ব্রিটেনে নির্বাচনী প্রচারণার প্রস্তুতি নিচ্ছেন রাজনীতিকরা

ব্রিটেনে আগামী ১২ ডিসেম্বর আগাম সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে ভোট দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট। ব্রেক্সিট ইস্যুতে টানা কয়েক মাসের টানাপোড়েনের পর মঙ্গলবার আগাম নির্বাচনের পক্ষে ঐকমত্যে পৌঁছান এমপিরা। ব্রিটিশ সরকারের প্রস্তাবের পক্ষে ৪৩৮ ও বিপক্ষে ২০ ভোট পড়ে। তবে বিলটি লর্ড সভায় অনুমোদন করতে হবে। এরই মধ্যে রাজনীতিকরা নির্বাচনী প্রচারণার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। নির্বাচনে ব্রেক্সিট, স্বাস্থ্য এবং অর্থনীতি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

১৯২৩ সালের পর এই প্রথম যুক্তরাজ্যে ডিসেম্বর মাসে সাধারণ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। দেশটিতে ২০১৭ সালে সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ সপ্তাহের শেষের দিকেই এটি আইনে পরিণত হতে পারে। আর তাহলে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য বাকি থাকবে মাত্র পাঁচ সপ্তাহ। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, দেশের জনগণের ব্রেক্সিট এবং দেশের ভবিষ্যত্ বিষয়ে মতামত দেওয়ার অধিকার রয়েছে। জনসন আশা করেছেন যে, বেক্সিট চুক্তি এবং বর্তমান পার্লামেন্টে অচলাবস্থা নিরসনে তাকে নতুন করে ম্যান্ডেট এনে দেবে নির্বাচন। ব্রেক্সিটের জন্য ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় পেয়েছে ব্রিটেন। এর আগে ডাউনিং স্ট্রিট থেকে জানানো হয়েছে, বিদ্রোহের কারণে যে ২১ জন টোরি এমপিকে পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল, তাদের অর্ধেককে আবার ফিরিয়ে আনা হয়েছে এবং তারা কনজারভেটিভ প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করতে পারবেন।

ইতিমধ্যে নির্বাচনী প্রচারণার বাগ্যুদ্ধ শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, লেবার পার্টি ক্ষমতায় এলে দেশে অর্থনৈতিক দুর্ভিক্ষ এবং রাজনৈতিক দুর্যোগ সৃষ্টি হবে। লেবার নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, দেশ সংস্কার এবং জনগণের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য এই নির্বাচন বর্তমান প্রজন্মের কাছে এক সুযোগ। তিনি জানিয়েছেন, তার দল এখন দেশের সত্যিকারের পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষী আর জোরালো প্রচারণা শুরু করবে যা এই দেশ এর আগে কখনো দেখেনি। তিনি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে বরিসের সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন।

হাউজ অব কমন্সে পাশ হওয়া বিলটি গতকাল বুধবারই হাউজ অব লর্ডসে পেশ করার কথা। বিলটি সংশোধিত হলে ফের কমন্সে যাবে। আর সংশোধিত না হলে পাশ হয়ে রানির কাছে পাঠানো হবে। রানি সম্মতি দিলে সেটি আইনে পরিণত হবে। এরপর ৪ নভেম্বর কমন্সে জন বারকোর স্থলে নতুন স্পিকার নির্বাচিত করা হবে। ৬ নভেম্বর পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হবে, অর্থাত্ প্রতিটি আসন ফাঁকা ঘোষণা করা হবে। এর পাঁচ সপ্তাহ পর দেশটিতে পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button