ময়মনসিংহে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান নিহত

Awamiময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের ব্যাপক সংঘর্ষে ধোবাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফুরকান উদ্দিন মৃধা ওরফে পাহাড়ী সেলিম নিহত ও উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান ফুরকান উদ্দিন মৃধা ওরফে পাহাড়ী সেলিম (৪০), সহোদর মজনু (৩৫), টিপু ও আওয়াল (৩৬) এবং রিপনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ফুরকান উদ্দিন মৃধা রাত ৮টার সময় মারা যান। আরো পাঁচজনকে ধোবাউড়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ধোবাউড়া সদরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনার আগে সংঘর্ষের আশঙ্কায় ধোবাউড়া উপজেলা সদরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল দুপুরে স্থানীয় সংসদ সদস্য সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিন ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে খাওয়ার সময় গামারীতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক খানের ভিআইপিদের খাবার রুমে প্রবেশ করাকে কেন্দ্র করে উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা ফুরকান উদ্দিন মৃধার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ফুরকানের ভাই মজনু আজিজুল হক খানকে মারধর করে আহত করে। এ ঘটনার পর আহত আজিজুল হক তার এলাকা কলসিন্দুর বাজারে চলে যান। খবর পেয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কলসিন্দুর বাজারে দুই-তিন হাজার লোক সমবেত হয়। এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান ফুরকান উদ্দিন মৃধা সেলিমের লোকজনও সশস্ত্র অবস্থান নেয়। এ প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বিকাল ৪টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সদরে ১৪৪ ধারা জারি করেন। কিন্তু বিকাল ৫টায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে হাজার হাজার লোক উপজেলা সদরের পঞ্চনন্দপুর এলাকায় কলসিন্দুর রোডে প্রবেশ করলে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আধাঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে এ সময় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিবিনিময়ের খবর পাওয়া গেছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button