চিংড়ি রফতানিতে খুলে গেল ইইউর দরজা

EUচিংড়ি ও হিমায়িত পণ্য রফতানিতে আবারও খুলে গেল ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইউউ) দরজা। আরোপিত সব ধরনের শর্ত তুলে নিয়েছে ইইউ পার্লামেন্ট। দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই ইউরোপিয় ইউনিয়নের এ ধরণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হলো।
বাংলাদেশ বছরে চার হাজার কোটি টাকার চিংড়ী রফতানি করে। প্রতি চালানের সঙ্গে বাধ্যতামূলক মান পরীক্ষার সনদ ও ইউরোপে যাওয়ার পর চিংড়ীর ২০ শতাংশ চালান পুণরায় পরীক্ষার বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার বিষয়ে গত মঙ্গলবার সিদ্ধান্ত জানিয়ে তারা।
এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে ইইউ। এর ফলে ইউরোপের দেশগুলোতে বাংলাদেশের চিংড়ীর বিক্রি ও রফতানি দু’টোই বাড়বে বলে আশা করা করছেন রফতানিকারকরা।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে এসব পণ্য রফতানিতে প্রতিযোগী দেশ পাকিস্তান, মিয়ানমার, ভারত, থাইল্যান্ডকে পেছনে ফেলে ইইউর নির্ধারিত মানদন্ড অর্জনে সক্ষম হওয়াকে বাংলাদেশের রফতানির জন্য এক নবদিগন্তের সূচনা বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মৎস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ আরিফ আজাদ এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড কেউই এ স্বীকৃতি পায়নি। কিন্তু বাংলাদেশ পেয়েছে। এ সক্ষমতা অর্জনের মধ্যদিয়ে এখন থেকে বাংলাদেশ কোনো ধরণের শর্ত ছাড়াই ইউরোপের বাজারে চিংড়ী রফতানি করতে পারবে।
শুধু তাই নয়, দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই ইউরোপিয় ইউনিয়নের এ ধরণের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরিফ আজাদ আরও জানান, গত ২০ থেকে ৩০ এপ্রিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের ফুড অ্যান্ড ভেটেরিনারি অফিসের (এফভিও) একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ ঘুরে যায়। তারা বাংলাদেশ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে একটি প্রতিবেদন দেয়। তার ভিত্তিতেই বাংলাদেশের ওপর থেকে সকল শর্ত তুলে নেয়া হয়েছে। দেশের মৎস খাতের একটি বড় অর্জন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button