কাদের খুশি করার জন্য ইফার মুফতিগণ মনগড়া ফতোয়া দিয়েছেন ?

ইফার বিতর্কিত ফতোয়ার তীব্র নিন্দা

শীর্ষ উলামায়ে কেরাম ও বাংলাদেশ জাতীয় ফতোয়া বোর্ডের মুফতিগণ এক যুক্ত বিবৃতিতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে চেয়ারে বসে নামাজ আদায় সংক্রান্ত মন গড়া ভুল ফতোয়ার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
সোমবার দেয়া বিবৃতিতে মুফতিগণ বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফতোয়া যাতে বলা হয়েছে- ‘মসজিদে চেয়ারে বসে নামাজ আদায় জায়েজ নেই’ এটা মূলত: ঈমানদারদের আল্লাহর মসজিদ ও ইবাদত থেকে ফিরিয়ে রাখারই সুগভীর চক্রান্তের অংশ, ইহা মূলত উলামাদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টিরই অংশ কিনা তা ইফা কর্তৃপক্ষ ও সরকারকে খতিয়ে দেখতে হবে। তারা বলেন, ইফার ফতোয়ায় যে সমস্ত দলিল কোড করা হয়েছে তার কোনটিতেই চেয়ারে নামাজ পড়ার নিষেধাজ্ঞা আদৌই নেই। অথচ কাদের খুশি করার জন্য ইফার মুফতিগণ এহেন মনগড়া ফতোয়া দিতে সাহস করলেন, তা আমাদের বুঝে আসেনা।
অপর এক বিবৃতিতে আলেমগণ বলেন, রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে গ্রাম, গঞ্জ ও প্রত্যান্ত অঞ্চলে খুন, গুম, হত্যা ধর্ষন, নারী নির্যাতন, চাঁদাবাজি, অপহরণ বিপদজনক হারে বেড়েই চলেছে। ক্ষমতা লিপ্সুদের উদাসিনতা ও প্রভাবশালী দলীয় ক্যাডারদের রক্ষা নীতির কারণেই এহেন জঘন্য সামাজিক অপরাধ মহামারি আকার ধারণ করেছে। যা আল্লাহর গজবকে তরান্বিত করছে। সম্প্রতি বার বার ভূমিকম্পের আভাস, সড়ক দুর্ঘটনা, লঞ্চ ডুবি, নৃশংসতা সব কিছুই এ গজবেরই অংশ।
শীর্ষ আলেমগণ বলেন, আল্লাহর এ গজব থেকে রক্ষা পেতে সকলকেই তওবা করতে হবে। সামাজিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট সকলকে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ইসলাম বিরোধী সকল কালা কানুন বাতিল করতে হবে। জঙ্গি, সন্ত্রাসী, সকল ধরনের দুষ্কৃতকারী ও দুর্নীতিবাজদের দমন করতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বিচার  বহির্ভূত হত্যাকা- বন্ধ করতে হবে। নিরাপরাধ ও আল্লাহ ওয়ালাদের নির্যাতন চালিয়ে দুষ্কৃতকারী ও চিহিৃত অপরাধী চক্রকে রক্ষা করলে সামাজিক অবক্ষয় ও বিপর্যয় চরম আকার ধারণ করতে পারে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি শাইখ আবদুল মোমিন, শীর্ষ আলেমেদ্বীন রাবেতা আলম আল-ইসলামীর স্থায়ী সদস্য ও সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদের সভাপতি মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর আল্লামা মুহিবুল্লাহ বাবু নগরী, আল্লামা সুলতান যওফ নদভী, আল্লামা আব্দুল হালিম বোখারী, আল্লামা আবদুল হালিম, আল্লামা তাজুল ইসলাম, শায়খুল হাদীস আল্লামা শামসুল আলম, খেলাফত আন্দোলনের প্রধান আমীরে শরীয়ত হাফেজ মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী হজুর, মাওলানা মোহাম্মাদ ইসহাক, মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী, অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন, মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, মাওলানা মহিউদ্দীন রব্বানী, ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, শাহতলীর পীর মাওলানা আবুল বাসার, ফরায়েজী আন্দোলনের আমীর মাওলানা আব্দুল্লাহ মোঃ হাসান,মুফতি মাওলনা আবদুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী,  ইসলামী কানুন বাস্তবায়ন পরিষদের আমীর মাওলানা আবু তাহের জিহাদী, হক্কানী পীর মাশায়েখ পরিষদের মহাসচিব মাওলানা শাহ আরিফ বিল্লাহ সিদ্দীকি, মীরের সরাইর পীর মাওলানা আঃ মোমেন নাছেরী, টেকের হাটের পীর মাওলানা কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী, খেলাফত যুব আন্দোলনের আমীর মুফতি ফখরুল ইসলাম, খাজা শাহ ওয়ালিউল্লাহ পীর সাহেব গাছতলা, হক্কানী ত্বরীকত মিশনের আমির আধ্যাত্মিক গুরু শাইখ নুরুল হুদা ফয়েজী, তাহরীকে খতমে নবুয্যাতের আমীর মুফতি ড. সৈয়দ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী, মহাসচিব পীর মাওলানা শরীফ হোসাইন, জাতীয় ফতোয়া বোর্ডের সভাপতি- মুফতি মাওলানা ইহইয়ার রহমান, সেক্রেটারী জেনারেল শাইয়খ আবদুল মোমেন, জমিয়াতে উলামা দেওবন্দ পরিষদের সভাপতি হযরত মাওলানা মুহাদ্দেস আবদুল্লাহ কাসেমী ও সেক্রেটারি মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক কাসেমী, জাতীয় ইমাম উলামা পরিষদের সভাপতি শায়খুল হাদীস মাওলানা ফজলুর রহমান ও মহাসচিব মাওলানা এবি.এম শফিকুল্লাহ, মাদরাসা মসজিদ ও খানকা ঐক্যপরিষদ সভাপতি মাওলানা রফিকুর রহমান ও সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, ইসলামী সমাজ সভাপতি মুফতি মাহমুদুল হাসান ও সেক্রেটারী জেনারেল মুফতি জাকারিয়া ইসলাহী হক্কানী ত্বরীকত মিশনের জেনারেল সেক্রেটারী আল্লামা মুস্তাক ফয়েজী, ইসলামী ঐক্য মঞ্চ সভপতি মাওলানা ইদ্রিস হোসাইন, সেক্রেটারী আবদুস সাত্তার, খাদেমুল ইসলাম জামাত আমির মাওলানা মুহিবুল্লাহ, সেক্রেটারী মাওলানা সারওয়ার হোসাইন, জাতীয় খতীব পরিষদের আমীর মুফতি মাওলানা মাউদুর রহমান, হুফ্ফাজ পরিষদ সভাপিত হাফেজ লেয়াকত হোসাইন ও সেক্রেটারী মুফতি মাহবুবুর রহমান, ইসলামী অন লাইন এ্যাক্টিভিটস সভাপতি শায়খুল হাদীস মাওলানা আবদুস সামাদ ও মহাসচিব মুফতি আবু আনাস, সম্মিলিত ইসলামিক জোটের আমির মাওলানা আবদুল বাকি, সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মনিরুজ্জামান, জাতীয় ইমাম সোসাইটির মহাসচিব মুফতি জোবায়ের আহমদ কাসেমী, প্রফেসর মাওলানা মুফতি ইসহাক মাদানী,  হাফেজ মুফতি মাওলানা আব্দুর রহমান, মাওলানা মুফতি ফয়জুল্লাহ, মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ শফিকুল্লাহ, মাওলানা মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন, মাওলানা মুহাম্মদ ইখলাস উদ্দিন, মাওলানা আবু হানিফ নেছারী, মুফতি মাওলানা নাসির উদ্দীন খান, অধ্যক্ষ মাওলানা মশিউর রহমান, হাফেজ ফারুক হোসাইন,  প্রফেসর মাওলানা মুফতি ইসহাক মাদানী, মাওলানা এহতেশামুল হক, নাস্তিক-মুরতাদ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মাওলানা আব্দুল ক্দ্দুুস আল কাসেমী মহাসচিব শাইখ আব্দুল কাউয়ূম আযহারী, জাতীয় তাফসীর পরিষদ সভাপতি মাওলানা আব্দুল আখির ও মহাসচিব মাওলানা আবু দাউদ যাকারিয়া, ইসলাহুল মুসলিলিমিন সভাপতি মুফতি আবুল বাশার, মহাসচিব মুহাদ্দিস হাসানুল ইমাম, জাতীয় মুফাসসিরিন পরিষদ সভাপতি মাওলানা বেলাল হোসাইন ও সেক্রেটারী মাওলানা নুরুল আমীন, ইসলাহুল উম্মাহ সভাপতি আবু হানিফ নেসারী, মহাসচিব মাওলানা দ্বীন মুহাম্মাদ, ইসলামের জনতা সভাপতি মুফতি আবদুল কুদ্দুস, মহাসচিব হাফেজ আবুল কাসেম, ইসলামী সংগ্রাম পরিষদ সভাপতি শাইখ যাইনুল আবেদীন ও সেক্রেটারী মাওলানা আবদুর রহমান, ইমাম কল্যাণ সমিতি সভাপতি পীর মাওলানা কুতুবুল ইসলাম মাজহারী, সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি আবু সালেহ, ইমাম মুয়াজ্জিন পরিষদ সভাপতি মাওলানা সালেহ সিদ্দিকী ও সেক্রেটারী মুফতি মাহমুদুল হাসান, মাদরাসা কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মাওলানা মহিউদ্দীন মাসুম, সেক্রেটারী মাওলানা এখলাছ  উদ্দীন, তালিমুল কুরআন সোসাইটি মুফতি আবদুল হালিম, মহাসচিব মাওলানা সিজরাজুল ইসলাম, আল কুরআন ফাউন্ডেশন সভাপতি মুফতি জামাল উদ্দীন ও সেক্রেটারী মুফতি ইসহাক প্রমুখ।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button