পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছিলেন বলে পেন্টাগন দাবি করে আসছে, যদিও ওই হামলার সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পর্ক থাকার কথা অস্বীকার করেছে ইরান।

জেনারেল কাসেম নিহত হওয়ার খবর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে আসার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের পতাকার একটি ছবি টুইট করেছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়ে গেছে ৪ শতাংশ।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button