মাওলানা মুহিউদ্দীন খানের বর্ণাঢ্য কর্মজীবন
সৈয়দ আনোয়ার আবদুল্লাহ: মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, জন্ম ৭ বৈশাখ ১৩৪২ বাংলা, জুমার আজানের সময় ময়মনসিংহের মাতুলালয়ে। ইসলামি সাহিত্য সাংবাদিকতা জগতে তিনি জীবন্ত কিংবদন্তি। বাংলা ভাষায় সিরাত চর্চা প্রবর্তন, মাআরেফুল কুরআনের অনুবাদ, ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলো দুষ্প্রাপ্য ও উচ্চাঙ্গের কিতাবাদি সহজ- সরল, সাবলীল ভাষায় সবার বোধগম্য করে প্রকাশ করে তিনি আমাদের কাছে দূর আকাশের দীপিত তারকা। এছাড়া বংলাদেশের ইসলামি রাজনীতি, তাহজিব তামাদ্দুনের তিনি ছিলেন পুরোধা। জাতীর এক মহান রাহবার।
মাওলানা মহিউদ্দীন খান গোটা পৃথিবীর দু’একজন বিরল সম্মানের অধিকারী মুসলিম মনীষাদের অন্যতম। যার প্রতিটি কথা হয় গ্রন্থিত। জীবনের প্রতিটি দিক একেক ইতিহাস।প্রতিটি বক্তৃতা সংকলিত। রচিত পুস্তক হয় চিরন্তন সাহিত্য। চিন্তার প্রতিটি ক্ষণহয়ে উঠে দিব্যদৃষ্টির বার্তা। উপলব্দি ও মূল্যায়ন হয় ইতিহাসের আক্ষরিক পথ নির্দশন।
আধুনিক বিশ্বের চিন্তা, গবেষনা, ইসলামি জাগরণ আর কর্ম সাধনার অন্যতম পুরুষ। যার লেখা গ্রন্থ ইউরোপের শ্রেষ্ট বিদ্যাপিঠ ক্যামবিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য। বাংলাদেশে তিনিই কেবল ‘খানায়ে কাবা’র তেতরে প্রবেশ করে নামাজ পড়ার সৌভাগ্য লাভ করেছেন। তিনি কেবল একজন ব্যক্তি নন, তিনি বহুমুখী কর্মতৎপর একটি সফল প্রতিষ্ঠান । আসুন এক নজরে বিশ্বব্যাপী তার বিশাল কর্মযজ্ঞ জীবন সর্ম্পকে জেনে নেই।
১. ইসলামী একাডেমী প্রতিষ্ঠা: পাকিস্তান আমলেই তিনি ঢাকাতে ইসলামী একাডেমী প্রতিষ্ঠা করেন । সরকার যা পরবর্তিতে অধিগ্রহণ করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর যা পরবর্তিতে বঙ্গবন্ধু ইসলামী ফাউন্ডেশন নামে রপান্তরিত করেন।
২. আধুনিক বাংলা ইসলামি সাহিত্যের নির্মাতা: আধুনিক বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ইসলাম চর্চার পথিকৃৎ তিনি৷ তাকে অনুসরণ করে এবং তার পৃষ্ঠপোষকতার মধ্য দিয়ে এদেশে অসংখ্য লেখক অনুবাদক ও গবেষক তৈরি হয়েছেন৷
৩. মাসিক মদীনা: বাংলাদেশের সম্ভ্রান্ত এমন কোন মুসলিম পরিবার পাওয়া যাবে না যাদের ঘরে মাসিক মদীনার একটি কপি পৌঁছেনি। ষাটের দশকের প্রথম দিকে ১৯৬১ সালে তার প্রতিষ্ঠিত মাসিক মদীনা পত্রিকা এদেশের সবচেয়ে বহুল প্রচারিত জনপ্রিয় বাংলা পত্রিকা। দেশে বিদেশে যার পাঠক সংখ্যা কয়েক লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে। বাংলা ভাষায় ইসলামী পত্রিকার নতুন এই ধারার পথপ্রদর্শক তিনি। তার অমর কীর্তি মাসিক মদীনার অনুকরণে অনেকগুলো ইসলামী ম্যাগাজিন এদেশে পরবর্তিতে চালু হয়ছে৷
