বাংলাদেশ-ইন্দোনেশিয়া ৫ চুক্তি ও সমঝোতা

indonesiaইন্দোনেশিয়া থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির জন্য একটি আগ্রহপত্রসহ পাঁচটি সমঝোতায় সই করেছে বাংলাদেশ।
রোববার ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুই দেশের প্রতিনিধি দলের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর এসব সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
সরকারি পর্যায়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে এলএনজি আমদানি করার জন্য গত বছর সেপ্টেম্বরে জাকার্তায় একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছিল দুই দেশ।
এর ধারাবাহিকতায় রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর এলএনজি কেনাবেচার বিষয়ে একটি আগ্রহপত্রে সই করেন পেট্রোবাংলার সচিব সৈয়দ আশফাকুজ্জামান ও ইন্দোনেশিয়ার জ্বালানি বিভাগ পেরতামিনার ভাইস প্রেসিডেন্ট উইকো মিড়নাতারো।
দেশে গ্যাসের মজুদ কমে আসায় সরকার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) ব্যবহার বাড়ানোর উদ্যোগে নিয়ে এগোচ্ছে। ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস সরবরাহের ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়েও এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে উৎসাহ দেয়া হচ্ছে।
পেট্রোবাংলার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে গ্যাসের চাহিদা দৈনিক ৩ হাজার ২০০ মিলিয়ন ঘন ফুট। এর বিপরীতে সরবরাহ হচ্ছে ২ হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো।
সরকার আগামী দিনগুলোতে বিদেশ থেকে এলএনজি কিনে এনে তা আবার গ্যাসে রূপান্ত্মর করে সরবরাহ করার মাধ্যমে গ্যাসের চাহিদা পূরণ করার পরিকল্পনা নিয়েছে।
সমন্বিত গ্যাস অবকাঠামোর উন্নয়নেও রোববার ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ বিদু্যৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ এবং ইন্দোনেশিয়ার জ্বালানি বিভাগ পেরতামিনার ভাইস প্রেসিডেন্ট গিনানজার সোফিয়ান এই সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
এছাড়া দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়াতে ‘অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি’ করার জন্য আলোচনার শুরম্নর ঘোষণায় সই করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও এঙ্গারতিয়াসতো লুকিতা।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ার পরিসংখ্যান দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালে দুই দেশের মধ্যে ১.৩৩ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়, যেখানে ইন্দোনেশিয়ার রপ্তানির পরিমাণই ছিল ১.১৯ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ে সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
সাগরে বেআইনিভাবে মৎস্য আহরণ বন্ধে দুই দেশের সহযোগিতা বৃদ্ধিতে একটি যৌথ ঘোষণায় সই করেন ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি ও বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে শেখ হাসিনা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। দুই নেতার একান্ত বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চামেলী হলে তাদের নেতৃত্বে শুরু হয় দ্বিপক্ষীয় বৈঠক।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button