জামায়াতের হরতালে সারা দেশে ব্যাপক সংঘর্ষ : নিহত ৪

Hortalবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আহূত গতকাল সোমবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালে রাজধানীসহ সারা দেশে ব্যাপক সংঘর্ষ ও সহিংস ঘটনা ঘটেছে। এ সময় কুষ্টিয়া ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪০০, গ্রেফতার হয়েছেন জামায়াত-শিবিরের অন্তত ২০০ নেতাকর্মী। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ রয়েছে শ’খানেক। সহিংস ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশও আহত হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। হরতাল চলাকালে র‌্যাব ও পুলিশ হরতালকারীদের ওপর নির্বিচারে গুলি ও টিয়ার শেল ছুড়েছে। অন্য দিকে হরতালকারীরা যেখানে পেরেছে পুলিশের ওপর ইটপাকেল ছুড়েছে। এ ছাড়া যানবাহন ও প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে। প্রসঙ্গত জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মিথ্যা মামলা দায়ের করে তাকে গ্রেফতার এবং বিচারের রায় ঘোষণার প্রতিবাদে জামায়াত এই হরতালের ডাক দেয়। গতকাল রায় ঘোষণার পর তা প্রত্যাখ্যান করে জামায়াত আজ মঙ্গলবারও সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে। হরতালে রাজধানী ছিল অচল। রাস্তাঘাট যানবাহনশূন্য। বেশির ভাগ এলাকার রাস্তাঘাট ছিল রিকশা ও ভ্যানের দখলে। রাজধানীর দোকানপাট, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ছিল। সরকারি অফিস-আদালত খোলা থাকলেও প্রধান ফটক বন্ধ রেখে কাজ করতে দেখা যায়। রাজধানী থেকে দূরপাল্লার সব পরিবহন গতকাল বন্ধ ছিল। কোনো বাস ছেড়েও যায়নি এবং আসেওনি। তবে লঞ্চ, ট্রেন ও বিমান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। রাজধানীসহ সারা দেশেই গতকালের মামলা দায়ের করে তাকে গ্রেফতার এবং বিচারের রায় ঘোষণার প্রতিবাদে জামায়াত এই হরতালের ডাক দেয়। গতকাল রায় ঘোষণার পর তা প্রত্যাখ্যান করে জামায়াত আজ মঙ্গলবারও সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে। হরতালে রাজধানী ছিল অচল। রাস্তাঘাট যানবাহনশূন্য। বেশির ভাগ এলাকার রাস্তাঘাট ছিল রিকশা ও ভ্যানের দখলে। রাজধানীর দোকানপাট, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ছিল। সরকারি অফিস-আদালত খোলা থাকলেও প্রধান ফটক বন্ধ রেখে কাজ করতে দেখা যায়। রাজধানী থেকে দূরপাল্লার সব পরিবহন গতকাল বন্ধ ছিল। কোনো বাস ছেড়েও যায়নি এবং আসেওনি। তবে লঞ্চ, ট্রেন ও বিমান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। রাজধানীসহ সারা দেশেই গতকালের হরতালে র‌্যাব-পুলিশ ছিল মারমুখো। হরতাল সমর্থনে কোনো মিছিল পিকেটিং দেখলেই পুলিশ গুলি চালায়। এর মধ্যেও যেখানেই সুযোগ পেয়েছে সেখানেই মিছিল ও রাস্তা অবরোধের চেষ্টা চালায় হরতাল সমর্থকেরা। রাজধানীর সম্ভাব্য সব স্থানেই বিপুলসংখ্যক পুলিশ-র‌্যাব মোতায়েন করা হয়। পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক গোয়েন্দা সদস্যদেরও মোতায়েন করা হয় বিভিন্ন স্থানে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button