৪. সাপ্তাহিক মুসলিম জাহান: উম্মাহর চিন্তা ও বাঙালি মুসলমানের সুখ দুঃখের কথা ফুটিয়ে তুলতে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সাপ্তাহিক মুসলিম জাহান। এটাও বাংলা ভাষা ও সাংবাদিকতায় প্রথম কোন ইসলামি ধারার সাপ্তাহিক। তার স্বপ্ন ছিল দৈনিক মুসলিম জাহান তৈরির । সামাজিক বৈরি পরিবেশ ও রাজনৈতিক হিংস্রতার ফলে দৈনিক মুসলিম জাহান প্রতিষ্টা না করতে পারলেও সাপ্তাহিক মুসলিম জাহানের মাধ্যমে যে কর্মী বাহিনী ও কলম সৈনিক তিনি তৈরি করেছিলেন তারাই পরবর্তিতে জাতীয় দৈনিক ও মিডিয়াতে এখন সাব এডিটরসহ সাংবাদিকতায় অনেক বড়ো অবস্হানে কাজ করছেন।
৫. মদীনা পাবলিকেশন্স: তার অমর কীর্তি ঐতিহ্যবাহী মদীনা পাবলিকেশন্স । মকসুদুল মুমিন আর নেয়ামুল কোরআনের অশুদ্ধ পাঠ চর্চা থেকে তিনি এই প্রতিষ্টানের মাধ্যমে বাঙ্গালী মুসলমানকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন বিশ্ব সাহিত্যের ইসলামি বিশাল ভান্ডারের সাথে। শুধু ইসলামি বইকে বট তলা থেকে আধুনিক করনই করেন নি বরং আজ থেকে অর্ধ শতাব্দি আগে এমন মান ও শৈল্পকতার সাথে ইসলামী বইয়ের সমাহার নিয়ে একটি কাশনীর যাত্রা করলেন তখন বাম পাড়াতেও এমন মান সম্পন্ন প্রকাশনা চোখে পড়েনি। মদীনা প্রাবলিকেশন্স এর পথ ধরে পরবর্তিতে শতশত ইসলামী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান তৈরী হয়েছে৷ বাংলা বাজারে ইসলামি টাওয়ার আজ মাথা উচু করে দাড়িয়ে আছে বিশাল ইসলামি বই বাজার নিয়ে। এর পেছনে যে মানুষটি শক্তি সাহস ও প্রেরণা হিসাবে কাজ করেছেন তিনি মাওলানা মহিউদ্দীন খান। মদীনা পাবলিকেশন্স শুধু বাংলা একাডেমী ২১শে বই মেলাতে নয় কলিকতা ও সৌদি বইমেলাতে অংশ গ্রহন করে আমাদের মুখোজ্জল করেছে ।
৬. রাবাতে আল আলম ইসলামী: বিশ্বের বরেণ্য ইসলামি স্কলার ও পন্ডিতদের আন্তজাতিক এই প্রতিষ্টানের তিনি বাংলাদেশের প্রথম সদস্য। দীর্ঘদিন রাবেতার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ব সংস্হার নির্বাহী পর্ষদের দায়িত্ব পালন করেছেন । ফলে আরব বিশ্ব ও বিশ্বের বড়ো বড়ো পণ্ডিতদের সাথে তার কাজ করার সুযোগ হয়েছে । রাবেতার মাধ্যমে এদেশে অসংখ্য মসজিদ মাদরাসা দাতব্য চিকিৎসালয় তিনি তৈরি করেছেন।
৭. বিনামুল্যে কোরআন বিতরণ: সংক্ষিপ্ত মারিফুল কোরআনের অনুবাদ ও সৌদি বাদশা ফাহাদ বিন আব্দুল আজিজের সৌজন্য ও মাওলানা মহিউদ্দীন খানের তত্বাবধানে বাংলাভাষাভাষি মানুষদের জন্য কোটি কপি মারিফুল কোরআন তরজমা ও কোরআন শরিফ বিনামুল্যে কয়েকযুগ
