করোনাভাইরাস মহামারি

এশিয়া থেকে ২৬০০ কোটি ডলার তুলে নিয়েছে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা

শুধু ভারত থেকেই তুলে নেওয়া হয়েছে এক হাজার ৬০০ কোটি ডলার

এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে প্রায় দুই হাজার ৬০০ কোটি ডলার তুলে নিয়েছে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। এরমধ্যে শুধু ভারত থেকেই তুলে নেওয়া হয়েছে এক হাজার ৬০০ কোটি ডলার। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারির ফলে আসন্ন অর্থনৈতিক মন্দার কারণেই এ পদক্ষেপ নিয়েছে বিনিয়োগকারীরা। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে বলে বুধবার এনডিটিভি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে অর্থনীতির ওপর কী প্রভাব পড়বে তা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কংগ্রেশনাল রিসার্চ সার্ভিস (সিআরএস)। সে প্রতিবেদনে বিপুল অঙ্কের বিদেশি বিনিয়োগ তুলে নেওয়ার তথ্য দেওয়ার পাশপাশি বলা হয়েছে, এতে এশিয়ার দেশগুলো একটি বড় অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত কয়েক সপ্তাহে ইউরোপের পাঁচ দেশ জার্মানি, ফ্রান্স, ব্রিটেন, স্পেন ও ইতালির তিন কোটি মানুষ চাকরি হারিয়ে সরকারি সুবিধা পেতে আবেদন করেছেন। ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে ইউরোপের অর্থনীতি ৩ দশমিক ৮ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। গত আড়াই দশকে এমন ঘটনা প্রথম।
যুক্তরাষ্ট্রে এ বছর প্রথম প্রান্তিকে জিডিপি কমেছে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ। সিআরএস বলেছে, ২০০৮ সালের মহামন্দার পর যা সর্বনিম্ন।
সিআরএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহামারির কারণে মুদ্রা ও আর্থিক নীতি বাস্তবায়নে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বিভিন্ন দেশের সরকার। একই সঙ্গে সরকারগুলোকে জনগণের জন্য অন্যান্য নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাও নিতে হচ্ছে। একেক দেশের সরকার একেক রকম নীতি নিয়ে চলছে। ফলে মোটাদাগে জাতীয়তাবাদকে গুরুত্বপ্রদানকারী দেশ ও আন্তর্জাতিক সংহতি বজায় রাখার পক্ষের দেশগুলোর মধ্যে এক ধরনের বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
মহামারি মোকাবিলার ভিন্ন ভিন্ন নীতি উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যকার সম্পর্কেও টানাপোড়েন সৃষ্টি করেছে। শুধু তাই নয়, উত্তর ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে দক্ষিণ ইউরোপের দেশগুলোর সম্পর্কেও টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সামনের দিনগুলোতে পারস্পারিক বৈশ্বিক সম্পর্ক কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে সিআরএসের প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মহামারির কারণে প্রায় সবগুলো বড় অর্থনীতি সংকুচিত হয়ে পড়বে। কেবল চীন, ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার অর্থনীতি সামান্য হলেও ইতিবাচক হারে বৃদ্ধি পাবে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button