ক্ষমা চাইলেন ব্রিটিশ প্রধামন্ত্রী ও ডিফেন্স সেক্রেটারী

Cameronলন্ডন মেয়র নির্বাচন ক্যাম্পেইনে টোরি প্রার্থী জ্যাক গোল্ডস্মীথ বিভিন্নভাবে সন্ত্রাসের সঙ্গে সাদিক খানকে জড়িয়ে ক্যাম্পেইন করেন। অবশ্য লন্ডন মেয়র নির্বাচনে টোরি প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পেইন নিয়ে ব্যাপক নেতিবাচক সমালোচনার পর অবশেষে ক্ষমা চাইলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামরন এবং ব্রিটিশ ডিফেন্স সেক্রেটারী মাইকেল ফলেন।
নির্ববাচনের আগে পার্লামেন্টে প্রশ্নউত্তর পর্বে খোদ প্রধানমন্ত্রী নিজেও সাদিক খানকে সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়ানোর চেষ্টা করেন। এই চেষ্টার অংশ হিসেবে সাদিক খানের নির্বাচনী এলাকা সাউথ লন্ডনের টোটিং ইসলামিক সেন্টারের সাবেক ঈমামকে ব্যবহার করেন প্রধানমন্ত্রী।  নির্বাচনের আগে হাউস অব কমন্সে প্রশ্ন উত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেছিলেন, লন্ডন মেয়র নির্বাচনে লেবার প্রার্থী সাদিক খান একজন ইসলামিক স্টেইট সাপোর্টারের সঙ্গে একই প্ল্যাটফর্ম ভাগ করেছেন। ওই ব্যক্তি হলেন সাদিক খানের নির্বাচনী এলাকা টোটিং ইসলামিক সেন্টারের সাবেক ঈমাম সুলায়মান গনি।
কনজারভেটিভ সার্পোটার সুলেয়মান গনিকে ইসলামিক স্টেইটের সাপোর্টার হিসেবে আখ্যায়িত করে, তার সঙ্গে সাদিক খান ৯ বার প্ল্যাটফর্ম শেয়ার করেছেন বলে পার্লামেন্টে বলেছিলেন টোরি প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামরন।
ঈমাম সুলেমান গানিকে আইএস সমর্থক হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। যদিও ঈমাম গানি ২০১৪ সালের নির্বাচনে কনজারভেটিভ সমর্থক ছিলেন। কনজারভেটিভের অনুরোধে লন্ডন মেয়র নির্বাচনে তিনি টোরি মেয়র প্রার্থী জ্যাক গোল্ডস্মীথের জন্যেও ক্যাম্পেইন করেন।
যদিও জ্যাক দাবী করেন, তিনি ওই ঈমামকে চেনেন না। পরবর্তীতে ঈমাম সুলেমান গানি জ্যাকের সঙ্গে তার ছবিও প্রকাশ করেন। কনজারভেটিভের পক্ষ থেকে এসব নেতিবাচক এবং নোংরা প্রচার-প্রচারণার পরে লেবার প্রার্থী সাদিক খান প্রায় ৩শ হাজার বেশি ভোট পেয়ে গত ৫ই মের নির্বাচনে লন্ডন মেয়র নির্বাচিত হন।
এরপর সুলেমান গনির সমর্থকরা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার করে তাঁকে ক্ষমা চাওয়ার দাবী তুলেন। প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টারী ক্ষমতা ব্যবহার করে এমন মন্তব্য করতে পারেন না বলেও অভিযোগ উঠে। এরপর বিবিসি রেডিও ফোরে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে সমর্থন করে আবারো তা পুনরায় উল্লেখ করেন ডিফেন্স সেক্রেটারী মাইলে ফলেন। অবশেষে বুধবার সন্ধ্যায় ১০ ডাউনিং স্ট্রীট থেকে বলা হয়, ঈমাম সুয়েমান গানি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ভুল ছিল। ডিফেন্স সেক্রেটারীর মূখপাত্রও জানান, অসাবধানতাবশত ভুল হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এবং ডিফেন্স সেক্রেটারীর পক্ষ থেকেই এমন ভুল বক্তব্যের জন্যে ক্ষমা চাওয়া হয়।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button