ব্যাপী বিতরণ তার এক অসমান্য মকবুল একটি খেদমত।
৮. মদীনা ইউনিভার্সিটির স্কলার: বিশ্বখ্যত মদীনা ইউনিভার্সিটির একজন সম্মানিত স্কলার ও ভিজিটিং প্রফেসার মাওলানা মহিউদ্দীন খান। তার সত্যায়ন ও সুপারিশে অগণিত বাংলাদেশি যুবক মেধাবী শিক্ষার্থী আল আজহার কিংবা মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আন্তর্জাতিক শিক্ষা প্রতিষ্টানে শিক্ষার সুযোগ পেয়েছে৷ যা বাংলাদেশের শিক্ষা খাতে এক অসামান্য অবদান তৈরি করেছে।
৯. অনুবাদ: বিশ্বসাহিত্যের ইসলামি গ্রন্হকে বাংলা অনুবাদের এই মহান কাজটি তিনিই প্রথম শুরু করেন । দার্শনিক ইমাম গাজ্জালী, ইবনে তাইমিয়া সহ বিশ্বের বড় বড় মুসলিম লেখককে তিনিই প্রথম পরিচয় করিয়ে দেন বাঙ্গালী মুসলমানদের সাথে। এহিয়ায়ে উলুমদ্দীন, কিমিয়য়ে সাদত, মুর্শিদুল আমিন, বার্নাবাসের বাইবেলের মতো গ্রন্হ তিনি অনুবাদ ও প্রকাশ করেছেন। মুফতি শফি রহ তাফসিরে মারিফুল কোরআনের মতো বিশাল গ্রন্থ ১০ খন্ডে তিনি অনুবাদ করেছেন এককভাবে। এছাড়া অসংখ্য আরবী উর্দু ফার্সি ইংরেজি গ্রন্হ তিনি অনুবাদ করেছেন ।
১০. মৌলিক রচনা: অর্ধশতের উপরে তিনি মৌলিক গ্রন্হ রচনা করেছন। তার অসামান্য আত্মজীবনী গ্রন্হ জীবনের খেলাঘর বাংলা সাহিত্যে বহুল পাঠিক একটি ক্লাসিকেল গ্রন্হ । স্বপ্নযুগে রাসুল সাঃ তার লিখিত একটি জনপ্রিয় গ্রন্হ। রওজা শরিফের ইতিকথা গ্রাম বাংলায় বহুল পাঠিত একটি গ্রন্থ।ছাড়া তার লিখিত শতাধিক গ্রন্হ বাংলা ভাষার পাঠকরের মধ্যে ব্যপক জনপ্রিয় ।
১১. নওমুসলিম পূর্ণাবাসন কেন্দ্র: গরীব, অসহায় অসংখ্য নওমুসলিমকে তার প্রতিষ্টিত এই সংস্হার মাধ্যমে পুনর্বাসন করেছেন। খিস্টান মিশনারির বিকল্প দাওয়াতের কাজে অমুসলিমদের মাঝে প্রতিষ্টানটি ব্যাপক সফলতা তৈরি করে। বাংলাদেশ নওমুসলিম পূর্ণাবাসন আইডিয়াটি তিনিই প্রথম তৈরি করেন।
১২. সীরাত চর্চার পথিকৃৎ: বাংলা ভাষায় সিরাত চর্চার পথিকৃত মাওলানা মূহিঊদ্দীন খান । মাসিক মদীনা, মুসলিম জাহান এর সীরাতুন্নবী সংখ্যা
বিশাল কলরবে ঈদ সংখ্যার মতো প্রকাশ করার আইডিয়ার জনক তিনি । তিনি মদীনা পাবলিকেশন্স এর মাধ্যমে অসংখ্য সীরাত গ্রন্হ প্রকাশ করেছেন। রাসুলে পাক সাঃ এর সিরাত চর্চায় বাংলা ভাষায় কেন বিশ্ব সিরাত সাহিত্যের তিনি প্রাণ পুরুষ।
১৩. জাতীয় সিরাত কমিটি: তার মহান কার্যক্রমের অন্যতম জাতীয় সিরাত কমিটি । এর মাধ্যমে জাতীয়ভাবে সীরাত চর্চা । সীরাত সম্মেলন ।
