বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

democযুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ও কার্যকর গণতন্ত্র দেখতে চায় বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মিজ মার্শা ব্লুম বার্নিকাট। তিনি বলেন, গণতন্ত্র শুধু ব্যালট বাক্সে  ভোট দেয়া নয়। নির্বাচনের আগে যা ঘটে, নির্বাচনের সময় ও নির্বাচনের পর যা হয়, তার সবকিছুই গণতন্ত্রের অংশ। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলে সবাই তার ফল মেনে নেবে। নির্বাচনে স্বাধীন ও শান্তিপূর্ণভাবে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা গেলে তার ফলে ভোটাররা বেশি আস্থাশীল হবে। তিনি আরো বলেন, কার্যকর গণতন্ত্রে সকল রাজনৈতিক দলের মুক্তভাবে কাজ করার সুযোগ থাকতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর লেক শোর হোটেলে অনুষ্ঠিত ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। ‘অ্যাডভান্সিং উইমেনস লিডারশিপ ইন ইলেকশন’ শীর্ষক এ গোল টেবিল বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ প্রমুখ।
আগামী সাধারণ নির্বাচনের দিকে ইঙ্গিত করে বার্নিকাট বলেন, একটা কার্যকর গণতন্ত্রে সব রাজনৈতিক দলের মুক্তভাবে কাজ করার সুযোগ থাকতে হবে। নাগরিকদের ভোটার হওয়ার স্বাধীনতা থাকতে হবে। কোনো ধরনের বাধা বা চাপমুক্ত থেকে ভোট দেয়ার সুযোগ থাকবে হবে। বাংলাদেশে গণতন্ত্রে সহিংসতার কোনো স্থান নেই।
নির্বাচনের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য স্বাধীন ও শান্তিপূর্ণভোট বেশি গুরুত্ব রাখবে জানিয়ে তিনি বলেন, দৃঢ় গণতন্ত্রে নাগরিকেদের শান্তিপূর্ণ ভাবে তাদের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাতে দেয়া উচিত। কোনো ধরনের আশঙ্কা ছাড়াই ভোটের জন্য নিবন্ধন করাসহ নির্বাচনের ফলাফলকে শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ থাকতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্র রাজনৈতিক দল, তরুণ ও নারী নেত্রীর সঙ্গে অন্তর্ভুক্তিকরণ রাজনীতি নিয়ে কাজ করছে উল্লেখ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে দৃঢ় করতে নারীদের নিরাপদ অংশগ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এখনও বেশ কয়েকজন নারী নেত্রী থাকার পরও রাজনৈতিক দলে ও নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ-প্রক্রিয়া পিছিয়ে রয়েছে।
গোলটেবিলে মূল বক্তা সিইসি নূরুল হুদা দেশে নারীদের অগ্রযাত্রার প্রশংসা করে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোতে নারী প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে চাপ দিয়ে যাবে ইসি। রাজনীতিতে নারীদের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। স্থানীয় সরকারেও নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। কাজেই পৃথিবীর অনেক দেশের থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে। তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনে নারীর মনোনয়ন দেয়ার জন্য দলগুলোর সিদ্ধান্তের ওপর নির্বাচন ইসির হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ নেই। তবে দলে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে চাপ প্রয়োগ করতে পারি। ২০২০ সালের মধ্যে নিবন্ধিত দলগুলোয় সব কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে নির্বাচনী আইনে। দলগুলো এখনও এই শর্ত পূরণে পিছিয়ে আছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button