একচেটিয়া বিজয়ের পর অধিকতর ক্ষমতার দাবি নিকোলার

Nicolaব্রিটেনের পার্লামেন্ট নির্বাচনে স্কটল্যান্ডের আসনগুলোতে একচেটিয়া বিজয়ের পর অধিকতর ক্ষমতার দাবি করেছেন দেশটির ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজিওন। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ট্যাক্স সংগ্রহ ও জনকল্যাণ তহবিল পরিচালনার ক্ষেত্রে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছেন তিনি। যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
স্টারজিওন বলেন, এ ধরনের পদক্ষেপ স্কটিশ সরকারের জন্য শক্তিশালী অর্থনীতি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। এ ব্যাপারে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলেছেন বলেও বিবিসিকে জানান স্টারজিওন। তবে আরও আলোচনা দরকার বলেই মনে করেন তিনি।
স্টারজিওন বলেন, কর আদায়, কর্মসংস্থান, বেতন ও জনকল্যাণের ক্ষেত্রে আমাদের পূর্ণ ক্ষমতা প্রয়োজন। কারণ দ্রুত শক্তিশালী অর্থনীতি গড়ে তুলতে এগুলোর কোনো বিকল্প নেই।
তবে এ বিষয়ে কথা বলার পর ডেভিড ক্যামেরন এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেননি বলে বিবিসিকে জানান তিনি।
এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোট অুষ্ঠিত হয়। এ গণভোটে যুক্তরাজ্যের অখণ্ডতা ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে প্রচারণা চালায় ওয়েস্টমিন্সটারের রাজনীতিবিদরা। দলমত নির্বিশেষে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, লিবডেম নেতা উপ-প্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগ এবং বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা মিলিব্যান্ড সমস্বরে প্রতিশ্র“তি দিয়ে বলেন, স্কটল্যান্ডের মানুষ যদি স্বাধীনতার বিপক্ষে বা ‘না’ ভোট দেয় তাহলে স্কটিশ পার্লামেন্টের হাতে ট্যাক্স, প্রাদেশিক ব্যয়, স্বাস্থ্যসেবা এবং সরকারি কল্যাণ নীতি নির্ধারণের ক্ষমতা ছেড়ে দেয়া হবে। এ জন্য আগামী জানুয়ারি মাসের প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক পরিবর্তন সম্পর্ণ করা হবে এবং ২০১৫ সালের নির্বাচনে যে দলই ক্ষমতায় আসুক প্রতিশ্র“তিগুলোর বাস্তবায়ন করা হবে। গণভোটে স্কটিশরা স্বাধীনতার বিপক্ষে বা যুক্তরাজ্যের সঙ্গে থাকার পক্ষে রায় দিয়েছে। ফলে ওয়েস্টমিন্সটারের রাজনীতিকরা কীভাবে তাদের দেয়া প্রতিশ্র“তি পূরণ করবেন সে প্রশ্ন তীব্র হয়ে উঠেছে।
সে সময় প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন গণভোটের ফলে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এখন সময় এসেছে স্কটিশদের দেয়া প্রতিশ্র“তিগুলো পূরণ করার এবং একই সঙ্গে তা যেন ইংল্যান্ড, ওয়েলস এবং নর্দান আয়ারল্যান্ডের জন্য ন্যায়সঙ্গত হয় সেটা নিশ্চিত করা।
তিনি বলেন, স্কটিশরা নিজেদের ট্যাক্স, ব্যয় এবং স্বাস্থসেবার মতো বিষয়ে নিজেরা সিদ্ধান্ত নেবে। ফলে ইংল্যান্ডের কোনো নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে স্কটিশ এমপিদের ভোটাধিকার থাকা উচিত নয়। ইংলিশ এমপিরাই ইংল্যান্ডের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
কয়েক মাস আগে ক্ষমতার বিকেন্দ্রিকরণ শক্তিশালী করার লক্ষ্যে গঠিত স্মিথ কমিশন স্কটিশ পার্লামেন্টকে ইনকাম ট্যাক্স নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা প্রদানের সুপারিশ করে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button