জাতীয় সীরাত স্মারক এপর্যন্ত ৬খন্ডে প্রকাশিত হয়েছে। যা বাংলা সাহিত্যের এক বিশাল অবদান তৈরি করেছে। তিনি জাতীয় সিরাত কমিটির চেয়ারম্যান।
১৪. সিরাত স্বর্ণ পদক: তার অসমান্য অবদানের একটি সিরাত স্বর্ণ পদক। সীরাত চর্চাকে উৎসাহিত করতে এবং যারা সিরাত চর্চা ও সীরাত সাহিত্য অবদান রেখেছনে এরকম অসংখ্য মনীষাকে তিনি মুল্যায়িত করেছেন এই পদক প্রদান করে । খতিব উবায়দুল হক রহ আল্লামা আহমদ শফি সহ অনেক বিখ্যাত জনরা এপদকে ভূষিত হয়েছেন।
১৫. আগ্রাসন প্রতিরোধ কমিটি : মাওলানা মহিউদ্দীন খান দেশ মাতৃকার এক জাগ্রত সিপাহসালার । তিনি এই আলোচিত সংগঠনটির মাধ্যমে সামজ্রবাদী আগ্রাসনের বিরোদ্ধ তিনি প্রতিরোধ ও প্রতিবাদ করেছেন আজীবন। তার নেতৃত্বে এই অরাজনৈতিক সংগঠনের মাধ্যমে দেশের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, ডানপন্থী বিদ্ধুজীবি লেখকদের একটি প্লাটফর্ম তৈরি করেছেন।
১৬. আনসার নগর কমপ্লেক্স : খান সাহেবের পিতা হাকীম আনসার উদ্দীন খানের নামে ময়মনশাহীর গফরগাঁও আনসার নগর এক সুবিশাল শিক্ষা কার্যক্রমের যাত্রা করেছেন। এতিমখানা, মাদরাসা, মহিলা মাদরাসা, ইসলামিক স্কুল, সেবা ট্রাস্ট, হাসপাতাল, মসজিদ, গন পাঠাগার, সহ বহুমুখী কাংযক্রম তার অমর কৃর্তি।
১৭. সমকালীন জিজ্ঞাসার জবাব: তিনি চলন্ত এক বিশ্বকোষ। মাসিক মদীনাকে ঘিরে তিনি যে প্রশ্নোত্তর বিভাগ চালু করেছিলেন তা, খান সাহেবর এক অমর জ্ঞান ভান্ডার। প্রতি মাসে শতাধিক প্রশ্ন উত্তর নিয়ে এই বিশাল আযোজন ছিল মদীনা পত্রিকার মূল আর্কষন। এককভাবে বাগত ৭০ বছর যাবৎ কয়েক লক্ষ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। মহাকাশ, বিজ্ঞান, ফেকাহ, কোরআন, হাদীস, মনীষা,বিভিন্ন সভ্যতা, এমন কোন বিষয় নেই যার উত্তর তিনি দেন নি। “সমকালিন জিজ্ঞাসা” জবাব নামে যা শতাধিক খন্ডে প্রকাশিত হয়েছে। যা বিশ্ব ইতিহাসে একক এক বিশ্বকোষ বা জ্ঞান ভান্ডারের মর্যাদা লাভ করেছে।
১৮. রাবেতা আল আদবঃ বিশ্ব ইসলামি সাহিত্য পরিষদের তিনি অন্যতম প্রতিষ্টা। সৌদি আরবের রিযাদ কেন্দ্রীক আন্তজর্তিক এই সাহিত্য সংগঠনটির মাধ্যমে পুরো পৃথিবীতে সাহিত্য চর্চার ইসলামিক ধারার নব যুগের সূচনা কর বিশ্ব দরবারে অমর হয়ে আছেন। রাবেতা আল আদবের মাধ্যমে কিনি পৃথিবীর সবকটি মুসলিম দেশ সফর করেছেন। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যে বহুদেশ ভ্রমন করে তিনি বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে বিশ্ব্যব্যাপি মানব সভ্যতার নির্মান ও বিকাশ সম্পর্কে বহু গ্রন্থ লিখেছেন।
