এবার ব্রাজিল বিশ্বকাপ নিয়ে উদ্বেগ

Brazil২০২২ সালের আগে বিশ্বকাপ ফুটবলের আরও দুটি আসর মাঠে গড়াবে। কিন্তু সবাই মেতে আছে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে। গ্রীষ্মে কাতারের তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠে যায় বলে সে সময় বিশ্বকাপ আয়োজনে আপত্তি জানিয়েছে অনেক দেশ। কাতার বিশ্বকাপের সূচি গ্রীষ্মকালের বদলে শীতকালে সরিয়ে আনার প্রস্তাব নিয়ে আগামী ৩ ও ৪ অক্টোবর ফিফার নির্বাহী কমিটির সভায় আলোচনা হবে। কিন্তু পেশাদার ফুটবলারদের বৈশ্বিক সংগঠন ফিফপ্রো কাতারের চেয়ে ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপ নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন। কাতারের মতো ব্রাজিলের তাপমাত্রাও ফুটবলারদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। কাতারের বদলে তাই ব্রাজিল বিশ্বকাপের দিকে মনোযোগ দিতে ফিফাকে আহ্বান জানালেন ফিফপ্রোর মহাসচিব থিও ভ্যান সেগেলেন।
সোমবার ফিফা প্রেসিডেন্ট সেপ ব্লাটারের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি বলেন, ‘নয় বছর পরের কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে মিডিয়ার মাতামাতি দেখে আমি বিস্মিত। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই বলে মনে হচ্ছে।’ ব্রাজিলের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ভেন্যুগুলোতে স্থানীয় সময় বেলা একটায় বিশ্বকাপের কিছু ম্যাচ রয়েছে। এটা নিয়েই মূলত উদ্বিগ্ন ফিফপ্রো। এবছর কনফেডারেশন্স কাপের সময় গরমের কারণে ভুগতে হয়েছে খেলোয়াড়দের। বিশেষ করে ফর্তালেজায় অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো স্পেন-ইতালি সেমিফাইনালে। এ প্রসঙ্গে সেগেলেন বলেন, ‘ম্যাচের পর ইতালি ও স্পেনের খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলেছি আমি। তারা বলেছে, গরমের জন্য অতিরিক্ত সময়ে খেলাটা অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। বিকেলের ম্যাচেই যদি এই অবস্থা হয় তাহলে দুপুরের চিত্রটা কল্পনা করুন। আমাদের বুঝতে হবে, এতে শুধু খেলার মানই প্রভাবিত হয় না, খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্যও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।’
ব্রাজিলের বিশ্বকাপ ভেন্যুগুলোর দূরত্বও ভাবিয়ে তুলেছে তাকে। বলেছেন ‘যাতায়াতেও একটি বড় সমস্যা’। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনাকে চার ঘণ্টার ফ্লাইটে এক ভেন্যু থেকে অন্য ভেন্যুতে যেতে হবে। একটা কঠিন ম্যাচের পর যাতায়াত সমস্যা হয়ে দেখা দেবে।’ সেগেলেন জানালেন, ব্রাজিল বিশ্বকাপ নিয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর সমস্যাগুলো নিয়ে আবারও ফিফার সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তারা। ফিফার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ভালো হলেও ২০১৪ বিশ্বকাপ পরিকল্পনা নিয়ে ফিফা যদি খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলোচনা করে তবে কঠোর অবস্থানে যেতে বাধ্য হবে ফিফপ্রো। ফিফাকে সতর্ক করে দিয়ে সেগেলেন বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের তখন কঠোর অবস্থানে যেতে হবে। আমরা তা চাই না। কিন্তু তখন আমাদের সামনে কোনো বিকল্প থাকবে না।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button