তালেবান-যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি: তুলে নেয়া হবে মার্কিন ৫৪০০ সৈন্য

তালেবানের সাথে শান্তি আলোচনার অংশ হিসেবে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী ২০ সপ্তাহের মধ্যে পাঁচ হাজার চার শ’ সেনা তুলে নেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। ওয়াশিংটনের শীর্ষ সমন্বয়করা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। দীর্ঘদিন ধরেই তালেবানের সাথে শান্তি আলোচনায় কি হচ্ছে না হচ্ছে তা নিয়ে বিভিন্ন মহলের আগ্রহ রয়েছে।

এ বিষয়ে টেলিভিশনে প্রথমবারের মতো দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন তালেবানের সাথে আলোচনায় অংশ নেয়া মার্কিন কর্মকর্তা জালমে খলিলজাদ। তবে তিনি জানিয়েছেন, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে মার্কিন ওই কর্মকর্তার সাক্ষাৎকারটি যখন টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হয় ঠিক সে সময়ই কাবুলে একটি বড় ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

তালেবানের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, তারা ওই হামলা চালিয়েছে। এতে কমপক্ষে ১৬ জন নিহত এবং আরও ১৯ জন আহত হয়। তালেবান বলছে, তাদের এই হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিলেন বিদেশি নাগরিকরা। বিদেশি নাগরিকরা বসবাস করেন এমন একটি আবাসিক কম্পাউন্ডে ওই হামলা চালানো হয়।

তালেবানের সাথে শান্তি আলোচনার মধ্যে এমন হামলার ঘটনায় এই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে যে, আফগানিস্তানে প্রায় প্রতিদিনই তালেবান যেভাবে সহিংসতা চালাচ্ছে সেটা হয়তো বন্ধ হবে না। এসব হামলায় বহু বেসামরিক প্রাণ হারাচ্ছেন।

২০০১ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন আক্রমণের পর থেকে দেশটির সাবেক শাসক তালেবানরা ক্ষমতা হারালেও বর্তমানে অনেক অঞ্চল তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সে আক্রমণের পর দেশটিতে যে সরকার গঠন করা হয়েছে তাদের সাথে তালেবানরা কোনো আলোচনা করতে রাজি নয়। কারণ এ সরকারকে তারা আমেরিকার পুতুল সরকার হিসেবে গণ্য করে থাকে।

টোলো নিউজকে দেয়া ওই সাক্ষাৎকারে খলিলজাদ বলেছেন, কাতারে অনুষ্ঠিত হওয়া নয় ধাপের শান্তি আলোচনার ফল এ চুক্তি। তিনি বলেন, মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের বিনিময়ে তালেবানরা মার্কিন সৈন্য ও তাদের মিত্রদের উপর আর আক্রমণ করবে না চুক্তিতে বলা হয়েছে। খলিলজাদ বলেন, চুক্তি অনুযায়ী আমরা আমাদের ১৩৫টি ক্যাম্প থেকে উল্লেখিত সৈন্যদের প্রত্যহার করে নেব।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button