১৯. ইসলামী পত্রিকা পরিষদ: বাংলাদেশের সকল ইসলামী পত্রিকার সমন্নয়ে ইসলামী পত্রিকা পরিষদ গঠন তার অমর কৃর্তি। জাতীয় লেখক সম্মেলন, লেখক পুরস্কার তার অমরকৃর্তি।
২০. টিপাই মূখ লংমার্চ: নদী আগ্রাসন প্রতিরোধ কমিটি গঠন করে তিনিই প্রথম ভারতীয় নদী আগ্রাসন ও টিপাইমূখ বাধের বিরোদ্ধে তিনি গর্জে
উঠেছিলেন। তার নেতৃত্ত লাখো জজনতার টিপাইমূখ বাধ বিরোধী টিপাইমূখ অভিমূখে লংসার্চ মুহিউদ্দীন খানের জীবনের ঐতিহাসিক নেতৃত্বের সফলতা।
২১. বাংলাদেশ সবোর্চ্চ উলামা পরিষদ: বায়লাদেশের সব মত পথের আলেমদের নিয়ে সবোর্চ্চ উলামা পররিশদ গঠন খান সাহেবের অনন্য ব্যক্তিত্বের আরেকটি মাইল ফলক। দেওবন্দি, ছরছিনা, ফুলতুলি, বায়তুশ শরফ সহ নানান মতের উলামাদের নিয়ে ইসলাম বিরোধি যে কোন বাজে তিনি প্রতিবাদ করেছেন। এবং আজীবন উলামাদের ঐক্য ও মুসলিম বিশ্বের ঐক্যের পক্ষে কাজ করেছেন। কার দরবার সব মত পথের আলেমরা আশ্রিত হবার শেষ ঠিকানা।
২২. মাসিক মদীনার মাধ্যমে তিনি যে লেখক কাফেলাকে এদেশে এক বিনি সুতার মালায় গেথে ছিলেন, তারাই মূলত এদেশের তাহযিব তমদ্দুন সংরক্ষন বিকাশ ও লালনে অসামান্য অবদান রেখেছেন। প্রেন্সিপাল ইব্রাহিম খা, কবি ফররুখ আহমদ,কবি বন্দে আলী মা, নুর মোহাম্মদ আজমি, দেওয়ান আব্দুল হামিদ, অধ্যাপক আবু তালিব, সৈয়দ আব্দুস সুলতান, সৈয়দ আশরাফুল হক আকিক, এজেড শামছুল আলেম সিএসপি, আব্দুল খালেক জোয়ারদার, জহুরী, কবি মুজ্জাম্মেল হক, ইতিহাস গবেষক সৈয়দ আব্দুল্লাহ, কবি আব্দুল হালিম খা,অধ্যাপক আবুল হোসেন মল্লিক, সৈয়দ মোস্তফা কামাল, ড আফম খালেদ হুসেন, মাওলানা জুনাইদ বাবুনগরী, মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ, উবায়দুর রহমান খান নদভী, মাওলানা লিয়াকত আলী প্রমূখের এই কাফেলা তিনি মদীনা পত্রিকার মাধ্যমে তৈরি করেছিলেন। কিংবদন্তির কলম সৈনিকের এক কাফেলা।তাদের অনেকেই আজ নেই। তবে তাদের কর্ম আলো ছড়াচ্ছে চারদিকে। মুহিউদ্দীন খান সাহেব হুজুর আমাদের দেখা বিশ্ব মনীষাদের শেষ সলতে।
১৯ রমজান ২৫ জুন ২০১৬ ইংরেজি ইফতারেরর পূর্বক্ষণে সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে ইন্তেকাল করেন।
হয়তো উম্মাহর চিন্তায় বিভোর সাধানাক্লান্ত মুসাফির যিনি হয়তো লিখতে লিখতে জীবনে ককোনদিন নিশ্চিত ঘুমের স্বাদ পান নি। তিনি আজ আখেরি মন্জিলে এসে সূখের মিষ্টি ঘুমে ঘুমিয়ে আছেন।
হে আল্লাহ, তোমার এই প্রিয় বান্দার জীবনের নব গুনাহ মাফ করে দাও। তাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান কর।



