কিছুই জানেন না অর্থমন্ত্রী

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮০০ কোটি টাকা চুরি

Bangladesh Bank Logoহ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ৮০০ কোটি টাকা (১০ কোটি মার্কিন ডলার) চুরি করেছে হ্যাকাররা। প্রাথমিকভাবে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চুরি যাওয়া অর্থ ফিলিপাইনে রয়েছে বলে ধারণা করছে ব্যাংক।
সমপ্রতি ফিলিপাইন সরকার তাদের অর্থ বাজারে ৮০০ কোটি টাকা বেশি পায়। অর্থের উৎস খুঁজতে গিয়ে জানতে পারে এ পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ থেকে গিয়েছে। হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে হ্যাকাররা এ অর্থ বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে নেয়।
ফিলিপাইনের দৈনিক দ্য ইনকোয়েরার পত্রিকায় গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ থেকে ১০ কোটি ডলার মানি লন্ডারিং হয়েছে বলে একটা খবর প্রকাশ করে।
ওই খবরে বলা হয়, দেশটির মাকাতি শহরে অবস্থিত রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের একটি শাখার মাধ্যমে ওই অর্থ ফিলিপাইনে আসে। চীনা হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংক অথবা সেখানকার কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে এ অর্থ হাতিয়ে নেয়। হ্যাকার দল এ অর্থ প্রথমে ফিলিপাইনে পাচার করে। অর্থ পাচারের এ ঘটনা তদন্ত করছে ফিলিপাইনের অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিল। বিভিন্ন তথ্যসূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই অর্থ সেখান থেকে ক্যাসিনোসহ একাধিক হাত ঘুরে অন্য দেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে দেখা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাচারের তথ্য জানার পর গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একটি বৈঠক করেন। ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি তিন দিনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং বিভাগের ডিজিএম জাকের হোসেন ও বিএফআইইউর যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রবকে পাঠানো হয় ফিলিপাইনে।
সেখানে গিয়ে এ দুই কর্মকর্তা দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘ব্যাংকো সেন্ট্রাল এনজি ফিলিপিনাস’ (বিএসপি) ও অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিলের (এএমএলসি) সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেন। বিশেষ এ দুটি বৈঠকে হ্যাকার গ্রুপকে চিহ্নিত করে টাকা ফেরতের ব্যবস্থার বিষয়ে তাদের সহায়তা চাওয়া হয়।
কিছুই জানেন না অর্থমন্ত্রী: বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে টাকা চুরির বিষয়ে কিছুই জানেন না অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। এ সম্পর্কে এখনো তাকে কিছু জানানো হয়নি বলে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। তবে বিষয়টিকে তিনি কেবল ‘আনইউজিয়াল’ বলেই অভিহিত করেছেন।
সোমবার বিকালে মন্ত্রিপাড়ার হেয়ার রোডের সরকারি বাসভবন ‘তন্ময়’ এ বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি এ বিষয়ে এখনো কিছু জানি না। আমাকে এখনো কিছু জানানো হয়নি। তাই এ বিষয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে চাই না। তবে বিষয়টা একেবারেই নতুন এবং আনইউজিয়াল।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button