মা’র দু’আতেই তিনি কাবা শরীফের ইমাম

adilদরিদ্র ঘরের সন্তান, উপসাগরীয় অঞ্চলের এক কালো মানিক হলেন কাবা শরীফের ইমাম। আর তার পেছনে ছিল তার মায়ের দু‘আ। সে কথাই জানালেন ইমাম শাইখ আদিল আল কালবানি। লন্ডনের এক কনফারেন্সে পবিত্র কাবা শরীফের এক ইমাম আল কালবানি এই কাহিনী বর্ণনা করেন। এতে তিনি তার জীবনের একটি বাস্তবতা তুলে ধরেন। তিনি জানান, তার উপর কোনো কারণে রেগে গিয়ে তার মা আল্লাহর কাছে যে দু‘আ করেছিলেন তাই তার জীবনে সত্যে পরিণত হয়েছে।
ছোটবেলায় ইমাম কালবানি খুব দুষ্ট প্রকৃতির ছিলেন বলে জানালেন। দুষ্টুমি করে প্রায়শই তিনি মাকে রাগাতেন। কিন্তু তার মা ছিলেন খুবই দ্বীনদার একজন মহিলা, তিনি জানতেন আল্লাহর কাছে দু‘আর কী শক্তি।
তিনি দু’আ করাটা তার অভ্যাসে পরিণত করেছিলেন। ছেলের উপর যখনি রেগে যেতেন তখনি তিনি বলতেন, আল্লাহ যেন তোমাকে পথ দেখান আর তিনি যেন তোমাকে কাবার ইমাম বানান।
ইমাম আল কালবানি বললেন, আল্লাহ তার দু’আ কবুল করেছেন এবং আমি আজ কাবার ইমাম।
কালো মানুষ শাইখ আদিল আল কালবানি পারস্য উপসাগরীয় এক দরিদ্র পরিবারের সন্তান। নিউইয়র্ক টাইমস-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে শাইখ কালবানি বলেছেন, মসজিদুল হারামের নামাজের ইমামতি করা অসাধারণ সম্মানের, আর এই কাজ শুধুমাত্র আরব ভূখন্ডের আরবদের জন্যই নির্ধারিত।
নিজের জীবনের কথা বলতে গিয়ে ইমাম এবার ফিরে গেলেন সেই সময়টিতে, যখন তিনি জানতে পারেন যে, বাদশাহ আবদুল্লাহ তাকে প্রথম কালো মানুষ হিসেবে মসজিদ আল হারামের ইমাম নিয়োগ দিয়েছেন। তিনি বললেন, মাশাআল্লাহ।
ইমাম বলেন, যখন আপনার সন্তান খারাপ আচরণ করবে তখন তাকে গালমন্দ করবেন না। এতে বিপর্যয় ঘটতে পারে। আমি একজনকে জানি যিনি তার ছেলেকে বলেছিলেন যাও মর’, অতঃপর তিনি সেটার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন, যখন সেই দিনই তার ছেলে মারা যায়। সুবহানআল্লাহ।
প্রিয় সন্তানের পিতা ও মাতাগণ আপনাদের ভাষা সংবরণ করুন। আপনার ছেলে-মেয়েদের জন্য ভাল দু‘আ করার অভ্যাস তৈরি করুন, এমনকি যখন আপনি অনেক রেগে যান তখনও তার জন্য দু‘আ করুন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তিনটি দু’আ আল্লাহ কখনও প্রত্যাখ্যান করেন না, ছেলেমেয়েদের জন্য তার পিতামাতার দু’আ, রোজাদারের দু’আ এবং মুসাফিরের দু’আ। [বায়হাকী, তিরমিযী, হাদীসটি সহীহ সূত্রে বর্ণিত] যারা এই ম্যাসেজ অন্যদেরকে জানাবেন তাদের জন্য আমি আল্লাহর কাছে দু‘আ করি, বিচার দিবসে এটা দিয়ে তিনি যেন উপকৃত হন অথবা এটা তার মুক্তির কারণ হয়। -আরটিএনএন

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button